খেলাধুলা

গুলশান এখন সুপার লিগ খেলার স্বপ্ন দেখতেই পারে

তামিম ইকবালের অর্থায়ন আর ঝানু কোচ খালেদ মাহমুদ সুজনের সু-প্রশিক্ষণে গড়া একঝাঁক সম্ভাবনাময়ী তরুণের দল গুলশান ক্রিকেট ক্লাব এখন সুপার লিগে খেলার স্বপ্ন দেখতেই পারে। আজ রোববার বিকেএসপি ৪ নম্বর মাঠে রুদ্ধশ্বাস লড়াইয়ের পর নিকট প্রতিদ্বন্দ্বী ধানমন্ডি স্পোর্টস ক্লাবকে ২ উইকেটে হারিয়ে সুপার লিগ খেলার জোর সম্ভাবনা জাগিয়েছে গুলশান।

Advertisement

৯ ম্যাচে পঞ্চম জয় আর বৃষ্টিতে পরিত্যক্ত খেলায় ১ পয়েন্ট পাওয়ার সুবাদে গুলশানের পয়েন্ট দাঁড়ালো ১১। সমান খেলায় ৬ নম্বর ম্যাচ হারের কারনে মোহাম্মদ আশরাফুলের শিষ্য ধানমন্ডি ক্লাবের সুপার লিগ খেলার সম্ভাবনা গেল অনেক কমে।

এখন নুরুল হাসান সোহানের দলকে সুপার লিগের স্বপ্ন বাঁচিয়ে রাখতে হলে শেষ ২ ম্যাচ জিততেই হবে। পাশাপাশি লিজেন্ডস অফ রূপগঞ্জ, প্রাইম ব্যাংক ও অগ্রণী ব্যাংকের বাকি খেলাগুলোর ফলের দিকেও তাকিয়ে থাকতে হবে।

বিকেএসপি ৪ নম্বর মাঠে রোববারের এ ম্যাচটি ছিল প্রতিদ্বন্দ্বীতায় ঠাসা। প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ২৫৮ রানের লড়াকু স্কোর গড়ে ধানমন্ডি স্পোর্টস ক্লাব। সর্বাধিক ৬৫ রান করেন ধানমন্ডির টপ অর্ডার ফজলে রাব্বি। এছাড়া তরুণ ওপেনার হাবিবুর রহমান সোহান ঝড়ের বেগে ৩২ এবং মিডল অর্ডার ইয়াসির আলী রাব্বি ২৮ রান করেন।

Advertisement

জবাবে গুলশান ম্যাচ জেতে মূলতঃ অভিজ্ঞ যোদ্ধা নাইম ইসলাম আর তরুণ মিডল অর্ডার খালেদ হাসানের দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ের কারণে। ১৩৫ রানে ওপেনার জাওয়াদ আবরার (২২), আজিজুল হাকিম তামিম (৩৯), লিটন দাস (২৫), আলী হাসান ইমন (২৮) ও মেহেদি হাসান (২) আউট হয়ে যান। এরপর নাইম ইসলাম আর খালেদ হাসান ষষ্ঠ উইকেটে ৭১ রান জুড়ে দিলে সংকট কাটিয়ে জয়ের পথ খুঁজে পায় গুলশান ক্রিকেট ক্লাব।

তরুণ খালেদ সমান তিনটি করে ছক্কা ও বাউন্ডারি হাঁকিয়ে ৩৩ বলে ৪২ রান করে আউট হলেও নাইম ইসলাম লড়াই চালিয়ে যান। ৬৭ বলে ৬৮ রানের দায়িত্বশীল ইনিংস খেলে দলকে একদম জয়ের হাত মেলানো দূরত্বে পৌঁছে আউট হন বর্ষিয়ান সৈনিক নাইম ইসলাম।

১২ বলে তখন গুলশানের দরকার ছিল ৭ রানের। লোয়ার অর্ডারে আরেক অভিজ্ঞ যোদ্ধা ইলিয়াস সানি (২৫ বলে ২৩) আর স্পিনার নিহাদউজ্জামান (২ বলে ৫ নট আউট) দল জিতিয়ে দেন। নিহাদউজ্জামান উইকেটে এসে দ্বিতীয় বলে বাউন্ডারি হাঁকান। ২ বল আগে ২ উইকেটের নাটকীয় জয় পায় গুলশান।

ধানমন্ডি স্পোর্টস ক্লাব: ২৫৮/৯, ৫০ ওভার (হাবিবুর রহমান সোহান ৩২, সানজামুল ১৭, ফজলে রাব্বি ৬৫, ইয়াসির আলী ২৮, নুরুল হাসান সোহান ২৪, মইন খান ২৩, জিয়া ১৬, কামরুল ইসলাম রাব্বি ২৯; আসাদুজ্জামান পায়েল ৩/৫৯, মেহেদি হাসান ৩/৫৯, ইলিয়াস সানি ২/৫৫, নিহাদউজ্জামান ১/৩৮)।

Advertisement

গুলশান ক্লাব: ২৫৯/৮, ৪৯.৪ ওভার (জাওয়াদ আবরার ২২, আজিজুল হাকিম তামিম ৩৯, লিটন দাস ২৫, আলী হাসান ইমন ২৮, মেহেদি হাসান ২, নাইম ইসলাম ৬৮, খালেদ হাসান ৪২, ইলিয়াস সানি ২৩, মইনুল ইসলাম সোহেল নট আউট ১, নিহাদউজ্জামান নট আউট ৫; কামরুল ইসলাম রাব্বি ২/৩৫, মইন খান ২/৪২, এনামুল হক ২/৪৪, মারুফ মৃধা ১/৪৪, সাঞ্জামুল ১/৪১)। ফল: গুলশান ২ উইকেটে জয়ী।

এআরবি/ আইএইচএস/