বিশ্বের সবচেয়ে বড় সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম হচ্ছে ফেসবুক। ইন্টারনেটের এই যুগে আমাদের দৈনন্দিন জীবনের গুরুত্বপূর্ণ অংশ হয়ে উঠেছে সামাজিকমাধ্যম। সব বয়সি ব্যবহারকারী আছে ফেসবুকের।
Advertisement
ফেসবুকে বিভিন্ন কিছু পোস্ট করেন, সঙ্গে জুড়ে দেন অনেক হ্যাশট্যাগ। তবে এই হ্যাশট্যাগ এখন মাথাব্যথার কারণ হয়েছে মেটার। সেটা কীভাবে? আসুন জেনে নেওয়া যাক-
এই মুহূর্তে মেটা সবচেয়ে বেশি মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে ‘স্প্যামি কনটেন্ট’। তাই ফেসবুকে ‘সাফাই অভিযানে’ নামছে মার্ক জুকারবার্গের সংস্থা। বৃহস্পতিবারই এই নিয়ে ঘোষণা করেছে তারা। জানিয়ে দিয়েছে ‘রিচ’ বাড়াতে এবং রোজগার করতে অনেকেই ফেসবুক অ্যালগরিদমের সঙ্গে ‘গেম’ খেলছেন। এবার আর এই ধরনের পোস্টকে বরদাস্ত করা হবে না।
মেটা জানিয়েছে, অনেকেই দীর্ঘ পোস্ট করেন। তারপর সেই পোস্টে প্রচুর হ্যাশট্যাগ ব্যবহার করেন। এবার থেকে এই ধরনের পোস্টে বিশেষ নজরদারি চালানো হবে। দেখা যাচ্ছে, এমন ইমেজ ব্যবহার করা হচ্ছে যার সঙ্গে পোস্টটির কোনো মিল নেই।
Advertisement
ধরুন, কেউ হয়তো কুকুরের ছবি পোস্ট করেছেন। অথচ ক্যাপশনে লিখলেন Top 10 #AIRPLANE Facts। আবার অনেকে গাড়ি সংক্রান্ত পোস্টে হ্যাশট্যাগ হিসেবে ব্যবহার করেছেন #VIRALCONTENT, #LIKEFORLIKE এবং #BOOST-এর মতো পোস্ট। এই ধরনের পোস্ট পেলে সেগুলির রিচ কমিয়ে দেওয়া হবে। কেবলমাত্র ফলোয়ারদের মধ্যেই সেই পোস্টটি সীমাবদ্ধ থাকবে। পাশাপাশি এই ধরনের পোস্ট থেকে কোনো অর্থ পাওয়া যাবে না।
এমনকি কোনো পোস্টে ‘ফেক’ কমেন্ট করে এগনেজমেন্ট বাড়াতে চাইলেও ধরে ফেলবে মেটা। নতুন ফিচার নিয়ে পরীক্ষা নিরীক্ষা করা হচ্ছে, যার সাহায্যে ইউজাররা কোনো কমেন্ট ‘অপ্রয়োজনীয়’ মনে হলে রিপোর্ট করতে পারবেন। এমনকি একই পোস্ট নানা অ্যাকাউন্ট বানিয়ে পোস্ট করলেও তার ‘মানিটাইজেশন’ বন্ধ করা হবে।
আরও পড়ুন
ফেসবুক অ্যাকাউন্টকে পেজে রূপান্তরিত করবেন যেভাবে পুরোনো ফেসবুক অ্যাকাউন্ট পুরোপুরি ডিলিট করবেন যেভাবেসূত্র: দ্য ভার্জ
Advertisement
কেএসকে/এমএস