দেশজুড়ে

গো-খাদ্যে ভেজাল, দুশ্চিন্তায় খামারিরা

গো-খাদ্যে ভেজাল, দুশ্চিন্তায় খামারিরা

যশোরের শার্শায় গো-খাদ্যেও ভেজাল মেশানো হচ্ছে। অসাধু ব্যবসায়ীরা ধানের কুড়া ও নিম্নমানের আটার সঙ্গে ভুষি মিশিয়ে গো-খাদ্য তৈরি করে বাজারজাত করছে। এতে প্রতারিত হচ্ছেন খামারিরা। শুধু তাই নয়, এ খাবার খেয়ে বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছে গরু-ছাগল।

Advertisement

খামারিরা জানান, শার্শার বাগআঁচড়া বাজারের কয়েকটি পয়েন্টে রাতের অন্ধকারে ও দিনে গোডাউনের দরজা আটকে গোপনে নিম্নমানের ভুষির সঙ্গে ধানের কুড়া ও নিম্নমানের আটা মেশানো হয়। এরপর এগুলো বস্তায় ভরে বিক্রি করা হয়।

সরেজমিনে দেখা যায়, বাগআঁচড়া ময়ূরী সিনেমা হলের উত্তর পাশে আনছার আলীর বিল্ডিংয়ের গোডাউনে দিনের বেলা চলছে নিম্নমানের ভুষির সঙ্গে ধানের কুড়া ও আটা মেশানোর কাজ। মেশানো শেষ হলে তা নামি ব্রান্ডের খালি বস্তায় ভরে মেশিনের সাহায্যে মুখ সেলাই করে দেওয়া হয়। এরপর এগুলো পাঠানো হয় বাজারের বিভিন্ন দোকানে।

খামারিরা অভিযোগ করেন, এই নকল ভুষি তৈরির হোতা বাগআঁচড়া বাজারে শামীম ট্রেডার্সের মালিক শামীম হোসেনসহ আরও ৫-৬ জন অসাধু ব্যবসায়ী।

Advertisement

অভিযুক্ত শামীম হোসেন জানান, তিনি একা এ কাজ করেন না। বাগআঁচড়া বাজারের আরও ৫-৬ জন এ কাজ করেন।

সেসব ব্যবসায়ীদের নাম জানতে চাইলে তিনি বলেন, শংকপুর সড়কের ঠাকুর ঘরের সামনেও এ কাজ চলছে। বাজারের ব্যবসায়ী বাবু চেয়ারম্যান মার্কেটের ভেতরে ও বাজারের একাধিক পয়েন্টে এমন কাজ চলে।

এসময় এই ব্যবসায়ী বলতে থাকেন, শুধু আমাকে দোষারোপ করেন কেন। অন্য যারা করছে তাদের বিষয়েও দেখেন।

শার্শার সাতমাইল এলাকার খামারি নজরুল ইসলাম বলেন, আমি বাগআঁচড়া বাজার থেকে গো-খাদ্য কিনে খাওয়ানোর পর গরু অসুস্থ হয়ে পড়ে। পরে স্থানীয় পশু চিকিৎসক ডেকে এনে গরুকে সুস্থ করা হয়। পরে আমি অন্য স্থান থেকে গো-খাদ্য এনে গরুকে খেতে দিচ্ছি।

Advertisement

শার্শা উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা তপু সাহা জানান, এ কাজে যে প্রতিষ্ঠান জড়িত তাদের শনাক্ত করে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

শার্শা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ডা. কাজী নাজিব হাসান জানান, গো-খাদ্যে ভেজাল মেশানো আইনগত অপরাধ। যেসব ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান এ কাজে জড়িত তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

মো. জামাল হোসেন/জেডএইচ/এমএস