অর্থনীতি

ঢালাও দরপতনের বাজারে দাপট দেখালো শাহজিবাজার পাওয়ার

ঢালাও দরপতনের বাজারে দাপট দেখালো শাহজিবাজার পাওয়ার

গত সপ্তাহে লেনদেন হওয়া পাঁচ কার্যদিবসেই দেশের শেয়ারবাজারে দরপতন হয়েছে। ঢালাও দরপতন হওয়ায় দাম কমার তালিকায় নাম লিখিয়েছে অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট। এই পতনের বাজারে দাম বাড়ার ক্ষেত্রে দাপট দেখিয়েছে শাহজিবাজার পাওয়ার।

Advertisement

এক শ্রেণির বিনিয়োগকারীদের কাছে এই কোম্পানির শেয়ার বিনিয়োগের ক্ষেত্রে আগ্রহের শীর্ষে চলে আসে। এতে সপ্তাহজুড়ে দাম বেড়ে প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) দাম বাড়ার শীর্ষ স্থানটি দখল করেছে শাহজিবাজার পাওয়ারের শেয়ার।

গত সপ্তাহে ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে মাত্র ৫৭টির স্থান হয়েছে দাম বাড়ার তালিকায়। বিপরীতে দাম কমেছে ৩২৪টির। আর ১৫টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। অর্থাৎ লেনদেনে অংশ নেওয়া ৮২ শতাংশ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম কমেছে।

এমন পতনের বাজারে গত সপ্তাহে লেনদেন হওয়া পাঁচ কার্যদিবসে শাহজিবাজার পাওয়ারের শেয়ার দাম বেড়েছে ১৫ দশমিক ৯৩ শতাংশ। টাকার অঙ্কে প্রতিটি শেয়ারের দাম বেড়েছে ৬ টাকা ১০ পয়সা। এতে এক সপ্তাহে কোম্পানিটির শেয়ার দাম সম্মিলিতভাবে বেড়েছে ১১৩ কোটি ৮৪ লাখ ৫২ হাজার ৯৩৬ টাকা। সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস শেষে কোম্পানিটির প্রতিটি শেয়ারের দাম দাঁড়িয়েছে ৪৪ টাকা ৪০ পয়সা, যা আগের সপ্তাহের শেষে ছিল ৩৮ টাকা ৩০ পয়সা।

Advertisement

আরও পড়ুন সপ্তাহজুড়ে ঢালাও দরপতনে বাজার মূলধন হারালো ৭ হাজার কোটি টাকা নেগেটিভ ইক্যুইটি ক্যানসার, সমন্বিতভাবে সমাধান করা হবে

শেয়ারের এমন দাম বাড়া কোম্পানিটি ২০১৪ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়। সর্বশেষ ২০২৪ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত বছরে কোম্পানিটি বিনিয়োগকারীদের ১২ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে। এর আগে ২০২৩ সালে ১১ শতাংশ নগদ, ২০২২ সালে ১৬ শতাংশ নগদ ও ৪ শতাংশ বোনাস শেয়ার, ২০২১ সালে ২৮ শতাংশ নগদ ও ৪ শতাংশ বোনাস শেয়ার এবং ২০২০ সালে ২৮ শতাংশ নগদ ও ২ শতাংশ বোনাস শেয়ার লভ্যাংশ দেয় কোম্পানিটি।

কোম্পানিটির মোট শেয়ার সংখ্যা ১৮ কোটি ৬৬ লাখ ৩১ হাজার ৬২৯টি। এর মধ্যে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের কাছে ৫৯ দশমিক ২১ শতাংশ আছে। বাকি শেয়ারের মধ্যে ২৪ দশমিক ৬৫ শতাংশ আছে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে। আর প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে ১৬ দশমিক ১৪ শতাংশ আছে।

শাহজিবাজার পাওয়ারের পরে গত সপ্তাহে বিনিয়োগকারীদের পছন্দের তালিকায় ছিল এনার্জিপ্যাক পাওয়ার। সপ্তাহজুড়ে এই কোম্পানিটির শেয়ার দাম বেড়েছে ১৩ দশমিক ৭১ শতাংশ। ১৩ দশমিক ৬৪ শতাংশ দাম বাড়ার মাধ্যমে পরের স্থানে রয়েছে এসইএমএল লেকচার ইক্যুইটি ম্যানেজমেন্ট ফান্ড।

এছাড়া গত সপ্তাহে বিনিয়োগকারীদের আগ্রহের শীর্ষ ১০ প্রতিষ্ঠানের তালিকায় থাকা- সেনা ইন্স্যুরেন্সের ১৩ দশমিক ১৮ শতাংশ, ডরিন পাওয়ারের ১১ দশমিক ২৬ শতাংশ, অলটেক্স ইন্ডাস্ট্রিজের ৮ দশমিক শূন্য ৪ শতাংশ, অ্যাসোসিয়েটেড অক্সিজেনের ৬ দশমিক ৮২ শতাংশ, ফাইন ফুডসের ৬ দশমিক ৭৯ শতাংশ, প্রভাতী ইন্স্যুরেন্সের ৬ দশমিক ৪৭ শতাংশ এবং গ্লোবাল ইন্স্যুরেন্সের ৬ দশমিক ১৪ শতাংশ দাম বেড়েছে।

Advertisement

এমএএস/ইএ/এএসএম