হার্ট অ্যাটাক হয়ে জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে তামিম ইকবাল। ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে (ডিপিএল) শাইনপুকুর অধিনায়ক রায়ান রাফসান রহমানের সঙ্গে টসও ঠিকমতো করেছিলেন তামিম। তবে ব্যাট হাতে খেলা হলো না বাঁহাতি টাইগার ক্রিকেটারের। চলে যেতে হলো হাসপাতালের বেডে।
Advertisement
উপায়ন্তর না দেখে তামিমকে ছাড়াই ম্যাচ চালিয়ে নেয় মোহামেডান। তবে কাপ্তানকে ছাড়া জয় পেতে কষ্ট হয়নি তাদের। শাইনপুকুরের বিপক্ষে হেসেখেলেই জিতেছে সাদা-কালোরা।
বিকেএসপির ৩ নম্বর মাঠে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে ৪৯.৫ ওভারে ২২৩ রানে অলআউট হয় শাইনপুকুর। জবাবে মেহেদী হাসান মিরাজের সেঞ্চুরিতে ৪২.২ ওভারে ৭ উইকেট হাতে রেখে জিতেছে মোহামেডান।
তামিম না থাকায় রনি তালুকদারের সঙ্গে মোহামেডানের ইনিংস ওপেন করেন মিরাজ। উদ্বোধনী জুটিতে রনিকে নিয়ে ১৬৪ রান তোলেন মিরাজ। শাইনপুকুরের বোলারদের তুলোধুনো রান তুলতে থাকেন তিনি। অন্যদিকে রনি তালুকদারও আস্তে আস্তে ইনিংস বড় করতে থাকেন।
Advertisement
৮৬ বলে ১০৩ রানের ইনিংস খেলে আউট হন মিরাজ। ১০ চারের সঙ্গে ৩ ছক্কায় ইনিংস সাজান তিনি। তবে ফিফটির পরই আটকে যান রনি। ৮৬ বলে ৬১ রান করেন সাজঘরে ফেরেন ডানহাতি ব্যাটার।
তিনে নামা মাহিদুল ইসলাম অংকন ৩৩ বলে ২৭ রান করেন। মোহামেডানের জয় নিশ্চিত করেন সাইফ হাসান ও নাসুম আহমেদ। সাইফ ১৮ রানে আর নাসুম ১৩ রানে অপরাজিত থাকেন।
এর আগে শাইনপুকুরের হয়ে সর্বোচ্চ ১০৭ বলে ৭৭ রানের ইনিংস খেলেন অধিনায়ক রায়ান রাফসান। আরেকটি হাফসেঞ্চুরির ইনিংস বেরিয়ে আসে শরিফুল ইসলামের ব্যাট থেকে। ৬৯ বলে ৫৭ রান করেন শরিফুল। ওপেনার অনিক সরকার ১৮ বলে ২২ রানে সাজঘরে ফেরেন। বাকিদের সবার ব্যক্তিগত স্কোর ছিল ২০ এর নিচে।
হার্ট অ্যাটাক হওয়ায় হয়তো এ মৌসুমে আর খেলা হবে না তামিমের। এদিকে তামিমের জায়গায় নির্ভরতার প্রতিক হওয়ার চেষ্টা করছেন মিরাজ। তাই সামনের ম্যাচগুলোতে হয়তো মিরাজই নামবেন ওপেনিংয়ে। এমএইচ/এএসএম
Advertisement