অর্থনীতি

ঈদের আগে পরিপাটি হতে পার্লারে ছুটছেন ছেলেরাও

ঈদের আগে পরিপাটি হতে পার্লারে ছুটছেন ছেলেরাও

মেয়েদের পাশাপাশি রূপচর্চায় পিছিয়ে নেই ছেলেরাও। ঈদ উপলক্ষে তাই শহরের জেন্টস পার্লারগুলোও এখন ব্যস্ত সময় পার করছে। ঈদে নতুন জামা-জুতার পাশাপাশি শেভ-চুলকাটাসহ দাড়ি ছেঁটে নিজেকে আকর্ষণীয় করতে সেলুন ও জেন্টস পার্লারে ছুটছেন অনেকেই। তবে সিরিয়াল পেতে অপেক্ষা করতে হচ্ছে ঘণ্টার পর ঘণ্টা।

Advertisement

বৃহস্পতিবার (২৭ মার্চ) রাজধানীর ধানমন্ডি, মিরপুর, বনানী ও গুলশান এলাকার বিভিন্ন পার্লারে দেখা যায়, কর্মীদের এখন দম ফেলার ফুরসত নেই। ঈদ প্রায় চলেই এসেছে। শেষ মুহূর্তে নিজেকে আকর্ষণীয় করতে তরুণ-যুবকরা ভিড় জমাচ্ছেন পার্লারে, বাদ যাচ্ছেন না বয়স্করাও।

ছেলেদের সৌন্দর্য চর্চায় রয়েছে হেয়ারকাট এবং শেভ, ফেসিয়াল, শ্যাম্পু ওয়াশ এবং ফেস ওয়াশ, গোল্ড এবং হেয়ারকাট, হেয়ার স্ট্রেইট, এক বছরের হেয়ার ট্রিটমেন্ট, পেডিকিউর, মেনিকিউর, বডি ম্যাসাজ এবং পার্টি মেকআপসহ আরও নানান ধরনের রূপচর্চা।

শেষ সময়ের ভিড় এড়াতে ঈদের চারদিন আগেই বিদ্যুৎ হেয়ার ড্রেসারে আসেন চাকরিজীবী জাহিদ আরমান। জাগো নিউজকে তিনি বলেন, শেষ সময়ে হিজিবিজি লেগে যায়। এটা-ওটা কেনা লাগে। পরে দেখা যায় চাঁদরাতে অনেক রাতে চুল কাটার জন্য সেলুনে ছুটতে হয়। এজন্য এবার আগেভাগেই আসা। সিরিয়াল দিয়ে এক ঘণ্টা মতো অপেক্ষা করছি।

Advertisement

মিরপুর রোডের সেলুনগুলোতে ব্যস্ততা যেন আরও বেশি। কোনো সেলুনেই চেয়ার খালি নেই। ঈদ মৌসুমে বাড়তি গ্রাহকের চাপ সামাল দিতে সেলুন মালিকরা বাড়তি কারিগর নিয়োগ করেছেন। ঈদের আগে বেড়েছে সেলুনের প্রতিটি আইটেমের রেট। এর ওপর আবার রয়েছে বকশিশের দাবিও।

আরও পড়ুন

বেড়েছে জুতা-গহনার বিক্রি, দাম বেশির অভিযোগ ক্রেতার শেষ মুহূর্তে ছেলেদের পোশাকের বিক্রি বেশি

নবাবী মেনস পার্লারের কারিগর নয়ন বলেন, এখন দম ফেলার ফুরসত নেই। কাজের এত চাপ যে সকাল ৯টা থেকে রাত ১২টা-১টা পর্যন্ত কাজ করতে হয়। তবে ঈদের আগের রাতে (চাঁদ রাত) সারা রাত কাজ করতে হবে।

এ সেলুনে চুল কাটাতে সাধারণত ১২০ টাকা লাগে। তবে পছন্দের নকশার চুল কাটাতে ১৭০ টাকা, শেভ করতে প্রয়োজন ১০০ থেকে ১৩০ টাকা। ৬০০ থেকে ৩ হাজার টাকায় ফেসিয়াল এবং ৪০০ থেকে হাজার টাকায় চুলে রঙ করানো হয়। এছাড়া যারা চুল বড় রাখেন তারা চুল রিবন্ডিং ও স্ট্রেইট করাতেও পারেন।

Advertisement

৩৫ বছরের ধরে মিরপুরের এ সেলুনে একই কারিগরের কাছে চুল কাটান বেসরকারি চাকরিজীবী মারুফ ইসলাম। এবার ঈদের আগেও এসেছেন চুল কাটাতে।

জাগো নিউজকে মারুফ বলেন, সবসময় এখান থেকেই চুল কাটাই। আসলে একজনের কাছে চুল কাটিয়ে ভালো লেগে গেলে আর অন্য কোথাও যেতে ইচ্ছা করে না। কেন যেন অন্য কারও কাছ থেকে চুল কাটতে অস্বস্তি লাগে! যিনি সবসময় চুল কেটে দেন, তিনিই আসলে ভালো বুঝতে পারেন কোন স্টাইলটা মানাবে।

ঈদের আগ মুহূর্তে কেন সেলুনে, এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ঈদের আগে চুল কাটলে একটু ফ্রেশ লাগে। অন্যরকম একটা ভালো লাগা কাজ করে।

চুল কাটা, বডি ম্যাসাজ, বিভিন্ন ধরনের ফেসিয়াল, দাড়ির বিভিন্ন কাটের পাশাপাশি অনেকেই আবার সাদা চুল কালারও করছেন। বিনিময়ে নির্ধারিত সেবামূল্যের পাশাপাশি গ্রাহকরা নরসুন্দরদের ঈদ বকশিশ দিচ্ছেন।

এসআরএস/কেএসআর/এমএস