মিডটার্ম পরীক্ষার পাঁচদিন আগে বাবাকে হারান ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির (ইউআইউ) ছাত্রী সুস্মিতা আফরিন। কয়েক বছর আগে একমাত্র ভাইকে হারানো এ বিশ্ববিদ্যালয়ছাত্রী বাবার মৃত্যুতে শোকে মুষড়ে পড়েন। এতে নির্ধারিত তারিখে পরীক্ষা দিতে পারেননি।
Advertisement
বাবার মেডিকেল ডেথ সার্টিফিকেট হাতে নিয়ে যান বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ নুরুল হুদার কাছে। তাতেও মন গলেনি বিভাগীয় প্রধানের। নির্দেশনা দেন— স্থানীয় কমিশনার অথবা ডিসির কাছ থেকে ডেথ সার্টিফিকেট সত্যায়িত করে আনতে হবে। দুদিন অনেক চেষ্টা করেও তা জোগাড় করতে না পেরে সুস্মিতা আবারও ছুটে যান বিভাগীয় প্রধানের কাছে। সারাদিন বসে থেকেও শিক্ষকের সঙ্গে দেখা করতে পারেননি তিনি। এতে রাগে-ক্ষোভে ফেসবুকে পোস্ট দেন, যা ভাইরাল হয়।
সুস্মিতা আফরিন জাগো নিউজকে বলেন, ‘কয়েক বছর আগে একমাত্র ভাইকে হারিয়েছি। পরীক্ষার পাঁচদিন আগে বাবা চলে গেলেন। বাবাকে চিরবিদায় দিয়ে ক্যাম্পাসে ফিরলাম। বাসা থেকে ফিরে ডিপার্টমেন্ট হেডের কাছে গেলাম। ওনাকে ডেথ সার্টিফিকেট দেখালাম। মনে হলো উনি বিশ্বাসই করলেন না। আমার বাবা মারা গেছেন, মেডিকেল থেকে সার্টিফিকেট দিয়েছেন। অথচ সেটা কমিশনার বা ডিসিকে সত্যায়িত করানো লাগবে। এটা কেমন কথা! স্যারের এমন আচরণে আমি প্রচণ্ডরকম ভেঙে পড়েছিলাম।’ শুধু সুস্মিতা নন, একই দিন (২২ এপ্রিল) আরও এক ছাত্রী তার খালার মৃত্যুর কারণে পরীক্ষায় অংশ নিতে পারেননি জানিয়ে ইমপ্রুভমেন্ট দেওয়ার অনুমতি চান। তাকেও দ্বারে দ্বারে ঘুরতে হয় বেশ কয়েকদিন। কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ছাত্রী সুস্মিতার ফেসবুক পোস্ট ভাইরাল হওয়ার পর আরও অনেক শিক্ষার্থী একই রকম অভিযোগ তুলতে শুরু করেন। কেউ জানান টাইফয়েডে আক্রান্ত হয়েও ছাড় পাননি, কেউ সড়ক দুর্ঘটনায় অসুস্থ হয়েও বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের অমানবিক আচরণের শিকার হয়েছেন। অনেক সাবেক শিক্ষার্থীও তাদের সঙ্গে ঘটা অমানবিক আচরণের ঘটনা ফেসবুকে পোস্ট দিচ্ছেন।
মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় পড়েছি, এটা নাকি আমাদের দোষ। আমি রাফ গাড়ি চালাই। শিক্ষকরা এ নিয়ে বকাঝকা করেন। সেটাও মেনে নিয়েছি। কারণ শিক্ষকরা শাসন করতে পারেন। কিন্তু আমি দুর্ঘটনায় পড়েছিলাম এটা নিয়ে পত্রিকায় নিউজও হয়েছিল।–শিক্ষার্থী ফারদিন রহমান
Advertisement
শিক্ষার্থীদের একের পর এক এমন অভিযোগে প্রশ্ন উঠেছে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ইউআইইউ কী এতই অমানবিক? বাবা-মা কিংবা স্বজনদের মৃত্যু, অসুস্থতা, সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হওয়ার পরও শিক্ষার্থীদের কোনো ছাড় দেয় না কর্তৃপক্ষ!
শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, শিক্ষার্থীদের স্বার্থ-সংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়ে অতি সম্প্রতি আরও একবার আন্দোলন করেছেন তারা। তখন কর্তৃপক্ষ সব দাবি মেনে নেওয়ার আশ্বাস দেন। অমানবিক আচরণ পরিহার করা হবে বলেও কথা দিয়েছিলেন তারা। অথচ কয়েক মাসের ব্যবধানে আবারও একই রকম স্বৈরাচারী আচরণ করছে কর্তৃপক্ষ। ফলে বাধ্য হয়ে তারা আন্দোলনে নেমেছেন। আরও পড়ুন
মিথ্যা অভিযোগ তুলে শিক্ষার্থীদের ‘ভিলেন’ বানাচ্ছে ইউআইইউ প্রশাসন ইউআইইউ বন্ধে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় সমিতির উদ্বেগ ইউআইইউ অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা পদত্যাগের পর ইউআইইউ’র ভিসি-ডিন-বিভাগীয় প্রধানরা অবরুদ্ধযদিও কর্তৃপক্ষ বলছে, ইউআইইউ বছরে শিক্ষার্থীদের প্রায় ১৬ কোটি টাকার স্কলারশিপ দেয়। সব সময় শিক্ষার্থীবান্ধব ও শিক্ষা-গবেষণাকে উৎসাহিত করে। সেখানে দু-একজনের আচরণ বা অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা দিয়ে পুরো বিশ্ববিদ্যালয়কে দায়ী করা উচিত নয়।
অমানবিক আচরণের আরও যত অভিযোগইউআইইউর কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের আরেক শিক্ষার্থী চিকেন পক্সে আক্রান্ত হন। সুস্থ হওয়ার পর তিনি মিডটার্মের ইমপ্রুভমেন্ট দিতে চান। এজন্য তিনি বিভাগীয় প্রধানের কাছে আবেদন করেন। কিন্তু তাকে দিনের পর দিন ঘুরতে হয়েছে বলে অভিযোগ করেন ওই শিক্ষার্থী।
Advertisement
নাম প্রকাশ না করে জাগো নিউজকে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী বলেন, ‘চিকেন পক্স হওয়ায় দুই সপ্তাহ বের হতে পারিনি। পক্স নিয়ে কীভাবে পরীক্ষা দেবো? পক্স সেরে ওঠার পর ক্যাম্পাসে এসেছি। আমার হাত-পা, মুখভর্তি পক্সের দাগ তখনও দেখা যাচ্ছে। তারপরও আমাকে বলা হলো মেডিকেল সার্টিফিকেট লাগবে। কিন্তু পক্সের জন্য তো আমি কোনো চিকিৎসক দেখাইনি। তাহলে মেডিকেল সার্টিফিকেট পাবো কোথায়? বাধ্য হয়ে আমাকে তিন ক্রেডিটের জন্য সাড়ে চার হাজার টাকা দিয়ে পরীক্ষায় অংশ নিতে হয়েছে।’
শিক্ষার্থীরা আমার সঙ্গে কথা বলতে এলে আমি ১০-১৫ মিনিট সময় দেই তাদের। কিন্তু সেদিন সময়টা বের করতে পারিনি। সবমিলিয়ে যা হয়েছে, তার জন্য আমি ক্ষমা চাইছি। আমার ভুল স্বীকার করে নিচ্ছি।- অধ্যাপক নুরুল হুদা
মোজাহিদুল ইসলাম নামে সাবেক এক শিক্ষার্থীও বিস্তর অভিযোগ তুলেছেন। তিনি তার ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে লিখেছেন, ‘টাইফয়েডে আক্রান্ত হয়েছিলাম। মেসে সেবা করার কেউ নেই। বাধ্য হয়ে গ্রামের বাড়ি চলে যাই। এটা আমার সহপাঠী-বন্ধু ও শিক্ষকরা সবাই জানতেন। কিছু সুস্থ হয়ে ফিরে এলাম, আবেদন করলাম। কিন্তু আবেদন মঞ্জুর করে আমাকে ফ্রি ইমপ্রুভমেন্ট দেওয়ার যে সুযোগ তা দেওয়া হলো না। এটা কতবড় অমানবিক আচরণ এবং একজন শিক্ষার্থীর জন্য মানসিক চাপ তা শিক্ষকরা বুঝতেই চাননি। তাহলে শিক্ষকদের সম্মানের জায়গাটা কোথায়?’ মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় বাম হাত ও পা কেটে-ছিলে যায় ইউআইউর সাবেক শিক্ষার্থী ফারদিন রহমানের। তাছাড়া কোমরে ও হাতের বাহুতে প্রচণ্ড আঘাত পাওয়ায় এক সপ্তাহ হাত নড়াচড়া করতে পারেননি তিনি। এতে পরীক্ষায় বসতে পারেননি। সুস্থ হয়ে এসে তিনিও অন্য সবার মতো শিক্ষকদের কাছে নিগৃহীত হয়েছেন বলে অভিযোগ করেন।
ফারদিন রহমান জাগো নিউজকে বলেন, ‘মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় পড়েছি, এটা নাকি আমাদের দোষ। আমি রাফ গাড়ি চালাই। শিক্ষকরা এ নিয়ে বকাঝকা করেন। সেটাও মেনে নিয়েছি। কারণ শিক্ষকরা শাসন করতে পারেন। কিন্তু আমি দুর্ঘটনায় পড়েছিলাম এটা নিয়ে পত্রিকায় নিউজও হয়েছিল। তারপরও আমার আবেদন তারা গ্রহণ করতে গড়িমসি করেন। অনেক ঘুরে ঘুরে সেটা করাতে হয়েছিল।’
যা বলছেন অভিযুক্ত শিক্ষক ও ইউআইইউ কর্তৃপক্ষসুস্মিতা আফরিন নামে ওই শিক্ষার্থীর সঙ্গে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার জন্য ক্ষমা চেয়েছেন সিএসই বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ নুরুল হুদা। একটি বিবৃতিও তিনি দিয়েছেন। জানতে চাইলে অধ্যাপক নুরুল হুদা মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) দুপুরে জাগো নিউজকে বলেন, ‘ইঞ্জিনিয়ারিং ডিগ্রির আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি নিয়ে একটা ঝামেলা রয়েছে। এটা ২০২৩ সাল থেকে আমাদের পেন্ডিং (ঝুলে থাকা)। সেটা নিয়ে কাজ চলছিল। এ কারণে ওই দু-তিনদিন আমি চরম ব্যস্ত ছিলাম। শিক্ষার্থীদের কল্যাণেই এ কাজটি করা হচ্ছিল। শিক্ষার্থীরা আমার সঙ্গে কথা বলতে এলে আমি ১০-১৫ মিনিট সময় দেই তাদের। কিন্তু সেদিন সময়টা বের করতে পারিনি। সবমিলিয়ে যা হয়েছে, তার জন্য আমি ক্ষমা চাইছি। আমার ভুল স্বীকার করে নিচ্ছি।’ ডেথ সার্টিফিকেট আনার পরও সত্যায়িত কেন লাগবে—এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘স্থানীয় কাউন্সিলরের কাছ থেকে সার্টিফিকেট বা প্রত্যয়নটা এলে ভালো হয়। তারপরও আমার উচিত হয়নি এটা করা। ব্যস্ততা না থাকলে হয়তো কথা বলে তখনই এটা সমাধান হয়ে যেতো। সেদিন যে ছাত্রী এসেছিল, তার সঙ্গে আরও একজন এসেছিল; যার কি না খালা মারা গেছেন। সে তো ডেথ সার্টিফিকেট এনে গত শনিবার (২৬ এপ্রিল) অনুমোদন নিয়ে গেছে। যার খালা মারা গেলো তাকে আমরা দিলাম আর বাবা হারানো ছাত্রীকে দেবো না, তা তো না। অবশ্যই তাকে ফ্রি পরীক্ষাটা দিতে দেওয়া হতো এবং হবে।’ পুরো ঘটনা বুঝে ওঠার আগেই শিক্ষার্থীরা বড় মুভমেন্টে চলে গেছে বলে মনে করেন সদ্য পদত্যাগ করা উপাচার্য অধ্যাপক ড. আবুল কাসেম মিয়া। তিনি জাগো নিউজকে বলেন, ‘বৃহস্পতিবার ওই ছাত্রী ফেসবুকে পোস্ট দিয়েছে। শুক্রবার ছুটির দিন। শনিবার আমি অফিসে এলাম। দুপুরে শুনি আমার পদত্যাগ দাবিতে তারা অনশন করছেন। আমি জানতে চাইলাম কেন আমাকে পদত্যাগ করতে হবে? তারা বললেন, শিক্ষার্থীদের দেওয়া আলটিমেটামকে নাকি আমি পাত্তা দেইনি। অথচ আমি জানিই না যে আলটিমেটাম দেওয়া হয়েছে। তাদের কাছে জানতে চাইলাম আলটিমেটাম কবে কার কাছে দিয়েছ? ছাত্ররা জানালেন—তারা ফেসবুকে আলটিমেটাম দিয়েছেন। তাহলে আমি তো ফেসবুকের আলটিমেটাম দেখিনি বা অতটা ব্যবহার করি না ফেসবুক।’
এটা উচিত হয়নি। ইউআইইউ এ ধরনের আচরণ সমর্থন করে না। কিন্তু ফেসবুকে পোস্ট দিলেই তো আমরা সঙ্গে সঙ্গে একজন বিভাগীয় প্রধানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারি না। আমারও তো আইন মানতে হবে। ঘটনা তদন্ত করে প্রাথমিক সত্যতা পেলে ব্যবস্থা নেওয়া যায়।- সদ্য পদত্যাগ করা উপাচার্য অধ্যাপক ড. আবুল কাসেম
শিক্ষার্থীদের সঙ্গে অমানবিক আচরণের অভিযোগ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘এটা উচিত হয়নি। ইউআইইউ এ ধরনের আচরণ সমর্থন করে না। কিন্তু ফেসবুকে পোস্ট দিলেই তো আমরা সঙ্গে সঙ্গে একজন বিভাগীয় প্রধানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারি না। আমারও তো আইন মানতে হবে। ঘটনা তদন্ত করে প্রাথমিক সত্যতা পেলে ব্যবস্থা নেওয়া যায়। কিংবা অভিযোগ পেলেও সাময়িকভাবে ব্যবস্থা নেওয়া যায়। সেই সুযোগটাও তো পেলাম না। তার আগেই পদত্যাগ করতে বাধ্য করা হলো।’ ইউআইইউ শিক্ষার্থীদের সঙ্গে অমানবিক আচরণ করেছে, এটা শুনতেই মনটা বিষিয়ে উঠছে বলে জানালেন হাসান মাহমুদ রাজা। তিনি জাগো নিউজকে বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের প্রতি অমানবিক আচরণ করাকে আমরা প্রশ্রয় দেই না। তেমনি শিক্ষকদের সঙ্গেও কোনো ছাত্র-ছাত্রী বাজে আচরণ করাটা গ্রহণযোগ্য নয়। যে কোনো যৌক্তিক দাবি শিক্ষার্থীরা অবশ্যই করতে পারে, সেটা তো স্বাভাবিক। কিন্তু বাজে আচরণের বিষয়টি কল্পনা করতে পারছি না। আমরা ফ্যাক্টস ফাইন্ডিং কমিটি করেছি। প্রতিবেদন পেলে সেখানে যেই দায়ী হোক, ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
বিক্ষোভ-অনশন, পদত্যাগ ও বন্ধ ঘোষণায় ‘অচলাবস্থা’অমানবিক আচরণের অভিযোগ তুলে গত ২৪ এপ্রিল ফেসবুকে পোস্ট দেন এক ছাত্রী। পরদিন ২৫ এপ্রিল এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম সরগরম হয়ে ওঠে। ২৬ এপ্রিল সকাল ৯টা থেকে ক্যাম্পাসে অবস্থান কর্মসূচি ঘোষণা করেন শিক্ষার্থীরা। তাতে অমানবিক আচরণ করা সিএসই বিভাগের প্রধান অধ্যাপক নুরুল হুদার পদত্যাগসহ তিন দফা দাবি জানান তারা।
আন্দোলন দমাতে ২৬ এপ্রিল দুপুরে ক্যাম্পাসে ইন্টারনেট সংযোগ বন্ধসহ কিছু পদক্ষেপ নেওয়ার অভিযোগ ওঠে উপাচার্য অধ্যাপক আবুল কাসেম মিয়ার বিরুদ্ধে। এরপর দুপুর থেকে শিক্ষার্থীরা উপাচার্য ও সিএসই বিভাগের প্রধানের পদত্যাগের দাবিতে অনশন শুরু করেন। একই দিন রাত ৯টার দিকে পদত্যাগের ঘোষণা দেন উপাচার্য। একই সঙ্গে ডিন, বিভাগীয় প্রধানসহ ১০ জন শিক্ষক পদত্যাগপত্র জমা দেন।
শিক্ষকদের একযোগে পদত্যাগকে সাজানো নাটক অভিহিত করে রাতভর ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ। পাশাপাশি ‘কৌশলী পদত্যাগপত্র’ দেওয়ায় তাতে পরিবর্তন আনার দাবি জানিয়ে উপাচার্যকে অবরুদ্ধ করেন শিক্ষার্থীরা। উপাচার্য ও অন্য শিক্ষকদের পদত্যাগপত্র প্রত্যাহারের দাবিতে বিক্ষোভ করেন তারা। রোববার (২৭ এপ্রিল) ভোরের দিকে ক্যাম্পাস ছাড়েন উপাচার্য। ২৮ এপ্রিল বিশ্ববিদ্যালয় অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়। পুরো ঘটনা তদন্তে তিন সদস্যের ফ্যাক্টস ফাইন্ডিংস কমিটি গঠন করে বিশ্ববিদ্যালয়টির ট্রাস্টি বোর্ড। সবশেষ মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের স্বৈরাচারী অবস্থান ও শিক্ষার্থীদের নির্যাতন করার অভিযোগ নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনে যান শিক্ষার্থীরা। তারা সেখানে সমস্যা সমাধান করতে ইউজিসি কর্তৃপক্ষকে স্মারকলিপি দেন।
এএএইচ/এএসএ/এমএস