চীনা বিনিয়োগকারীদের বাংলাদেশে নিয়ে আসার বিষয়টিই প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের চীন সফরে প্রাধান্য পাবে বলে জানিয়েছেন তার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। তিনি বলেন, প্রধান উপদেষ্টা চীন যাচ্ছেন। পুরো ফোকাসটি থাকবে চায়নিজ ইনভেস্টর, যারা গ্লোবালি ডমিনেট করছেন; তাদের বাংলাদেশে আনা।
Advertisement
মঙ্গলবার (২৫ মার্চ) রাজধানীর পল্টনে ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরাম (ইআরএফ) কার্যালয়ে এলডিসি উত্তরণ: কৃষিখাতে প্রভাব শীর্ষক এক সেমিনারে তিনি এসব কথা বলেন। ইআরএফ ও বাংলাদেশ অ্যাগ্রো কেমিক্যাল ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন (বামা) যৌথভাবে এই কর্মশালার আয়োজন করে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার আন্তর্জাতিক বিষয়ক বিশেষ দূত লুৎফে সিদ্দিকী। এছাড়া বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। সভাপতি ছিলেন ইআরএফের সভাপতি দৌলত আকতার মালা। সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক আবুল কাশেম।
রপ্তানি বহুমুখীকরণ না হওয়ার বিষয়টি তুলে ধরে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেন, এই সরকার চাচ্ছে এখান থেকে বের হয়ে আসতে। পোশাকের বাইরে অন্য পণ্য রপ্তানির প্রসার ঘটাতে। প্রফেসর ইউনূস ইইউ এর কাছে বলেছে, তোমরা এখানে হালাল ফ্যাক্টরিগুলো করো। হালালের ম্যানুফেকচারিং হাব করো। তিনি চীন যাচ্ছেন, পুরো ফোকাসটি থাকবে চায়নিজ ইনভেস্টর, যারা গ্লোবালি ডমিনেট করছেন; তাদের বাংলাদেশে আনা।
Advertisement
তিনি একটি দেশের প্রধান বা রাষ্ট্র প্রধানের সঙ্গে যতটা বৈঠক করছেন, তারও বেশি বৈঠক করছেন বেসরকারি খাতের উদ্যোক্তাদের সঙ্গে। সবার কাছে একই মেসেজ। আর তা হচ্ছে বাংলাদেশ এখন রেডি ফর বিজনেস। আপনারা আসেন। আপনারা এখানে ফ্যাক্টরি স্থাপন করুন।
প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেন, প্রফেসর ইউনূস প্রচুর জব দিতে চান। বাংলাদেশকে ম্যানুফেকচারিং হাব বানাতে চান। ম্যানুফেকচারিং হাব বানাতে গিয়ে যে ধরনের বাধা রয়েছে সেটি কীভাবে দূর করা যায় সেই কাজগুলো চলছে। কোথায় কোথায় বাধা আছে, কি কি করলে অর্থনীতির আরও উন্নতি ঘটবে সেই কাজগুলো চলছে। তবে আমরা জানি না কাজগুলো আমাদের অন্তর্বর্তী সরকার করে যেতে পারবে কি না। সরকার একটি প্ল্যাটফর্ম তৈরি করে দিয়ে যাবে সেখান থেকে বাংলাদেশের অর্থনীতি একটি টেক অফে যেতে পারবে। বাংলাদেশেকে অন্য উচ্চতায় নিতে হলে যে ধরনের ডাইভারসিফিকেশন করা দরকার বাংলাদেশকে যেভাবে ম্যানুফেকচারিং হাব করা দরকার সেভাবেই এখন কাজ চলছে।
শফিকুল আলম বলেন, বিশ্বের বিভিন্ন দেশে প্রচ্ছন্ন বাণিজ্য যুদ্ধ হচ্ছে। আমরা যেন তার সুবিধা নিতে পারি সে বিষয়ে কাজ চলছে।
তিনি আরও বলেন, যে করেই হোক চট্টগ্রাম বন্দরের সক্ষমতা বাড়াতে হবে। প্রতিদিন চট্টগ্রাম পোর্টের সক্ষমতা ও কার্যকলাম মনিটরং করা হচ্ছে। বিষয়টিকে সবচেয়ে বেশি অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে।
Advertisement
এনএইচ/এমআইএইচএস/এএসএম