অর্থনীতি

২২ এপ্রিলের ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে কোহিনুর কেমিক্যালের বক্তব্য

২২ এপ্রিলের ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে কোহিনুর কেমিক্যালের বক্তব্য

কোহিনুর কেমিক্যাল কোম্পানি (বাংলাদেশ) লিমিটেড বাংলাদেশের ৭০ বছরের অধিক পুরোনো দেশীয় ঐতিহ্যবাহী প্রতিষ্ঠান। এটি দেশের নিম্ন-মধ্যবিত্ত এবং মধ্যবিত্তের ক্রয়ক্ষমতার ভেতরে গুণগত মানসম্পন্ন সাবান, প্রসাধনী সামগ্রী ও ডিটারজেন্ট উৎপাদন এবং বিপণনের মাধ্যমে চাহিদা পূরণ করে। প্রতি বছর প্রতিষ্ঠানটি রাষ্ট্রীয় কোষাগারে বিপুল পরিমাণ অর্থ ভ্যাট ও ট্যাক্সের মাধ্যমে জমা করে।

Advertisement

এই প্রতিষ্ঠানটিতে সর্বদা সব ধর্মের প্রতি অত্যন্ত শ্রদ্ধাশীল এবং সব ধর্ম ও জাতির মানুষ অত্যন্ত সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে কাজ করছে। দেশের কর্মসংস্থানে এটি অত্যন্ত গুরুত্বর্পূণ ভূমিকা পালন করছে। যেহেতু বাংলাদেশ একটি মুসলিম প্রধান দেশ, তাই স্বভাবতই এ কোম্পানিতে মুসলমান কর্মকর্তা-কর্মচারীর আধিক্য। সেজন্য প্রতিষ্ঠানটির ভেতরে একটি মসজিদ আছে; যেখানে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ জামাতে আদায় করা হয় এবং অন্যান্য ধর্মীয় কর্মকাণ্ড পরিচালিত হয়।

গত ২০ এপ্রিল একজন কর্মকর্তা তার একজন অধীন সহকর্মীর সঙ্গে ধর্মীয় বিষয় আলোচনার মধ্যে কিছু আপত্তিকর প্রসঙ্গ উপস্থাপন করেন, যা স্বভাবতই একজন ধর্মপ্রাণ মুসলমানের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করে। পরে ২২ তারিখ দুপুরে শ্রমিকরা প্রশাসনকে বিষয়টি অবগত করলে তাৎক্ষণিক কোম্পানির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা প্রত্যক্ষদর্শীদের শুনানি করে ঘটনার সত্যতা প্রমাণ পান এবং বহিষ্কারাদেশ দেন। এছাড়া প্রশাসন তাকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাছে হস্তান্তরের আশ্বাস দেয়। এরই মধ্যে কিছু বহিরাগতের অনুপ্রবেশ ঘটে এবং বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি করে।

এমতাবস্থায় আমাদের পাশের বিভিন্ন মসজিদ এবং মাদরাসার ইমাম ও শিক্ষকগণ একত্রিত হয়ে ধর্মীয় দৃষ্টিভঙ্গি থেকে সবাইকে শান্ত ও আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকার পরামর্শ দেন। পুলিশ, সামরিক বাহিনী এবং স্থানীয় রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দও এর সঙ্গে সম্পৃক্ত হয়ে সবাইকে সুষ্ঠু বিচারের আশ্বাস দেন। সবার প্রচেষ্টায় পরিস্থিতি শান্ত হয় এবং আমরা উক্ত কর্মকর্তাকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাছে হস্তান্তর করি।

Advertisement

উক্ত বিষয়টি সম্পূর্ণভাবে তাদের ব্যক্তিগত আলাপচারিতা, যাতে প্রাতিষ্ঠানিক কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই। কোহিনুর কেমিক্যাল কোম্পানি (বাংলাদেশ) লিমিটেড কখনোই কোনো ধর্মীয়, সামাজিক অথবা জাতীয়তার প্রতি যে কোনো উপায়ে বিদ্বেষমূলক কথা বা আচরণ কোনোভাবেই সমর্থন করে না। এ ব্যাপারে প্রতিষ্ঠান শূন্যসহিষ্ণু নীতি অবলম্বন করে। এই প্রতিষ্ঠান দেশের প্রচলিত আইনকে সার্বিকভাবে ধারণ করে এবং এটি রক্ষায় বদ্ধপরিকর।

আমরা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী ও সামরিক বাহিনী এবং ধর্মীয় ও স্থানীয় নেতাসহ সাধারণ জনগণের প্রতি সুষ্ঠু ও সুন্দর সমাধানের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।

(বিজ্ঞাপন বার্তা)

এমএইচআর/এমএস

Advertisement