আইন-আদালত

১৭৭৭৭ শ্রমিকের মালয়েশিয়া যাওয়া-অর্থ ফেরতের অগ্রগতি জানাতে নির্দেশ

১৭৭৭৭ শ্রমিকের মালয়েশিয়া যাওয়া-অর্থ ফেরতের অগ্রগতি জানাতে নির্দেশ

সব প্রক্রিয়া সম্পন্ন হওয়ার পরও মালোয়েশিয়া যেতে না পারা ১৭ হাজার ৭৭৭ জন শ্রমিকের টাকা ফেরত দেওয়া এবং তাদের মালোয়েশিয়ায় যাওয়ার বিষয়ে অগ্রগতি জানাতে প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

Advertisement

আগামী ২৭ আগস্টের মধ্যে মন্ত্রণালয়ে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করে অগ্রগতি প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করতে বলা হয়েছে।

রোববার (২৭ এপ্রিল) বিচারপতি ফাহমিদা কাদের ও বিচারপতি মুবিনা আসাফ সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন। এর আগে মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে হাইকোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী এ সংক্রান্ত প্রতিবেদন দাখিল করা হয়। প্রতিবেদনে ১৭ হাজার ৭৭৭ জনের মালোয়েশিয়ায় যেতে না পারার দায় রিক্রুটিং এজেন্সিগুলোর বলে উল্লেখ করা হয়।

আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী তানভীর আহমেদ।

Advertisement

প্রতিবেদনে বলা হয়, বৈদেশিক কর্মসংস্থান ও অভিবাসী আইন ২০১৩(সংশোধিত ২০২৩) এর ধারা ১৫ (ক) এবং এর আওতায় প্রণীত বিধিমালা মোতাবেক অভিবাসী কর্মীর বিএমইটি থেকে বহির্গমন ছাড়পত্র সংগ্রহ করা, অভিবাসী কর্মীকে কর্মে নিয়োগের ব্যবস্থা করা এবং তার কর্ম পরিবেশসহ অন্যান্য সুযোগসুবিধা নিশ্চিত করা সম্পূর্ণভাবে রিক্রুটিং এজেন্সির দায়িত্ব। জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর অনুমোদনের পরও বিএমইটি হতে ক্লিয়ারেন্স কার্ড সংগ্রহ করেও ১৭ হাজার ৭৭৭ জন কর্মীকে মালোয়েশিয়ায় প্রেরণ করতে না পারার ব্যর্থতার দায়দায়িত্ব সম্পূর্ণ রূপে সংশ্লিষ্ট রিক্রুটিং এজেন্সি সমূহের ওপর বর্তায় মর্মে হাইকোর্টে প্রতিবেদন জমা দিয়েছে প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়।

আরও পড়ুন

মালয়েশিয়া যেতে না পারা ৮১ শতাংশ কর্মী টাকা ফেরত পেয়েছেন

এছাড়া প্রতিবেদনে কর্মীকে প্রেরণে ব্যর্থতা এবং দায়িত্বে অবহেলার জন্য সংশ্লিষ্ট রিক্রুটিং এজেন্সিসমূহের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ এবং যেসব কর্মী বিদেশ যেতে পারেননি তাদের কাছ থেকে গৃহীত অর্থ অবিলম্বে ফেরত দেওয়ার জন্য রিক্রুটিং এজেন্সিকে নির্দেশনা প্রদান করার সুপারিশ করা হয় প্রতিবেদনে। তবে তার সংখ্যা কত সেটি উল্লেখ করা হয়নি প্রতিবেদনে।

রিক্রুটিং এজন্সি কর্তৃক মন্ত্রণালয় নির্ধারিত সর্বোচ্চ অভিবাসন ব্যয় (৭৮,৯৯০) এর অতিরিক্ত অর্থ নিয়ে প্রাপ্ত অভিযোগসমূহের আইনানুগ নিষ্পত্তির ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করা হয়েছে প্রতিবেদনে। এছাড়া মোবাইল, হোয়াটসঅ্যাপ, ই-মেইল, ও সরাসরি মন্ত্রণালয়ে প্রাপ্ত অভিযোগ সমূহ পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে বিচার বিশ্লেষণ করে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করার পর অভিযোগকারীর পাঠানো ডকুমেন্টসহ অভিযোগের তালিকা মন্ত্রণালয়ের এনফোর্সমেন্ট শাখায় পাঠানোর জন্যে বলা হয়েছে।

Advertisement

প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব নূর মো. মাহাবুবুল হককে আহ্বায়ক করে ছয় সদস্যের তদন্ত কমিটি এ সংক্রান্ত প্রতিবেদন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীর কাছে জমা দেন। আজ সেটি আদালতে জমা দেওয়া হয়।

এর আগে সব প্রক্রিয়া শেষে চূড়ান্ত ছাড়পত্র নিয়েও প্রায় ২০ হাজারের মতো কর্মী মালয়েশিয়া যেতে না পারার ঘটনায় করা সুদসহ অর্থ ফেরত এবং কর্তৃপক্ষের নিষ্ক্রিয়তা নিয়ে রুল জারি করেন হাইকোর্ট। গত ১৬ জুলাই হাইকোর্টের বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি এস এম মাসুদ হোসাইন দোলনের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল জারি করেন।

একই সঙ্গে এ বিষয়ে কর্তৃপক্ষকে প্রতি তিন মাস পর পর আপডেট রিপোর্ট দাখিল করতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

এফএইচ/ইএ/জিকেএস