স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছেন, উপদেষ্টা হওয়ার পর আমার আত্মীয়-স্বজন ও বন্ধু-বান্ধবের সংখ্যা বেড়ে গেছে। যাদের অনেককে আমি চিনি না। ফলে আমার নামে কেউ তদবির করলে প্রথমে চা-নাশতা খাওয়াবেন। তারপর পুলিশে তুলে দেবেন।
Advertisement
মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) বিকেলে যশোর কালেক্টরেট ভবনের সম্মেলন কক্ষে সরকারি বিভিন্ন দপ্তর ও সংস্থার কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘পুলিশের কোনো সদস্য সিভিল ড্রেসে আসামি ধরতে পারবেন না। এ বাহিনীকে গতানুগতিক ধারা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। এখন পুরোদমে কাজে নেমে পড়তে হবে। ৫ আগস্ট গণঅভ্যুত্থান চলাকালে লুট হওয়া অস্ত্র উদ্ধারে কাজ করতে হবে। পাশাপাশি জামিনে মুক্ত শীর্ষ সন্ত্রাসীদের নজরে রাখতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘মাদকের বিরুদ্ধে শক্তিশালী অবস্থান গড়ে তুলতে হবে। মাদক বন্ধে অ্যাকশন না নিলে চাকরি থাকবে না। আমরা নিরাময় কেন্দ্র খুলতে চাই না, মাদক বন্ধ করতে চাই। আমরা দায়িত্ব নেওয়ার পর পুলিশে নিয়োগ বাণিজ্য বন্ধ করা সম্ভব হয়েছে। বদলি বাণিজ্যও নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে।’
Advertisement
মতবিনিময় সভায় প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) আব্দুল হাফিজ, যশোর সেনানিবাসের জিওসি মেজর জেনারেল জেএম ইমদাদুল ইসলাম, বাংলাদেশ পুলিশের খুলনা বিভাগের ডিআইজি মো. রেজাউল হক, জেলা প্রশাসক মো. আজাহারুল ইসলাম, পুলিশ সুপার রওনক জাহানসহ সরকারি উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
মিলন রহমান/আরএইচ/এমএস