দেশজুড়ে

রওশন এরশাদের বাড়ির নাম ‘দালাল মহল’ করার দাবিতে মানববন্ধন

রওশন এরশাদের বাড়ির নাম ‘দালাল মহল’ করার দাবিতে মানববন্ধন

ময়মনসিংহে রওশন এরশাদের বাড়ির নাম ‘দালাল মহল’ করার দাবিতে মানববন্ধন হয়েছে।

Advertisement

বুধবার (২৩ এপ্রিল) দুপুরে ময়মনসিংহ শহরের ফায়ার সার্ভিস রোডে ভবনের সামনে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার ব্যানারে এ মানববন্ধন হয়। এসময় বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন। পরে জেলা প্রশাসকের কাছে তারা স্মারকলিপি দেন।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, ফ্যাসিস্টদের ‘সহচর’ রওশন এরশাদের ‘সুন্দর মহলকে‘ বাণিজ্যিক ভবন হিসেবে ব্যবহার করতে দেওয়া হবে না। এ ভবন রেস্টুরেন্টের কাছে ভাড়া দিয়েছে। জাতীয় পার্টির নেতারা বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চলাকালে আওয়ামী লীগ সরকারকে ‘গণহত্যায়’ পুরোপুরি সমর্থন দিয়েছে। এখন তারা নিজেদের বাঁচাতে সুশীলের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছে। এ সুশীলতার আড়ালে তারা আওয়ামী লীগকেই পুনর্বাসন করতে চায়।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ময়মনসিংহ জেলার অন্যতম সমন্বয়ক আব্দুল্লাহ আল নাকিব বলেন, বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের আমলে যতগুলো বিনা ভোটে নির্বাচন হয়েছে, সবগুলোতেই রওশন এরশাদ শেখ হাসিনাকে সমর্থন জানিয়েছেন। গণতন্ত্র হত্যাকারীদের অবশ্যই বিচার করতে হবে।

Advertisement

সংগঠনটির মহানগর শাখার জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সদস্য সচিব ওয়ালিদ আহমেদ ওলি বলেন, রওশনের এই ভবনে রেস্তোরাঁ করতে দেওয়া হবে না। আমরা এই ভবনকে সুন্দর মহল হিসেবে দেখতে চাই না। এই ভবনের নাম পরিবর্তন করে দালাল মহল করতে হবে। কারণ জাতীয় পার্টি সবসময় আওয়ামী লীগের দালালি করেছে।

সরেজমিনে দেখা যায়, জাতীয় পার্টির রাজনৈতিক কার্যালয় ও ভেতরে কেয়ারটেকার থাকার বাসাটিও ভাঙা। সামনে দ্বিতীয় তলার বারান্দায় টানানো হয়েছে কুটুমবাড়ি রেস্টুরেন্টের সাইনবোর্ড। দেয়াল ভাঙার ইটগুলোর পলেস্তারা খুলে পরিষ্কার করা হয়েছে।

এর আগে চলতি বছরের ২০ মার্চ রওশন এরশাদের ‘সুন্দর মহল’ হবে রেস্তোরাঁ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশ করে জাগো নিউজ। রওশন এরশাদের আলোচিত এই ভবনটির আদ্যপ্রান্তসহ রেস্তোরাঁ করার বিষয়টি তুলে ধরা হয়।

এতে উল্লেখ করা হয়, দেশের রাজনৈতিক ইতিহাস ও ঐতিহ্যের অন্যতম সাক্ষী এই ভবন। ভবনটি নগরীর ব্রহ্মপুত্র নদের তীরে অবস্থিত সুতিয়াখালি গ্রামের কন্যা প্রয়াত রাষ্ট্রপতি ও জাতীয় পার্টির প্রতিষ্ঠাতা এইচ এম এরশাদের স্ত্রী বেগম রওশনের। সুন্দর মহলের সঙ্গে ছিল জাতীয় পার্টির রাজনৈতিক কার্যালয়। বর্তমানে কার্যালয়টির অস্তিত্ব নেই। গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার দেশত্যাগের পর সুন্দর মহলটি ‘দালাল মহল’ আখ্যা দিয়ে ভাঙচুর চালায় বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতা।

Advertisement

এদিকে সম্প্রতি ভবনের উপরের অংশে ‘কুটুমবাড়ি রেস্টুরেন্ট’ নামের সাইনবোর্ড টানানো হয়। এরপর এটি নজরে আসায় বুধবার দুপুরে মানববন্ধন করে রেস্তোরাঁ করতে না দেওয়ার হুঁশিয়ারী দিয়ে সুন্দর মহলকে দালাল মহল করার দাবি জানায় ছাত্র-জনতা।

কামরুজ্জামান মিন্টু/এএইচ/এমএস