রাজশাহীতে রবিউল ইসলাম রবি (৪০) নামে এক ব্যক্তিকে গুলি ও কুপিয়ে জখম করেছে দুর্বৃত্তরা। বুধবার (২৩ এপ্রিল) রাত ৯টার দিকে নগরের পঞ্চবটী এলাকার খড়বোনার গাড়োয়ানপাড়ায় এ ঘটনা ঘটে।
Advertisement
আহত রবিউল নগরীর মতিহার থানার বিনোদপুর এলাকার বাসিন্দা। তিনি নগরীর ২৬ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম শহিদের আপন ছোট ভাই। তিনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) চাকরি করেন। রাবি ছাত্রশিবিরের সাবেক সেক্রেটারি শরিফুজ্জামান নোমানী হত্যা মামলাসহ পাঁচ মামলার আসামি। এছাড়া আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত বলে জানান এলাকাবাসী।
আহত রবিউলের অবস্থা সংকটাপন্ন হওয়ায় তাকে ঢাকায় নিয়ে আসা হয়েছে। এর আগে রাতেই রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে তার অস্ত্রোপচার করা হয়।
এদিকে, রবিউলের ওপর হামলার ঘটনার সিসি ক্যামেরার ফুটেজ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।
Advertisement
এতে দেখা যায়, একটি বাড়ির পাশে মোটরসাইকেল নিয়ে দাঁড়িয়ে ছিলেন রবিউল। হঠাৎ কয়েকটি মোটরসাইকেলে করে কয়েকজন এসে তাকে ঘিরে ধরে। তখনই গুলির শব্দ শোনা যায়। এরপর এক ব্যক্তি ধারালো অস্ত্র দিয়ে তাকে কোপাতে থাকেন। দৌড়াতে গিয়ে হোঁচট খেয়ে পড়ে যান রবিউল। তখন ফের তাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপানো হয়। একপর্যায়ে একজন হামলাকারী কাছ থেকে তার পায়ে গুলি করে।
বোয়ালিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাক আহম্মেদ জানান, রবিউল নগরীর সাহেব বাজার থেকে বিনোদপুরের দিকে যাচ্ছিল। এসময় খড়বোনা এলাকায় দুর্বৃত্তরা তাকে গুলি ও কুপিয়ে জখম করে পালিয়ে যায়। ঘটনাস্থলে পাঁচ রাউন্ড গুলির খোসা পাওয়া গেছে।
রামেক হাসপাতালের মুখপাত্র ডা. শংকর কে বিশ্বাস জানান, রবিউলের এক পায়ে গুলি করা হয়েছে। অন্য পা এবং দুটি হাতে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করা হয়।
রাজশাহী মহানগর পুলিশের (আরএমপি) অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার (মিডিয়া) সাবিনা ইয়াসমিন জানান, রবিউলের বিরুদ্ধে পাঁচটি মামলা রয়েছে। এরমধ্যে রাবি শিবির নেতা নোমানী হত্যা মামলার আসামি তিনি। হামলার ভিডিও ফুটেজ পাওয়া গেলেও এখন পর্যন্ত জড়িতদের শনাক্ত বা আটক করা যায়নি।
Advertisement
তিনি আরও জানান, হামলার ঘটনায় মামলা হয়নি। পরিবারের সদস্যরা ঢাকায় চিকিৎসা নিয়ে ব্যস্ত। তারা ফিরে এসে মামলা করবেন বলে জানিয়েছেন।
পুলিশ জানায়, গত বছরের ২৪ সেপ্টেম্বর পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়েছিলেন রবিউল ইসলাম। এর আগে ২ সেপ্টেম্বর সিরাজগঞ্জে জনতার হাতে আটক হয়েছিলেন আত্মগোপনে থাকা রবিউলের ভাই শহিদুল ইসলাম। পরে তাকে পুলিশে সোপর্দ করা হয়। শহিদুল কারাগারে থাকলেও জামিনে বের হয়ে আসেন রবিউল।
সাখাওয়াত হোসেন/জেডএইচ/জেআইএম