মুক্তিযুদ্ধের সময় মানবতাবিরোধী অপরাধের এক মামলার ফাঁসির রায় নিয়ে নতুন করে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। মামলার এক সাক্ষী প্রকাশ্যে স্বীকার করেছেন, তিনি মিথ্যা সাক্ষ্য দিয়েছেন। পরিবারের সদস্যদের সরকারি চাকরির প্রতিশ্রুতি দিয়ে তাকে মিথ্যা সাক্ষ্য দিতে প্ররোচিত করা হয়েছিল।
Advertisement
বুধবার (২৩ এপ্রিল) বিকেলে গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে মানবতাবিরোধী অপরাধে ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত এসএম রুহুল আমিন মঞ্জুর মুক্তির দাবিতে আয়োজিত মানববন্ধন কর্মসূচিতে এসব কথা বলেন মামলার সাক্ষী রেজাউন্নবী হাসু।
এসময় রেজাউন্নবী হাসু বলেন, পরিবারের সদস্যদের সরকারি চাকরির প্রতিশ্রুতি দিয়ে আমাকে মিথ্যা সাক্ষ্য দিতে প্ররোচিত করা হয়েছিল। চাপের মুখে পড়ে আমি সত্যের বিপরীতে অবস্থান নিতে বাধ্য হই। এছাড়াও আমাকে ঘরবাড়ি করে দেওয়ারও লোভ দেখানো হয়। একই সঙ্গে জোরপূর্বক সাক্ষ্য দিতে বাধ্য করা হয়েছে।
‘রুহুল আমিন মঞ্জু মুক্তি সংগ্রাম পরিষদ’র ব্যানারে উপজেলার শ্রীপুর ইউনিয়নের ধর্মপুর বাজারে এই কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। সেখানে দণ্ডপ্রাপ্ত রুহুল আমিন মঞ্জুর মেয়ে কানাডা প্রবাসী জিনাইত আলম মনিহার ও পরিবারের সদস্যরাসহ সহস্রাধিক এলাকাবাসী উপস্থিত ছিলেন। মামলার সাক্ষীর বক্তব্যে রায় নিয়ে আলোচনা সৃষ্টি হয়েছে।
Advertisement
কর্মসূচিতে বক্তব্যে জিনাইত আলম মনিহার বলেন, আপনারা শুনেছেন, আমার বাবার মামলার সাক্ষী নিজেই স্বীকার করেছেন তিনি মিথ্যা বলেছেন। তার পরিবারের সদস্যদের সরকারি চাকরির লোভ দেখানো হয়েছিল। বাবার শেষ ইচ্ছা- দেশের মাটিতে ফেরা। আমরা রায় প্রত্যাহার চাই। প্রয়োজনে আরও কঠোর কর্মসূচি দেওয়া হবে।
বিক্ষোভে অংশ নিয়ে মঞ্জুর বন্ধু ও সাবেক সরকারি কৌঁসুলি অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর আলম জিন্নাহ বলেন, মঞ্জুর বিরুদ্ধে মিথ্যা, বানোয়াট এবং রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মামলায় ফাঁসির রায় দেওয়া হয়েছে। মামলাটি এখন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে শুনানির অপেক্ষায়। এই মামলা প্রত্যাহার চাই।
রুহুল আমিন মঞ্জু মুক্তি সংগ্রাম পরিষদের আহ্বায়ক রাখিবুল হাসান সেজার সঞ্চালনায় এসময় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন রুহুল আমিন মঞ্জুর ভাই ও শ্রীপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আনোয়ারুল ইসলাম মুকুল, উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক বাবুল আহমেদ, বামনডাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও উপজেলা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক নজমুল হুদা, উপজেলা শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের সভাপতি বদরুল আমিন প্রমুখ। কর্মসূচি শেষে বিক্ষোভকারীরা রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন।
এ এইচ শামীম/এমএন/এমএস
Advertisement