আইন-আদালত

তদন্ত প্রতিবেদনের পর অপরাধ ট্রাইব্যুনালের বিচারিক প্রক্রিয়া কী?

তদন্ত প্রতিবেদনের পর অপরাধ ট্রাইব্যুনালের বিচারিক প্রক্রিয়া কী?

জুলাই-আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় সংঘটিত হত্যা, গণহত্যাসহ মানবতাবিরোধী অপরাধে জড়িত থাকার অভিযোগে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ১৪৫ জনের বিরুদ্ধে তদন্ত চলছে। এ অভিযোগে এখন পর্যন্ত আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে ২৩টি মামলা (মিস কেস) হয়েছে। এগুলোর মধ্যে রাজধানীর চাঁনখারপুলে ছয়জনকে হত্যার ঘটনায় আট পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে তদন্ত শেষে প্রতিবেদন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর কার্যালয়ে চিফ প্রসিকিউটরের কাছে জমা দেওয়া হয়েছে। এখন এই মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের জন্য আনুষ্ঠানিক অভিযোগ (ফরমাল চার্জ) দাখিল এবং পরবর্তী প্রক্রিয়া কী হবে সেটি নিয়ে চলছে আলোচনা।

Advertisement

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইন (আইসিটি অ্যাক্ট) অনুযায়ী তদন্ত প্রতিবেদন প্রসিকিউশনে দাখিল করার পর সেটি যাচাই-বাছাই করে রাষ্ট্রপক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল করবে। এরপর রাষ্ট্রপক্ষ (প্রসিকিউটর) অভিযোগ গঠনের জন্য এবং আসামিপক্ষ (ডিফেন্স) অভিযোগ গঠন না করার জন্য শুনানি করবে। শুনানির পর অভিযোগ গঠন করা হবে কি না সেই আদেশ দেবেন ট্রাইব্যুনাল। আনুষ্ঠানিক অভিযোগ গঠনের পর বিচার কাজ শুরু হয়। রায় ঘোষণার মধ্য দিয়ে শেষ হয় ট্রাইব্যুনালের বিচার কাজ। এরপর নিয়ম অনুযায়ী রায় ঘোষণার এক মাসের মধ্যে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে আবেদন করতে পারবে আসামিপক্ষ।

চাঁনখারপুলে ছয়জনকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় তদন্ত প্রতিবেদন চূড়ান্ত করে গত ২০ এপ্রিল ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলামের কাছে জমা দেন তদন্ত কর্মকর্তা ও তদন্ত সংস্থার উপপরিচালক মো. মনিরুল ইসলাম। প্রতিবেদনে আট পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়।

আরও পড়ুন

Advertisement

আরও একটি ট্রাইব্যুনাল প্রতিষ্ঠার নীতিগত সিদ্ধান্ত হয়েছে ৪ আসামি ট্রাইব্যুনালে, তদন্ত প্রতিবেদন নিয়ে শুনানি আজ হাতকড়া পরানো নিয়ে পুলিশকে ইনু-শাজাহান খানের হুমকি জামায়াত নেতা আজহারুল ইসলামের আপিল শুনানি ৬ মে

আসামিরা হলেন ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) সাবেক কমিশনার হাবিবুর রহমান, সাবেক যুগ্ম কমিশনার সুদীপ কুমার চক্রবর্তী, রমনা অঞ্চলের সাবেক অতিরিক্ত উপকমিশনার শাহ আলম মো. আখতারুল ইসলাম, রমনা অঞ্চলের সাবেক সহকারী কমিশনার মোহাম্মদ ইমরুল, শাহবাগ থানার সাবেক পরিদর্শক মো. আরশাদ হোসেন, কনস্টেবল মো. সুজন হোসেন, ইমাজ হোসেন ও মো. নাসিরুল ইসলাম। এই আট আসামির মধ্যে শেষের চারজন এখন কারাগারে, বাকিরা পলাতক। কারাগারে থাকা চার আসামিকে নিয়মিত ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হচ্ছে।

তদন্ত কর্মকর্তা মনিরুল ইসলাম প্রতিবেদন দাখিলের বিষয়টি জাগো নিউজকে নিশ্চিত করলেও আর কোনো কথা বলতে রাজি হননি।

কী আছে তদন্ত প্রতিবেদনে?

চিফ প্রসিকিউটর কার্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী, এ মামলার তদন্ত শেষ করতে ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থার সময় লেগেছে ছয় মাস ১৩ দিন। মূল প্রতিবেদনটি ৯০ পৃষ্ঠার। তদন্ত প্রতিবেদন প্রস্তুত করতে ৭৯ সাক্ষীর জবানবন্দি গ্রহণ করা হয়েছে। প্রতিবেদনের সঙ্গে ঘটনার তথ্যপ্রমাণ হিসেবে ১৯টি ভিডিও, দুটি অডিও রেকর্ড, সংবাদপত্রের ১১টি প্রতিবেদন ও ছয়জনের মৃত্যুসনদ দাখিল করা হয়েছে। এছাড়া জুলাই গণহত্যা নিয়ে জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনারের দপ্তরের (ওএইচসিএইচআর) তথ্যানুসন্ধান দলের প্রতিবেদনও মূল তদন্ত প্রতিবেদনের সঙ্গে যুক্ত করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন চিফ প্রসিকিউটর মুহাম্মদ তাজুল ইসলাম।

তদন্ত প্রতিবেদনের সারসংক্ষেপে বলা হয়েছে, গণঅভ্যুত্থানের সময় উল্লিখিত আসামিরা চাঁনখারপুল এলাকায় নিরস্ত্র ও শান্তিপূর্ণ আন্দোলনকারীদের ওপর প্রাণঘাতী অস্ত্র ব্যবহার করেন। এতে শাহরিয়ার খান আনাস, শেখ মাহদি হাসান জুনায়েদ, মো. ইয়াকুব, মো. রাকিব হাওলাদার, মো. ইসমামুল হক ও মানিক মিয়া গুলিবিদ্ধ হয়ে শহীদ হন। পলাতক আসামি সাবেক ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমানসহ অন্য আসামিরা মানবতাবিরোধী অপরাধ করেছেন বলে প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হয়েছে।

Advertisement

আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল ও বিচারিক প্রক্রিয়া

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থার পক্ষ থেকে চাঁনখারপুলের ঘটনায় তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের পর রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী তথা প্রসিকিউশন (ফরমাল চার্জ) আনুষ্ঠানিক অভিযোগ গঠনের আর্জি জানাবেন। রাষ্ট্রপক্ষ ও আসামিপক্ষের শুনানি শেষে আদালত সন্তুষ্ট হলে অভিযোগ গঠন করে রাষ্ট্রপক্ষের সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য দিন ঠিক করবেন। মামলায় পলাতক থাকা আসামিদের উপস্থিত হওয়ার জন্য গণমাধ্যমে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হবে। আসামিরা উপস্থিত না হলে তাদের পলাতক দেখিয়ে রাষ্ট্রপক্ষ থেকে আইনজীবী নিয়োগ দিয়ে আসামিপক্ষে শুনানি অনুষ্ঠিত হবে। এরপর রাষ্ট্রপক্ষের প্রয়োজনীয় সাক্ষী (পিডব্লিউ) উপস্থাপন শেষ হলে আসামিপক্ষ চাইলে তাদের পক্ষে সাফাই সাক্ষ্য (ডিডব্লিউ) দিতে পারবেন। উভয়পক্ষে সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে মামলায় যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করার মধ্য দিয়ে রায় ঘোষণা করা হবে।

আরও পড়ুন

শেখ হাসিনাসহ ১১ আসামির বিরুদ্ধে প্রতিবেদন ২৪ জুন কাদেরসহ ৪৫ জনের বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল ২০ জুলাই গণহত্যার মামলায় শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে তদন্ত প্রায় চূড়ান্ত শেখ হাসিনার বিচারে বিলম্ব হচ্ছে না: আইন উপদেষ্টা

এই মামলার তদন্তের বিষয়ে চিফ প্রসিকিউটর মুহাম্মদ তাজুল ইসলাম জাগো নিউজকে বলেন, আমরা বলেছিলাম মার্চ মাসে কমপক্ষে একটা প্রতিবেদন নিয়ে ফরমাল চার্জ দাখিল করবো। কিন্তু মার্চ মাসে রোজা থাকায় এবং রোজা শেষে ঈদের ছুটির পর চলতি মাসে আমাদের কাছে একটি তদন্ত প্রতিবেদন পৌঁছেছে, সেটি হলো রাজধানীর চাঁনখারপুলের হত্যাকাণ্ডের ঘটনায়।

চিফ প্রসিকিউটর বলেন, ‘এখন প্রতিবেদনটি যাচাই-বাছাই করে প্রসিকিউশন টিম থেকে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ (ফরমাল চার্জ) দাখিল করবো। আনুষ্ঠানিক অভিযোগ গঠনের মধ্যে দিয়ে বিচার কাজ শুরু হবে।’

কবে নাগাদ আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল করা হতে পারে সেই প্রশ্নের জবাবে তাজুল ইসলাম বলেন, ‘আনুষ্ঠানিক অভিযোগ আমরা পর্যালোচনা করবো। আবার চিফ প্রসিকিউটর অফিস পর্যালোচনা করে মামলার তদন্ত প্রতিবেদন নাকচ করে দিতে পারেন। যদি আমাদের কাছে ত্রুটিযুক্ত মনে হয়, তাহলে পুনরায় তদন্তের জন্য পাঠানো হতে পারে। সঠিক মনে হলে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল করবো।’

আরও পড়ুন

র‌্যাবের সাবেক কর্মকর্তা সোহায়েলকে ট্রাইব্যুনালে হাজিরের নির্দেশ অসত্য খবর প্রকাশের নিন্দা ও প্রতিবাদ ট্রাইব্যুনাল প্রসিকিউশনের ৩৩৯ অভিযোগে ১৪১ জনের বিরুদ্ধে পরোয়ানা, গ্রেফতার ৫৪ কাদেরসহ ১০ জনকে গ্রেফতারে ইন্টারপোলকে রেড অ্যালার্ট জারির অনুরোধ

আনুষ্ঠানিক অভিযোগ গঠনের পর মামলার প্রক্রিয়া কী হবে জানতে চাইলে চিফ প্রসিকিউটর জানান, আসামিদের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ বা মামলায় ফরমাল চার্জ গঠনের জন্য পলাতক আসামিদের প্রতি ট্রাইব্যুনাল থেকে দেশের জাতীয় দৈনিকে সমন জারির বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হবে। যারা গ্রেফতার আছেন তারা তো কারাগারেই আছেন। কিন্তু চাঁনখারপুলের এই মামলায় যে সব আসামি পলাতক থাকবেন তাদের উপস্থিত হওয়ার জন্য পত্রিকায় প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তির পরও যদি তারা আত্মসমর্পণ না করেন বা গ্রেফতার না হন তাহলে আইন অনুযায়ী তাদের অনুপস্থিতিতে বিচার কাজ শুরু হবে এবং আসামিরা রাষ্ট্রীয় খরচে তাদের পক্ষে আইনজীবী পাবেন। রাষ্ট্রীয় খরচে নিযুক্ত আইনজীবীরা তাদের পক্ষে মামলায় লড়াই করবে এই হলো নিয়ম।

তাজুল ইসলাম বলেন, বিচার শুরুর পরে সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য দিন ঠিক করা হবে। সেদিন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী তথা প্রসিকিউশনের পক্ষ থেকে ওপেনিং স্টেটমেন্ট উপস্থাপন করা হবে। এরপর রাষ্ট্রপক্ষ তার সাক্ষী ও জেরা উপস্থাপন শুরু করবে। চাইলে আসামিপক্ষ তাদের সাক্ষী ও জেরা উপস্থাপন শুরু করবে। উভয় পক্ষের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে অনুষ্ঠিত হবে আর্গুমেন্ট (যুক্তি-তর্ক)। যুক্তি-তর্ক শেষে রায় ঘোষণার দিনক্ষণ ঠিক করে রায় দেওয়া হবে।

২০১০ থেকে ২০২৪ আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল

২০০৮ সালে নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের ইশতেহারের একটি বিষয় ছিল মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে অভিযুক্তদের বিচার। সেই নির্বাচনে জয়ী হওয়ার পর প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী বিচারের উদ্যোগ নেন শেখ হাসিনা। ১৯৭৩ সালে প্রণীত আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইনের অধীনে অভিযুক্তদের তদন্ত এবং বিচারের উদ্যোগ নেওয়া হয়।

মূলত ১৯৭১ সালে বাংলাদেশে স্বাধীনতা যুদ্ধে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারের জন্যই এই আইনটি প্রণয়ন করা হয়েছিল। তবে ২০১০ সালের আগে আইনে কারও বিচার বা সাজা হয়নি। ২০০৯ সালে সংসদ অধিবেশনে ‘যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করার’ বিষয়ে একটি মৌখিক প্রস্তাব পাস হয়। পরবর্তীসময়ে ট্রাইব্যুনালে ব্যক্তি এবং গোষ্ঠীকেও বিচারের আওতায় আনা এবং স্বাধীনভাবে ট্রাইব্যুনালের বিচারকাজ পরিচালনার বিধান যুক্ত করে আইনে কিছু সংশোধনী আনা হয়। এর মাধ্যমেই ২০১০ সালে ট্রাইব্যুনাল, আইনজীবী প্যানেল এবং তদন্ত সংস্থা গঠন করা হয়।

২০১০ সালের ২৫ মার্চ বিচারপতি নিজামুল হককে চেয়ারম্যান, বিচারপতি এ টি এম ফজলে কবীর ও অবসরপ্রাপ্ত জেলা জজ এ কে এম জহির আহমেদকে সদস্য করে গঠিত হয় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। এর পরে ২০২৪ সালে ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর জুলাই-আগস্টে হওয়া গণহত্যার বিচারের জন্য ১৪ অক্টোবর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল পুনর্গঠন করা হয়। ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান করা হয়েছে বিচারপতি গোলাম মর্তুজা মজুমদারকে। বিচারিক প্যানেলে আরও আছেন বিচারপতি মো. শফিউল আলম মাহমুদ এবং অবসরপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ মহিতুল হক এনাম চৌধুরী।

আরও পড়ুন

আবু সাঈদ হত্যা মামলার তদন্ত দুই মাসের মধ্যে শেষ করার নির্দেশ গণহত্যাকারীদের বিচার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালেই হবে ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজকে নিয়ে যত বিতর্ক আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে আইনজীবীদের গাউন পরতে হবে

গণহত্যার দুই মামলার প্রথম শুনানি হয় ১৭ অক্টোবর। সেখানে সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা, সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক মন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরসহ ৪৬ জনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়। দুটি মামলায় তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য এ পর্যন্ত তিনবার সময় বাড়ানো হয়েছে।

আনুষ্ঠানিকভাবে অভিযোগ দাখিল শুনানি ২৫ মে

চাঁনখারপুলে আনাসসহ ছয়জনকে হত্যার ঘটনায় আট পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিলের জন্য ২৫ মে পর্যন্ত সময় দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। প্রসিকিউশনের সময় আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গত ২৩ এপ্রিল ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি গোলাম মতুর্জা মজুমদারের নেতৃত্বে গঠিত তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল এ আদেশ দেন।

শুনানিতে ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম বলেন, চাঁনখারপুলের মামলার তদন্ত প্রতিবেদন চূড়ান্ত করে গত ২০ এপ্রিল চিফ প্রসিকিউটর কার্যালয়ে জমা দিয়েছে তদন্ত সংস্থা। এখন এই মামলার আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিলের জন্য চার সপ্তাহ সময় প্রয়োজন। ট্রাইব্যুনাল এই আবেদন মঞ্জুর করে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিলের জন্য ২৫ মে পরবর্তী দিন ধার্য করেছেন।

এফএইচ/এমএমএআর/জেআইএম