জাতীয়

বাঁশখালীতে দুপক্ষের গোলাগুলি, আহত কমপক্ষে ৩০

বাঁশখালীতে দুপক্ষের গোলাগুলি, আহত কমপক্ষে ৩০

চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে দুপক্ষের গোলাগুলিতে কমপক্ষে ৩০ জন গুলিবিদ্ধ ও আহত হয়েছেন। লবণের মাঠ নিয়ে পূর্ববিরোধের জেরে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে বলে পুলিশ জানিয়েছে।

Advertisement

মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) দুপুর আড়াইটার দিকে বাঁশখালী থানাধীন উপকূলীয় সরল ইউনিয়নের উত্তর সরল নতুন বাজার এলাকায় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। আহতদের বাঁশখালী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এবং চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

গুলিবিদ্ধ ও আহতরা হলেন, ফোরকান (৩৫), শাহাজান (৩০), মাহিন (১৮), শাকিল (২০), রুবেল (৩১), রাকিব (২০), নুর হোসেন (৩৭), জমির উদ্দিন (৫০), আজিজুর রহমান (৪৮), রোকমান (২৪), আনি (২৭), নয়ন (১৯), শাকিল (২০), শাহাব উদ্দীন (৩২), সৈয়দ নূর (৪৫), ইউনুস (৫০), মোহাম্মদ দেলোয়ার (৩৮), পারভেজ (২৩), রাশেদ (২৩), হাবিব (২৪), শাকিব (২৪), আবদুলস করিম (৪৫), তৈয়ব (৫২), আবু তালেব (৬০), ফরিদ (৫২), শাহজাহান (৩০)।

তাদের মধ্যে মোহাম্মদ ফোরকান, মাহিন, আজিজুর, নুর হোসেন, দেলোয়ার, শাহজাহান, জমির উদ্দীন, আবদুল করিম ও রুবেলকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয় বলে স্থানীয় বাঁশখালী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্র জানিয়েছে। তাৎক্ষণিকভাবে গুলিবিদ্ধ ও আহত অন্যদের নাম-পরিচয় জানা যায়নি।

Advertisement

আরও পড়ুন

রাউজানে দুই দিনের মাথায় আরও এক যুবদলকর্মীকে গুলি করে হত্যা

প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ জানিয়েছে, দুপুরে উত্তর সরল এলাকার জাফর আহমদের ছেলে দেলোয়ার হোসেন লবণের মাঠ থেকে ফেরার পথে নতুন বাজার এলাকায় পৌঁছালে পূর্ববিরোধের জেরে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতার অনুসারীরা মোহাম্মদ দেলোয়ারকে আটকে রেখে মারধর করেন। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে দেলোয়ারের পক্ষের লোকজন তাকে উদ্ধারে এগিয়ে গেলে উভয়পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। দেলোয়ারের লোকজন প্রতিরোধের চেষ্টা করলে একপর্যায়ে তাদের ওপর গুলিবর্ষণ করা হয় বলে জানান আহতরা।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বাঁশখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল ইসলাম জাগো নিউজকে জানান, বাঁশখালীর সরলে লবণ মাঠ নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে দুই গ্রুপের বিরোধ চলে আসছিল। এ নিয়ে বিভিন্ন সময় উভয়পক্ষকে বুঝিয়ে শান্ত রাখার চেষ্টা করা হয়েছে। কিন্তু আজ (মঙ্গলবার) দুপুরে দুপক্ষ সংঘর্ষে জড়ায়।

তিনি জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। সেখানে সেনাবাহিনীও রয়েছে।

Advertisement

এমডিআইএইচ/এমকেআর/এমএস