এবার যশোর শিক্ষাবোর্ডে এসএসসি পরীক্ষার্থী কমেছে ২১ হাজার ৬৬২ জন। গতবছর পরীক্ষার্থী ছিল এক লাখ ৬২ হাজার ৭২৬ জন। যা এবার কমে দাঁড়িয়েছে এক লাখ ৪১ হাজার ৬৪ জনে। এবার কেন এত সংখ্যক পরীক্ষার্থী কমে গেলো এ নিয়ে চলছে আলোচনা।
Advertisement
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, অটোপাস, আন্দোলন-ধর্মঘটে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে টানা ছুটি থাকায় প্রস্তুতির অভাব ও শিক্ষার্থীদের মাঝে পরীক্ষাভীতি থাকায় এর সংখ্যা কমেছে। শিক্ষার্থীদের পাঠমুখী করে ভীতি কাটিয়ে উঠতে হবে। নইলে সংকট আরও বাড়বে।
এরই মধ্যে বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) শুরু হয়েছে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা।
জানা যায়, এবছর এসএসসি পরীক্ষায় যশোর শিক্ষা বোর্ডের দুই হাজার ৫৭০টি বিদ্যালয়ের এক লাখ ৪১ হাজার ৬৪ পরীক্ষার্থী অংশ নিচ্ছে। এরমধ্যে ছেলে ৬৯ হাজার ৮৫ ও মেয়ে ৭১ হাজার ৯৭৯ জন।
Advertisement
নিয়মিত পরীক্ষার্থী এক লাখ ২৮ হাজার ৬৫৮ ও অনিয়মিত পরীক্ষার্থী ১২ হাজার ২৮৬।
বিজ্ঞান শাখায় পরীক্ষার্থী ৪০ হাজার ১৪৪ জন, মানবিক শাখায় ৮৫ হাজার ২৩৮ জন ও ব্যবসায়ী শিক্ষা শাখায় পরীক্ষার্থী ১৫ হাজার ৬৮২ জন।
সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক জিএম জুলফিকার আব্দুল্লাহ বলেন, অটোপাসের কারণে ছেলে-মেয়েরা পড়ার টেবিল থেকে সরে গিয়েছিল। তাদের আর পড়ার টেবিলে ফেরানো যায়নি। একই সঙ্গে রাজনীতি, আন্দোলন, ধর্মঘটে শিক্ষার্থীদের সম্পৃক্ততা বেড়েছে। পড়াশুনা বাদে তারা অন্য কাজে বেশি মনোযোগী। এজন্য তাদের প্রস্তুতির অভাব দেখা দেয়। এতে শিক্ষার্থীদের মাঝে পরীক্ষাভীতি চেপে বসেছে। এজন্য অনেক শিক্ষার্থী পরীক্ষায় বসছে না। তাদের পড়ার টেবিলে ফিরিয়ে আনতে হবে। তা না হলে ঝরে পড়ার হার বাড়তেই থাকবে।
যশোর শিক্ষাবোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক প্রফেসর ড. আবদুল মতিন বলেন, প্রতি বছর পরীক্ষার্থীর সংখ্যা কম বেশি হয়। তবে এবছর বিপুল সংখ্যক পরীক্ষার্থী কমেছে। আমাদের পর্যবেক্ষণ হচ্ছে- দীর্ঘদিন পরীক্ষা না দিয়ে শিক্ষার্থীরা পরবর্তী ক্লাসে উত্তীর্ণ হওয়াতে তাদের মধ্যে পরীক্ষা দেওয়ার মনোভাব খুবই কম। ছেলে-মেয়েদের প্রস্তুতির অভাব ও পরীক্ষাভীতির কারণে কমেছে। যা আমাদের ভাবাচ্ছে। মিলন রহমান/জেডএইচ/এএসএম
Advertisement