গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর হামলা বন্ধ হওয়ার কোনো লক্ষণই দেখা যাচ্ছে না। প্রতিদিনই সেখানে প্রাণ হারাচ্ছে নিরীহ ফিলিস্তিনি নারী, পুরুষ এবং শিশুরা। স্থানীয় মেডিকেল সূত্রগুলো আল জাজিরাকে জানিয়েছে, বুধবার সেখানে কমপক্ষে ৪৫ জন নিহত হয়েছে। এছাড়া আহত হয়েছে আরও শতাধিক মানুষ। সেখানে মৃতের সংখ্যা বাড়ছেই।
Advertisement
এদিকে ইসরায়েলের ডানপন্থি জাতীয় নিরাপত্তামন্ত্রী ইতামার বেন-গভির বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের রিপাবলিকান পার্টির আইন প্রণেতারা গাজায় খাদ্য ও ত্রাণ ডিপোতে বোমা হামলার প্রয়োজনীয়তার বিষয়ে তার ‘স্পষ্ট অবস্থান’কে সমর্থন করেছে। এর অর্থ দাঁড়ায় গাজায় হামলা আরও জোরদার হতে পারে।
এর আগে ইয়েমেন থেকে ইসরায়েলে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানো হয়। ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, ইয়েমেন থেকে ক্ষেপণাস্ত্র হামলার কারণে হাইফা, কিরিয়াত আতা এবং পশ্চিম গ্যালিলিসহ উত্তর ইসরায়েলে বিমান হামলার সাইরেন বেজে ওঠে।
ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী এক বিবৃতিতে জানায়, তারা বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সক্রিয় করেছে এবং ক্ষেপণাস্ত্রটি সফলভাবে বাধাগ্রস্ত হয়েছে।
Advertisement
ইয়েমেনের বেশিরভাগ অংশ নিয়ন্ত্রণকারী হুথি বিদ্রোহীরা ইসরায়েলের ওপর বেশ কয়েকটি ক্ষেপণাস্ত্র হামলার দাবি করেছে। এর মধ্যে রয়েছে প্রধান বেন গুরিওন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর। গাজায় সংঘাত শুরুর পর ফিলিস্তিনিদের প্রতি সংহতি প্রকাশ করে ইসরায়েলে হামলা অব্যাহত রেখেছে হুথি বিদ্রোহীরা। এর আগেও ইয়েমেন থেকে ইসরায়েলে হামলা চালানো হয়েছে।
গাজায় প্রায় ১৮ মাস ধরে সংঘাত চলছে। সেখানে এখন পর্যন্ত কমপক্ষে ৫১ হাজার ৩০৫ জন ফিলিস্তিনি নিহত এবং ১ লাখ ১৭ হাজার ৯৬ জন আহত হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে হামাস-নিয়ন্ত্রিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
আরও পড়ুন: গাজায় বোমা হামলা অব্যাহত, প্রাণ হারিয়েছে আরও ৫২ জন গাজা দখলের বিষয়ে ইসরায়েলকে সতর্ক করলো জার্মানি গাজায় ইসরায়েলি হামলায় একদিনে নিহত ৩২তবে গাজার সরকারি মিডিয়া অফিস জানিয়েছে, নিহতের সংখ্যা ৬১ হাজার ৭০০। কারণ ধ্বংসস্তূপের নিচে যারা চাপা পড়েছে তাদেরও নিহতের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
টিটিএন
Advertisement