জাতীয়

মাতারবাড়ি বন্দর আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে

মাতারবাড়ি বন্দর আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে

মাতারবাড়ি গভীর সমুদ্রবন্দর আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের জন্য নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে বলে জানিয়েছেন নৌপরিবহন এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন।

Advertisement

তিনি বলেন, মাতারবাড়ি বন্দরে বিনিয়োগ শুধু একটি অবকাঠামো প্রকল্প নয়, বরং বাংলাদেশের ভবিষ্যতের জন্য একটি কৌশলগত বিনিয়োগ।

মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) রাজধানীর লা মেরিডিয়ান হোটেলে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের মাতারবাড়ি বন্দর উন্নয়ন প্রকল্পের চুক্তি সই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

আরও পড়ুন আঞ্চলিক হাব হবে মাতারবাড়ি, বদলে দেবে দেশের অর্থনীতি মাতারবাড়ি বন্দর উন্নয়নে ১২৯৮৩ কোটি টাকা ব্যয়ের অনুমোদন

এদিন মাতারবাড়ি গভীর সমুদ্রবন্দর নির্মাণে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সঙ্গে জাপানি প্রতিষ্ঠান পেন্টা ওশান কনস্ট্রাকশন কোম্পানি লিমিটেডের চুক্তি সই হয়েছে। জাপানের আন্তর্জাতিক সহযোগিতা সংস্থা (জাইকা) এবং চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের নিজস্ব অর্থায়নে এ প্রকল্প বাস্তবায়িত হচ্ছে।

Advertisement

নৌপরিবহন উপদেষ্টা বলেন, মাতারবাড়ি বন্দর চালু হলে প্রায় এক লাখ ডেডওয়েট টন (ডিডব্লিউটি) ধারণক্ষমতাসম্পন্ন বড় জাহাজ ভেড়াতে পারবে। বিদ্যমান বন্দরগুলোতে যানজট হ্রাস পাবে, সরবরাহ শৃঙ্খলা আরও গতিশীল হবে এবং কক্সবাজার-মহেশখালীর নতুন শিল্পাঞ্চলে সরাসরি প্রবেশাধিকার নিশ্চিত হবে। এতে বাংলাদেশ একটি গুরুত্বপূর্ণ জ্বালানি ও ট্রান্সশিপমেন্ট হাবে পরিণত হবে।

তিনি জানান, চুক্তি অনুসারে প্যাকেজ-১ কার্যক্রমের আওতায় ৩০০ মিটার দীর্ঘ মাল্টিপারপাস বার্থ নির্মাণ (২০০ মিটার দীর্ঘ জাহাজ), ৪৬০ মিটার দীর্ঘ কনটেইনার বার্থ নির্মাণ (৩৫০ মিটার দীর্ঘ জাহাজ), টার্মিনাল, ভবন, পেভমেন্ট, রিটেইনিং ওয়াল, সি ওয়াল, সীমানা প্রাচীর, ভূমি উন্নয়ন, ড্রেজিং, ল্যান্ড রিক্লেমেশন, জরুরি জেনারেটর, সৌরবিদ্যুৎ, টার্মিনাল ইউটিলিটি এবং অন্য আনুষঙ্গিক পূর্ত/বৈদ্যুতিক কাজ নির্মাণ/সংগ্রহ/স্থাপন, টার্মিনাল এরিয়াতে কনটেইনার রাখার জন্য মোট ৫১০০টি গ্রাউন্ড স্লট থাকবে, মাতারবাড়ি বন্দরে ১৪ দশমিক ৫০ মিটার ড্রাফট এবং ৩০০ মিটার দৈর্ঘ্যের প্রায় ৮২০০ টিইইউস ধারণক্ষমতাসম্পন্ন বড় কনটেইনারবাহী জাহাজ বার্থিং করা সম্ভব হবে।

উপদেষ্টা আরও জানান, ২০২৯ সালের মধ্যে আনুমানিক ০.৬ থেকে ১.১ মিলিয়ন টিইইউস এবং ২০৪১ সালের মধ্যে আনুমানিক ২.২ থেকে ২.৬ মিলিয়ন টিইইউস কনটেইনার কার্গো হ্যান্ডেল করা সম্ভব হবে।

আরও পড়ুন ২০৩০ সালে পুরোদমে চালু হবে মাতারবাড়ি বন্দর

এম সাখাওয়াত হোসেন বলেন, জাপান সরকার এবং জাইকার সহযোগিতা মাতারবাড়ি প্রকল্পকে বাস্তবে রূপ দিতে সহায়ক হবে। জাইকার প্রযুক্তিগত দক্ষতা, অর্থায়ন ও সক্ষমতা উন্নয়নের অবদান অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আমরা এ সহযোগিতার জন্য কৃতজ্ঞ।

Advertisement

অনুষ্ঠানে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল এস. এম. মনিরুজ্জামান এবং পেন্টা ওশান কনস্ট্রাকশন কোম্পানি লিমিটেডের জেনারেল ম্যানেজার টোমোকাযু হেসগাওয়া (Tomokazu Hasegawa) চুক্তিতে সই করেন। এসময় নৌবাহিনীর প্রধান, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব, জাপান দূতাবাসের প্রতিনিধি এবং জাইকার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

এমডিআইএইচ/এমকেআর/এএসএম