সোশ্যাল মিডিয়া

এবার ছাত্র আন্দোলনের ৩ জনের টিকিট কালোবাজারির ‘প্রমাণ’ দিলেন মিলন

এবার ছাত্র আন্দোলনের ৩ জনের টিকিট কালোবাজারির ‘প্রমাণ’ দিলেন মিলন

এবার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের তিন শিক্ষার্থীর টিকিট কালোবাজারির প্রমাণ হিসেবে কিছু ‘তথ্য বা ক্লু’ দিয়েছেন সাবেক অতিরিক্ত সচিব মো. মাহবুব কবীর মিলন।

Advertisement

মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) এ বিষয়ে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডিতে দেওয়া এক পোস্টের পরিপ্রেক্ষিতে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বুধবার (২৩ এপ্রিল) রাতে আরও একটি পোস্ট দিয়েছেন। পোস্টে কালোবাজারির ‘উদাহরণ’ হিসেবে রেলের একটি টিকিটের ছবিও শেয়ার করেছেন মাহবুব কবীর মিলন। তার সেই লেখাটি জাগো নিউজের পাঠকদের জন্য তুলে ধরা হলো-

মো. মাহবুব কবীর মিলন লেখেন, গতকালের রেলের বিষয় নিয়ে দেওয়া পোস্টের বিষয় বিস্তারিত জানতে কিছু সাংবাদিক ভাই আমাকে বিভিন্নভাবে নক করেছেন। তাদের সবার জন্য বলছি, বিস্তারিত তথ্য সব আছে আমার কাছে। কিন্তু আমি তা দেবো না। কিছু তথ্য বা ক্লু দিচ্ছি। আপনারা রেলে গিয়ে তাদেরকে প্রশ্ন করে সব বের করুন। এই ডিজিটাল যুগে এসব বের করা কোনো বিষয় নয়। এবার বাকি কাজ আপনারা করে রিপোর্ট প্রকাশ করুন প্লিজ।

সাবেক অতিরিক্ত সচিব আরও লেখেন, চিঠিতে দেখুন, তা ইস্যু করা হয়েছে ০৬/০২/২৫ তারিখ এবং পরবর্তী এক মাসের জন্য ফ্রি পাস এর অনুমতি দেওয়া হয়েছে। তার মানে ০৬/০৩/২৫ পর্যন্ত। অথচ মেহেদী হাসান সর্বশেষ টিকিট করেছে ২৮/০৩/২৫। আশিকুর রহমানের সর্বশেষ টিকিট ২৫/০৩/২৫। রেজাউল ইসলাম ২৯/০৩/২৫ এবং নাজিব আহমদ করেছে ০৩/০৪/২৫ তারিখ। অনুমোদিত সময়ের বাইরে টিকিট ইস্যু করা, রেলের জন্য একটা শাস্তিযোগ্য অপরাধ। শাস্তি রেলের কার কার পাওয়া উচিত?

Advertisement

তিনি লেখেন, পাশের টিকিটের স্ক্রিনশট দেখুন। Pass no. CP12491 রেজাউল ইসলাম এর ফ্রি টিকিট। ইস্যু করা হয়েছে ২২/০৩/২৫ তারিখ। এই টিকিটের ছবি কেন দিলাম? এটি টিকিট কালোবাজারির একটি উদাহরণ মাত্র। ফ্রি পাসে রেজাউল ইসলামের এই টিকিট কালোবাজারি থেকে কিনেছেন এক যাত্রী। সেই যাত্রীর কাছ থেকে আমার হাতে এসেছে। অথচ রেজাউল ইসলাম ভ্রমণ করে থাকলে এই স্ক্রিনশট আমার পাওয়ার কথা নয়। আর একটা কথা, প্রয়োজনে যাত্রীকেও আমি হাজির করাতে পারব এবং ট্রেনে ভ্রমণকালীন স্বাক্ষীও দেওয়া যাবে।

সাংবাদিকদের উদ্দেশে তিনি লেখেন, এবার সাংবাদিক ভাইরা, এই পাস নম্বরগুলো দিয়ে রেলের কাছে সার্ভারে থাকা সব তথ্য চাইবেন। কে কত তারিখ, কয়বার, কোনদিকে টিকিট করেছে, সব ডাটা পেয়ে যাবেন। এখানে হাইড বা লুকোচুরি করার কিছুই নেই। দেখবেন একই তারিখে বিভিন্ন গন্তব্যে কীভাবে টিকিট করা হয়েছে। যা স্পষ্টভাবে প্রতীয়মান হয়, টিকিটগুলো কালোবাজারে বিক্রি করা হয়েছে। এরপর রেলে জিজ্ঞেস করবেন, কোন যোগ্যতায়, কীসের বলে, কোন অভিজ্ঞতা, জ্ঞান-বিজ্ঞান, লেখাপড়া বা সার্টিফিকেট বা তথ্যের ভিত্তিতে এদেরকে রেলে প্রবেশ করিয়ে এইসব দায়িত্ব তাদের দেওয়া হয়েছে। কে তাদের এইসব দায়িত্ব দিয়েছে।

সাবেক অতিরিক্ত সচিব লেখেন রেলের কর্ণধার গতকালের পোস্টকে ভুয়া বলে মন্তব্য করায় আজ আবার লিখতে বাধ্য হলাম। আমি আবার বলছি, সব তথ্য প্রমাণ আমার কাছে আছে। আমাকে কেউ খোঁচাবেন না প্লিজ। বট বাহিনীর সব কমেন্ট ডিলিট এবং ব্লক করা হবে নিশ্চিত।

Pass no. CP12490 নাজিব আহমদ Pass no. CP12491 রেজাউল ইসলাম Pass no. CP12492 আশিকুর রহমান Pass no. CP12493 মেহেদী হাসান

Advertisement

এএমএ