১২ দিন আগে রাজধানীর উত্তরা এলাকায় এক যুবককে জোর করে প্রাইভেটকারে তুলে নেওয়ার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। ঘটনাস্থলের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহ করে তদন্ত শুরু করে পুলিশ। দিনে দুপুরে জোর করে এক ব্যক্তিকে গাড়িতে তুলে নিয়ে যাওয়ার ঘটনার ১২ দিন পর দুজনকে গ্রেফতারের কথা জানিয়েছে পুলিশ।
Advertisement
পুলিশ বলছে, পাওনা টাকা আদায়ের জন্য চারজন মিলে আরিফ নামের এক ব্যক্তিকে অপহরণ করে নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে নিয়ে যায়। টাকা পাওয়ার পর তাকে ছেড়েও দেওয়া হয় বলে গ্রেফতার হওয়া ব্যক্তিরা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকারও করেছেন।
বুধবার (৩০ এপ্রিল) মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান এস তথ্য জানান।
তিনি বলেন, গ্রেফতার দুজনের নাম- হাসানুজ্জামান শাওন (৩৬) ও আমির হোসেন (৩২)। অভিযানে অপহরণে ব্যবহৃত গাড়িটিও উদ্ধার করা হয়েছে। গত ১৮ এপ্রিল দুপুরে রাজধানীর উত্তরার বিএনএস সেন্টারের বিপরীত পাশের সড়ক থেকে এক ব্যক্তিকে তুলে নিয়ে যাওয়ার ভিডিও ওই রাতে ফেসবুকে পোস্ট করেন নোমান আহমেদ নাফিজ নামের বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ভর্তিচ্ছু। পরে ভিডিওটি ছড়িয়ে পড়ে।
Advertisement
ভিডিওতে দেখা যায়, সড়ক দিয়ে হেঁটে যাওয়া মাস্ক পরা এক ব্যক্তিকে জবরদস্তি করে প্রাইভেটকারে তোলেন তিন ব্যক্তি। তখন আশপাশের লোকজন এগিয়ে এলে তাদের ওপরও চড়াও হন ওই ব্যক্তিরা। এরপর গাড়িটি বিমানবন্দরের দিকে দ্রুত সটকে পড়েন। ওই ঘটনার পর প্রথম দুইদিন বিষয়টি নিয়ে কূল কিনারা করতে পারেনি বলে পুলিশ জানিয়েছিল।
ডিসি তালেবুর রহমান বলেন, ওই ব্যক্তিকে অপহরণের পর গাড়িটি ঢাকা-ময়মনসিংহ হাইওয়ে দিয়ে পালিয়ে যায়। ঘটনাটির একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হলে উত্তরা-পূর্ব থানা পুলিশের নজরে আসে। থানার একটি দল ঘটনাস্থল ও আশপাশের সিসি ক্যামেররা ভিডিও বিশ্লেষণ করে ও প্রযুক্তির সহায়তায় অপহরণকারীদের ও অপহরণে ব্যবহৃত সেডান কারটি শনাক্ত করে।
এরপর গত সোমবার ভোর সাড়ে ৫টার দিকে রাজধানীর খিলগাঁও এলাকা থেকে হাসানুজ্জামান শাওনকে গ্রেফতার করা হয়। এ সময় তার কাছ থেকে অপহরণের কাজে ব্যবহৃত কারটি জব্দ করা হয়। পরবর্তীতে শাওনের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জের পূর্ব চনপাড়া থেকে আমির হোসেনকে গ্রেফতার করা হয়। তবে পুলিশ এখনো ভুক্তভোগী আরিফ নামের ওই ব্যক্তিকে খুঁজে পায়নি, অপহরণে জড়িত অন্যদের গ্রেফতার ও আরিফের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ।
টিটি/বিএ/জিকেএস
Advertisement