অতিরিক্ত সময়ের ১৫ মিনিট শেষে যখন আর ম্যাচ হবে কি হবে না, তা নিয়ে আলোচনা চলছিল; তখন আবাহনীর জোরালো দাবি ছিল যেন ম্যাচটি চালিয়ে নেওয়া হয়। তারপরও রেফারি এবং সহকারী রেফারিরা সিদ্ধান্ত নেন ম্যাচ স্থগিত করার।
Advertisement
ফেডারেশন কাপ ফাইনালে নাটকীয়তাপূর্ণ স্থগিত এই ম্যাচের পর আবাহনীর ম্যানেজার সত্যজিৎ দাস রুপু বলেন, ‘সিদ্ধান্ত দিয়েছেন রেফারি। একটা ম্যাচ যখন পরিচালিত হয়, তখন সেটার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত দেওয়ার মালিক রেফারি। তিনিই সিদ্ধান্ত দিয়েছেন। টিম সিদ্ধান্ত দিতে পারে না। আমরা খেলার জন্য প্রস্তুত ছিলাম। যদি আলো নিয়ে সমস্যা থাকে, সেটা অন্য বিষয়। কিন্তু এখানে কি আলো ছিল না? সেটা আপনাকে বিবেচনায় নিতে হবে।’
তিনি যোগ করেন, ‘আমাদের এখান থেকে সিদ্ধান্ত দেওয়ার কিছু নেই। সবকিছু বাইলজ অনুসরণ করা হয়। এখানে আমাদের বলাও কিছু নাই। আমরা যখন খেলতে এসেছি, বাইলজ মেনেই এসেছি। এখানে বাইলজ অনুসরণ করতে হবে, এটাই বাস্তবতা। আমাদের কাছে মনে হচ্ছে, যে আলো ছিল, তা নিয়ে হয়তো খেলা চালিয়ে যাওয়া যেতো।’
৯০ মিনিটের পর কিংসের ফাহিম পান লাল কার্ড। সুমন রেজাকে অবৈধ ট্যাকল করে মাঠ ছাড়েন ফাহিম। বাকি সময়ে কালক্ষেপণ করে বসুন্ধরা কিংস আর খেলেনি। আবাহনী কর্মকর্তারা ক্ষুব্ধ হয়ে এরপর মাঠ ছাড়েন।
Advertisement
আপনারা ভালো পজিশনে ছিলেন বলেই কি খেলা চালিয়ে যেতে চেয়েছিলেন? জবাবে রুপু বলেন, ‘আমি জানি না, আমরা তুলনামূলক ভালো পজিশনে নাকি, কে বেটার পজিশনে ছিল। পরিস্থিতি হলো ১১ জন বনাম ১০ জন। আমার মনে হয় যে, সেখানে একটু অ্যাডভান্টেজ তো (আমাদের) ছিলই।’
ম্যাচ কমিশনার তৈয়ব হাসান শামসুজ্জামান বলেছেন, ‘এখানে লিগ কমিটি সিদ্ধান্ত নেবে। আলোর স্বল্পতার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়ার এখতিয়ার রেফারির। আমরা রেফারিকে বলিনি, আপনি এখন শুরু করবেন, এখন শেষ করবেন। যে কোনো সময় খেলা বন্ধ করতে পারেন রেফারি। খেলা তো তাৎক্ষণিকভাবে বন্ধ করা যাবে না। রেফারিকে এটা নিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে হবে।’
আরআই/এমএমআর/এমএস
Advertisement