চিফ প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ তাজুল ইসলামের পদত্যাগের দাবিতে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের গেটের সামনে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন করেছেন জুলাই শহীদ পরিবারের সদস্যরা। সোমবার (২৪ মার্চ) দুপুরে ‘জুলাই ২৪ শহীদ পরিবার সোসাইটি’র ব্যানারে বিক্ষোভ করেন তারা।
Advertisement
এ সময় শহীদ পরিবারের সদস্যরা আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ ও বিচারের দাবিতেও স্লোগান দেন। তারা দ্রুত গণহত্যা মামলার সব আসামি গ্রেফতার, অভিযোগ গঠন ও বিচার ত্বরান্বিত করে ফাঁসির দাবি তোলেন।
শহীদ পরিবারের সদস্যরা দাবি করেন, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে বিচারের নামে প্রহসন হচ্ছে। চিফ প্রসিকিউটর বিক্রি হয়ে গেছেন। গণহত্যার বিচার দ্রুত না হলে ট্রাইব্যুনাল ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়ারও হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন তারা।
এ সময় এক শহীদের বাবা দাবি করেন, আমার সন্তান শহীদ হয়েছে। তার হত্যা মামলায় যারা আসামি ছিল, তাদের দুজন হাইকোর্ট থেকে জামিন নিয়ে বের হয়ে গেছে।
Advertisement
এর আগে ‘জুলাই ২৪ শহীদ পরিবারের সোসাইটি’র ব্যানারে বিভিন্ন দাবিতে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন করেছেন। এবার তারা আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাব্যুনালের সামনে বিক্ষোভ করেন।
পদত্যাগের দাবির বিষয়ে চিফ প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট তাজুল ইসলামের কাছে জানতে চাইলে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘যাদের সন্তান শহীদ হয়েছেন, তারা বিচারের দাবি করতেই পারেন। সেটা তাদের অধিকার। আমরা আন্তরিকভাবেই চেষ্টা করছি অভিযোগের তদন্ত ও বিচার প্রক্রিয়া দ্রুত সম্পন্ন করার।’
ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের পর গত ৫ সেপ্টেম্বর অ্যাডভোকেট তাজুল ইসলামকে চিফ প্রসিকিউটর হিসেবে নিয়োগ দিয়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল পুনর্গঠন করে প্রজ্ঞাপন জারি করে আইন মন্ত্রণালয়। প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, অ্যাডভোকেট তাজুল ইসলাম অ্যাটর্নি জেনারেলের সমমর্যাদা ভোগ করবেন।
আরও পড়ুন জুলাই হত্যাকাণ্ডের মামলাগুলো আইসিসিতে পাঠানোর আহ্বান ক্যাডম্যানের ন্যায়বিচার নিশ্চিতে আমাদের কাজ অব্যাহত আছে: চিফ প্রসিকিউটরগত ১৮ নভেম্বর বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বে তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ৪৬ জনের গ্রেপ্তারের বিষয়ে অগ্রগতি প্রতিবেদন ও তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার জন্য এক মাস সময় দিয়েছিলেন। ট্রাইব্যুনালের অপর দুই সদস্য হলেন বিচারপতি মো. শফিউল আলম মাহমুদ এবং অবসরপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ মো. মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী।
Advertisement
এফএইচ/এসএইচএস/জিকেএস/এএসএম