ধর্ম

শোয়ার সময় যে দোয়া পড়লে গুনাহ মাফ হয়

আবু সাঈদ (রা.) থেকে বর্ণিত নবিজি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেন, যে ব্যক্তি শোয়ার সময় এই দোয়াটি তিনবার পাঠ করবে আল্লাহর তাআলা তার সব গুনাহ ক্ষমা করে দেবেন যদিও তার গুনাহ হয় সমুদ্রের ফেনার মতো, গাছের পাতার সংখ্যার মতো, মরুভূমির বালুকণার মতো অথবা দুনিয়ার দিনগুলোর সংখ্যার মতো অনেক বেশি। দোয়াটি হলো,

Advertisement

أَسْتَغْفِرُ اللَّهَ الَّذِي لاَ إِلَهَ إِلاَّ هُوَ الْحَيُّ الْقَيُّومُ وَأَتُوبُ إِلَيْهِ

উচ্চারণ: আস্তাগফিরুল্লাহাল্লাযি লা-ইলা-হা ইল্লা হুয়াল হাইয়্যুল ক্বইয়্যুমু ওয়া আতূবু ইলাইহি।

অর্থ: আমি ক্ষমা চাই সেই আল্লাহর নিকট, যিনি ছাড়া কোনো ইলাহ নেই, যিনি চিরঞ্জীব ও সমস্ত কিছুর ধারক এবং আমি তাঁর কাছে তাওবা করছি। (সুনানে তিরমিজি: ৩৩৯৭)

Advertisement

আল্লাহ তাআলার রহম ও ক্ষমাশীলতা অসীম

আল্লাহ রাহমানুর রাহিম; পরম করুণাময়, দয়ার আধার। বান্দার প্রতি আল্লাহর অনুগ্রহ ও ইহসানের কোনো সীমা নেই। দুনিয়াতে মানুষ পাপাচারে লিপ্ত হয়, চরম সীমালঙঘন করে, এরপরও আল্লাহ ছাড় দেন, তওবার জন্য সময় দেন। আল্লাহর দয়া না হলে দুনিয়ার বেশিরভাগ মানুষই অবাধ্যতার অপরাধে ধ্বংস হয়ে যেতো।

বান্দা যত বড় গুনাহগার হোক, যত বেশি গুনাহ করুক, সে যখনই যথাযথভাবে লজ্জিত হয়, গুনাহ ছেড়ে দেয় এবং তওবা করে, তিনি তাকে ক্ষমা করে দেন।

কোরআনের অনেকগুলো আয়াতে আল্লাহ ঘোষণা করেছেন তিনি গাফুর ও রাহিম অর্থাৎ ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু। গুনাহ করে ফেললে আল্লাহর রহমত থেকে নিরাশ হতে নিষেধ করে সব গুনাহ ক্ষমা করে দেওয়ার আশ্বাস দিয়ে আল্লাহ বলেন, বলো, ‘হে আমার বান্দাগণ, যারা নিজদের ওপর বাড়াবাড়ি করছে তোমরা আল্লাহর রহমত থেকে নিরাশ হয়ো না। অবশ্যই আল্লাহ সব পাপ ক্ষমা করে দেবেন। নিশ্চয় তিনি ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু। (সুরা জুমার: ৫৩)

কোরআনের আরেকটি আয়াতে একইরকম প্রতিশ্রুতি দিয়ে আল্লাহ বলেছেন, যে ব্যক্তি মন্দ কাজ করবে কিংবা নিজের ওপর জুলুম করবে তারপর আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাইবে, সে আল্লাহকে পাবে ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু। (সুরা নিসা: ১১০)

Advertisement

তাই আমরা যেন কখনো আল্লাহর রহমত থেকে নিরাশ না হই। নিয়মিত আল্লাহ তাআলার কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করি। আশা করা যায় আল্লাহ তাআলা আমাদের ভুল-ত্রুটি ক্ষমা করে দেবেন ও আমাদের ওপর সন্তুষ্ট হবেন।

ওএফএফ/জেআইএম