অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস কাতারের সঙ্গে অর্থনৈতিক সহযোগিতা আরও গভীর করার আহ্বান জানিয়েছেন। বাংলাদেশের বিভিন্ন খাতে বিনিয়োগের আমন্ত্রণ জানিয়ে তিনি কাতারের বিনিয়োগকারীদের জন্য একটি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল বরাদ্দের প্রস্তাব দেন, যেখানে কাতারের শিল্পপ্রতিষ্ঠান বিশেষ করে প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম উৎপাদনকারীরা বিনিয়োগ করতে পারবেন।
Advertisement
বুধবার (২৩ এপ্রিল) কাতারের উপ-প্রধানমন্ত্রী ও প্রতিরক্ষামন্ত্রী ড. সাউদ বিন আবদুর রহমান আল থানি আয়োজিত এক উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক ও মধ্যাহ্নভোজে প্রধান উপদেষ্টা কাতারি শিল্প উদ্যোগের জন্য বাংলাদেশ সরকারের বিনিয়োগবান্ধব সুযোগ-সুবিধা ও অবকাঠামোগত সহায়তার প্রস্তুতির কথা জানান।
তিনি কাতার কর্তৃপক্ষকে বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর ৭২৫ সদস্য নিয়োগের সিদ্ধান্তের জন্য ধন্যবাদ জানান এবং কাতারের নিরাপত্তা বাহিনীকে আরও শক্তিশালী করতে নিয়োগ বাড়ানোর আহ্বান জানান।
পরবর্তীতে লুসাইল সিটিতে কাতারের বাণিজ্য ও শিল্পমন্ত্রী শেখ ফয়সাল বিন আল থানির সঙ্গে এক বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্প্রসারণ নিয়ে আলোচনা করেন।
Advertisement
প্রধান উপদেষ্টা বাংলাদেশের পরিবহন, ব্যাংকিং ও সেবা খাতে বিনিয়োগের সুযোগ তুলে ধরেন এবং বলেন, সাম্প্রতিক অর্থনৈতিক সংস্কারের ফলে দেশে বিনিয়োগের পরিবেশ উল্লেখযোগ্যভাবে উন্নত হয়েছে।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, আমাদের লক্ষ্য বাংলাদেশকে একটি অর্থনৈতিক ও উৎপাদন কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলা।
বিকেলে কাতারের উপ-প্রধানমন্ত্রী হামাদ বিন আবদুল আজিজ আল-কাওয়ারি প্রধান উপদেষ্টার সম্মানে এক চা-চক্রের আয়োজন করেন। সেখানে দুই দেশের পারস্পরিক স্বার্থ, বিশেষ করে বাংলাদেশি কর্মীদের নিয়োগ বাড়ানোর মাধ্যমে জনশক্তি সহযোগিতা জোরদারের বিষয়ে আলোচনা হয়।
এদিন সকালে প্রধান উপদেষ্টা রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে এক উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে অংশ নেন এবং দীর্ঘদিন নিপীড়নের শিকার মিয়ানমারের মুসলিম জনগোষ্ঠীর দুর্দশা নিয়ে বৈশ্বিক প্রচেষ্টা দ্বিগুণ করার আহ্বান জানান।
Advertisement
বৈঠকে কাতার ফাউন্ডেশনের সিইও শেখা হিন্দ বিনতে হামাদ আল থানি বক্তব্য রাখেন। তিনি শিগগির বাংলাদেশ সফরের আগ্রহও প্রকাশ করেন।
প্রধান উপদেষ্টার সফরসঙ্গী ছিলেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন, জ্বালানি উপদেষ্টা ফাওজুল কবির খান, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ড. খলিলুর রহমান, বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের নির্বাহী চেয়ারম্যান চৌধুরী আশিক মাহমুদ বিন হারুন এবং সিনিয়র সচিব লামিয়া মোর্শেদ।
এমইউ/এএমএ