ভোলার লালমোহনে মো. খোকন হাওলাদার (৪২) নামে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সদস্যের ওপর হামলার অভিযোগ পাওয়া গেছে। রোববার (২৩ মার্চ) বিকেলে এ ঘটনা ঘটে। বিএনপি ও যুবদলের নেতাকর্মীরা এ হামলা চালান বলে অভিযোগ ভুক্তভোগীর।
Advertisement
আহত খোকন হাওলাদার লালমোহন উপজেলার কালমা ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের চরছনিকা গ্রামের বাসিন্দা ও ইউনিয়নের জাতীয় নাগরিক পার্টি সদস্য বলে জানা গেছে। আহত অবস্থায় ভর্তি হয়ে তিনি জেলার ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
খোকন হাওলাদার জানান, তিনি দীর্ঘদিন বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন। ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদকও ছিলেন। কিন্তু কয়েক মাস আগে তিনি জাতীয় নাগরিক কমিটিতে যোগ দেন। বর্তমানে তিনি জাতীয় নাগরিক পার্টির সদস্য। কয়েক মাস তিনি দলের বিষয়ে তার এলাকার প্রচার করেন। এ নিয়ে তার এলাকার বিএনপির নেতাকর্মীরা ক্ষিপ্ত হন।
এর পরিপ্রেক্ষিতে রোববার বিকেলে লালমোহন বাজার থেকে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশায় বাড়ি যাওয়ার পথে পৌর এলাকার মডেল মসজিদের কাছে পৌঁছালে অটোরিকশা থামিয়ে নাফিজ, সালাউদ্দিন, কামরুল, মিজান, শাহিন ও রাসেলসহ ৮-১০ জন বিএনপি-যুবদলের নেতাকর্মী তাকে বেধড়ক মারধর করেন। পরে আহত অবস্থায় খোকনকে স্থানীয়রা লালমোহন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে সেখানে তার চিকিৎসা করতে বাঁধা দেওয়া হয়। পরে পুলিশ উপস্থিত হলে তিনি লালমোহন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নেন। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য চিকিৎসক তাকে তাকে জেলা সদর হাসপাতালে স্থানান্তর করেন।
Advertisement
এ বিষয়ে অভিযুক্তদের ফোন করা হলেও তারা রিসিভি করেননি।
লালমোহন উপজেলা বিএনপির সদস্যসচিব মো. শফিকুল ইসলাম বাবুল জানান, বিএনপির কোনো নেতাকর্মীরা খোকন হাওলাদারের ওপর হামলা চালাননি। বিএনপির নেতাকর্মীদের ওপর মিথ্যা দোষ চাপানো হচ্ছে।
জাতীয় নাগরিক পার্টির ভোলা সদরের প্রতিনিধি মো. ইয়াছিন আরাফাত ও রহিদ আহমেদ জানান, খোকন হাওলাদার আগে ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। বেশ কয়েক মাস আগে তিনি জাতীয় নাগরিক কমিটিতে যুক্ত হয়েছেন। সে লালমোহন উপজেলার জাতীয় নাগরিক পার্টির সদস্য। এ হামলার আমরা তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। আমরা এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নেব।
লালমোহন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সিরাজুল ইসলাম জানান, খোকন হাওলাদারের ওপর হামলার খবর পেয়ে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। পুলিশের সহযোগিতায় সে লালমোহন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিয়েছেন। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য ভোলা সদর হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এ ঘটনায় এখনও কেউ থানায় অভিযোগ করেননি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
Advertisement
জুয়েল সাহা বিকাশ/এমএন/জিকেএস