দেশজুড়ে

বাজার ইজারা নিয়ে বিএনপির দুই পক্ষে সংঘর্ষ

বাজার ইজারা নিয়ে বিএনপির দুই পক্ষে সংঘর্ষ

বাজার ইজারা নিয়ে ফেনীর দাগনভূঞায় বিএনপির দুই পক্ষে সংঘর্ষ হয়েছে। এতে আহত হয়েছেন বেশ কয়েকজন। মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) দুপুর ১২টার দিকে উপজেলার জিরো পয়েন্টে এ ঘটনা ঘটে।

Advertisement

স্থানীয়রা জানান, দাগনভূঞা উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটি নিয়ে চার মাস ধরে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল আউয়াল মিন্টুর ভাই ও দাগনভূঞা উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক আকবর হোসেন এবং সদ্য বহিষ্কৃত জেলা ছাত্রদলের সহ-সভাপতি কাজী জামশেদুর রহমান ফটিকসহ বিএনপির নেতাকর্মীদের মধ্যে দ্বন্দ্ব চলছে।

সম্প্রতি দাগনভূঞা বাজারের ইজারা নেন আকবরের এক অনুসারী। এ নিয়ে সোমবার (১৪ এপ্রিল) ফটিকের অনুসারীদের সঙ্গে তাদের কথা কাটাকাটি হয়। এর জেরে আজ মঙ্গলবারও দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া, ককটেল বিস্ফোরণ ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে দুই পক্ষের বেশ কয়েকজন আহত হন।

তাদের ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ায় পুরো বাজার এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। পরে সেনাবাহিনী ও পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

Advertisement

দাগনভূঞা উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক আকবর হোসেন বলেন, ইজারার ব্যাপারটি প্রশাসনিক বিষয়। সম্প্রতি আমাদের এক কর্মী বাজার ইজারা পাওয়ার পর নিয়ম অনুযায়ী টাকা তুলতে গেলে বহিষ্কৃত ছাত্রদল নেতা কাজী জামশেদুর রহমান ফটিক বাধা দিয়ে তারা টাকা তুলবে বলে জানান। আজও আমাদের কিছু নেতাকর্মী বাজারে অবস্থান করা অবস্থায় তারা অস্ত্র নিয়ে হামলা চালায়। এতে আমাদের কয়েকজন নেতাকর্মী আহত হন।

এদিকে বহিষ্কৃত ছাত্রদল নেতা কাজী জামশেদুর রহমান ফটিক বলেন, উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক আকবর হোসেনের লোকজন আগে থেকেই বাজারে এসে মহড়া দেওয়ার ঘোষণা দেয়। সেই অনুযায়ী আজ সকাল থেকে তারা দাগনভূঞা জিরো পয়েন্টে এসে প্রকাশ্যে গুলি করে। একপর্যায়ে আমাদের দলীয় নেতাকর্মীদের ওপর হামলা চালায়। এতে যুবদল নেতা চৌধুরী রিয়াদ, লিটন, রাসেল, রিয়াজ, রাজু ও হানিফসহ আমাদের কয়েকজন নেতাকর্মী আহত হন। এখন আবার আমাদের কিছু নেতাকর্মীকে পুলিশ আটক করেছে। বিষয়গুলো দলের শীর্ষ নেতাদের জানানো হয়েছে।

এ বিষয়ে ফেনীর সহকারী পুলিশ সুপার (সোনাগাজী-দাগনভূঞা সার্কেল) তছলিম উদ্দিন বলেন, দাগনভূঞা বাজার ইজারাকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে এ সংঘর্ষের সূত্রপাত। একই সময় এসএসসি পরীক্ষা কেন্দ্রের পাশে বিস্ফোরণে আশপাশে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছিল। এ ঘটনায় যৌথবাহিনীর অভিযান চলছে। এরই মধ্যে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য কয়েকজনকে আটক করা হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক।

আবদুল্লাহ আল-মামুন/জেডএইচ/এমএস

Advertisement