আসিয়ানের চেয়ারম্যান হিসেবে মালয়েশিয়া এ বছর যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শুল্ক আরোপের প্রতিক্রিয়ায় একটি বিশেষ মার্কিন-আসিয়ান শীর্ষ সম্মেলনের আহ্বান জানিয়েছে।
Advertisement
শুক্রবার মালয়েশিয়ার রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা বার্নামার এক প্রতিবেদনে বলছে, ‘বিনিয়োগ, বাণিজ্য ও শিল্পমন্ত্রী তেংকু জাফরুল আজিজ বলেছেন, শীর্ষ সম্মেলনের সময় আসিয়ানের সব নেতা ট্রাম্পের সঙ্গে দেখা করতে যুক্তরাষ্ট্র যেতে সম্মত হয়েছেন’।
তেংকু জাফরুল বলেন, শুল্ক আরোপের পরেও, মালয়েশিয়া এখনও একটি নিয়ম-ভিত্তিক বহুপাক্ষিক বাণিজ্য ব্যবস্থায় বিশ্বাস করে, ওয়াশিংটনে মালয়েশিয়ার কর্মকর্তারা শুল্ক আরোপের বিষয়ে আলোচনা করছেন।
এছাড়া পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মদ হাসান এ বিষয়ে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিওর সাথে আলোচনা করছেন বলেও জানিয়েছেন জাফরুল আজিজ।
Advertisement
আরও পড়ুন
আসিয়ান সদস্যপদের জন্য সমর্থন চান প্রধান উপদেষ্টা আসিয়ানের সদস্য পদে বাংলাদেশকে সমর্থন মালয়েশিয়ারগত সপ্তাহে ট্রাম্পের শুল্ক ঘোষণার পর শেয়ারবাজারে অস্থিরতা শুরু হয়েছে। যার ফলে শেয়ারবাজার থেকে ট্রিলিয়ন ডলারের ক্ষতি হয় এবং বিশ্বব্যাপী মন্দার আশঙ্কা তৈরি হয়।
এদিকে বুধবার ট্রাম্প বলেছেন, তিনি শুল্ক আরোপ ৯০ দিনের জন্য স্থগিত করবেন। তবে চীনের ওপর শুল্ক ১০৪ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১২৫ শতাংশ করবেন।
আসিয়ান হচ্ছে দক্ষিণ–পূর্ব এশিয়ার জাতি সংস্থা, ইংরেজিতে যাকে অ্যাসোসিয়েশন অব সাউথ ইস্ট এশিয়ান নেশনস (আসিয়ান) বলা হয়। দক্ষিণ–পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর সবচেয়ে শক্তিশালী আঞ্চলিক রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সংস্থা হিসেবে এটি বিবেচিত।
Advertisement
১৯৬৭ সালের ৮ আগস্ট থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককে দক্ষিণ–পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর পরস্পরের স্বার্থ সংরক্ষণে এই সংস্থা গঠন করা হয়। তখন দক্ষিণ–পূর্ব এশিয়ায় অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ত্বরান্বিত করতে এবং শান্তি ও নিরাপত্তা বৃদ্ধির লক্ষ্যে সংস্থাটি গঠনের কথা বলা হয়। ইন্দোনেশিয়ার রাজধানী জাকার্তায় আসিয়ানের সদর দপ্তর।
আসিয়ানের মোট সদস্য এখন ১০। যদিও শুরুতে এটি ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া, ফিলিপাইন, সিঙ্গাপুর ও থাইল্যান্ড—এই পাঁচ দেশ নিয়ে যাত্রা শুরু করেছিল। পরে আরও পাঁচ দেশ অর্থাৎ ব্রুনেই, ভিয়েতনাম, লাওস, মিয়ানমার ও কম্বোডিয়া আসিয়ানের সদস্য হয়।
এমআরএম/এমএস