স্বাস্থ্য

চমেক হাসপাতালের জন্য নতুন এনজিওগ্রাম মেশিন কেনা হচ্ছে

চমেক হাসপাতালের জন্য নতুন এনজিওগ্রাম মেশিন কেনা হচ্ছে

চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের হৃদরোগে বিভাগের জন্য নতুন একটি এনজিওগ্রাম মেশিন কেনা হচ্ছে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কেন্দ্রীয় ঔষধাগার (সিএমএসডি) মেশিনটি কেনার প্রক্রিয়া শুরু করবে বলে জানা গেছে।

Advertisement

বিষয়টি নিশ্চিত করে চমেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ তসলিম উদ্দিন বলেন, এনজিওগ্রাম মেশিন কেনার লক্ষ্যে শিগগির টেন্ডার আহ্বান করা হবে।

চমেক হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, ২০২১ সালে একটি এনজিওগ্রাম মেশিনের পিকচার টিউব নষ্ট হয়ে অচল হয়ে যাওয়ার পর একটি এনজিওগ্রাম মেশিন দিয়েই চলছিল হাসপাতালের হৃদরোগ বিভাগের কার্যক্রম।

হৃদরোগ বিভাগের একজন চিকিৎসক জানান, বর্তমানে জাপানের শিমার্জু ব্র্যান্ডের একটি মেশিন দিয়ে টিপিএম, পিপিএম, এনজিওগ্রাম, পেরিপাইরাল এনজিওগ্রাম ও রক্তনালীতে রিং স্থাপনের কাজ চলছে। কাজের অতিরিক্ত চাপের কারণে গত বছরের জানুয়ারিতে যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দেয়। এতে প্রায় দুই সপ্তাহ মেশিনটি বন্ধ থাকে। পরে মেশিনটির সরবরাহকারী কোম্পানির প্রতিনিধিরা পিকচার টিউব স্থাপন করে সচল করে।

Advertisement

অন্যদিকে ২০২১ সালে নষ্ট হয়ে যাওয়া অপর মেশিনটি মেরামত করতে সরবরাহকারী ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান জানায় এক কোটি ৮০ লাখ টাকা প্রয়োজন হতে পারে। এ মেশিন মেরামতের বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত না হলেও চমেক হাসপাতালের নতুন এনজিওগ্রাম মেশিন কেনার সিদ্ধান্ত নেয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

হৃদরোগ বিভাগের চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, দেশের অন্যান্য জেলার তুলনায় চট্টগ্রামে হৃদরোগের প্রকোপ বেশি। হৃদরোগের চিকিৎসায় উচ্চবিত্ত ও মধ্যবিত্ত শ্রেণির মানুষ প্রাইভেট ক্লিনিক-হাসপাতাল বাদেও প্রতিবেশি দেশ ভারত, সিঙ্গাপুর, ব্যাংককসহ উন্নত দেশে চিকিৎসা নিয়ে থাকেন। তবে এক্ষেত্রে গরিব ও নিম্ন মধ্যবিত্ত শ্রেণির মানুষের একমাত্র ভরসা চমেক হাসপাতাল। বৃহত্তর চট্টগ্রামের কয়েক কোটি মানুষ এই হাসপাতালের ওপর নির্ভরশীল।

চিকিৎসকরা বলেন, ক্যাথল্যাব বা কার্ডিয়াক ক্যাথেটারাইজেশনের (এনজিওগ্রাম) মাধ্যমে হৃদযন্ত্রের মাংসপেশি, ভাল্ব (কপাটিকা), ধমনির পরিস্থিতি জানতে এবং হৃদযন্ত্রের রক্তের চাপ বুঝতে রোগীকে ক্যাথল্যাবে পরীক্ষা করে দেখা হয়। ত্রুটি ধরা পড়লে প্রয়োজন মতো রক্তনালিতে রিং পরানো, পেসমেকার বসানো, সংকুচিত ভাল্ব ফোলানোসহ বিভিন্ন অস্ত্রোপচার করা হয়। কিন্তু হৃদরোগের চিকিৎসা ব্যয়বহুল হওয়ায় অনেক গরিব রোগী অর্থাভাবে টেম্পোরারি পেস মেকার (টিপিএম), পার্মানেন্ট পেসমেকার (পিপিএম), এনজিওগ্রাম ও রিং স্থাপন পারে না।

জানতে চাইলে চমেক হাসপাতালের হৃদরোগ বিভাগের প্রধান ও সহযোগী অধ্যাপক ডা. নূর উদ্দিন তারেক বলেন, চমেক হাসপাতালে হৃদরোগীর চাপ দিন দিন বাড়ছে। রোগী অনুপাতে অন্তত তিনটি মেশিন দরকার। সেখানে আমরা তিন বছরেরও বেশি সময় ধরে একটি মেশিন দিয়ে কাজ চালাচ্ছি। নতুন মেশিন এলে কাজের গতি বাড়বে।

Advertisement

এমডিআইএইচ/ইএ/জেআইএম