চুয়াডাঙ্গায় টেঁটা দিয়ে আঘাত করে নির্মমভাবে একটি মেছো বিড়ালকে হত্যা করা হয়েছে। সেই হত্যার ভিডিও আবার ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে।
Advertisement
এ ঘটনায় একজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বাকি দুজন এখনো পলাতক।
২১ মার্চ বিকেলে দামুড়হুদা উপজেলার কুড়ুলগাছি ইউনিয়নের ধান্যঘরা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
ভিডিওতে দেখ যায়, তিন যুবক মিলে টেঁটা দিয়ে আঘাত করে বন্যপ্রাণীটি হত্যা করে। পরে ভিডিওটি ফেসবুকে ভাইরাল হলে এ নিয়ে ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। ঘটনাটি জানাজানি হলে এ বিষয়ে প্রশাসন দ্রুত ব্যবস্থা নেয়।
Advertisement
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ২১ মার্চ বিকেলে আনুমানিক সাড়ে ৫টার দিকে ধান্যঘরা গ্রামের শহিদুল ইসলামের ছেলে মো. আলমগীর হোসেন (৩০), হারুন কাল্টার ছেলে মিন্টু এবং ইমান আলীর ছেলে মো. সাইফুল ইসলাম মিলে একটি মেছো বিড়ালকে নির্মমভাবে হত্যা করে।
ভিডিওটি ভাইরাল হওয়ার পর কুড়ুলগাছি ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য ও প্যানেল চেয়ারম্যান শাহ মো. ফরহাদ হোসেন ঘটনাটি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপজেলা বন কর্মকর্তাকে জানান।
এরপর শনিবার (২২ মার্চ) সকাল সাড়ে ১০টায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, সহকারী কমিশনার (ভূমি), দর্শনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি), উপজেলা বন কর্মকর্তা ও স্থানীয়দের উপস্থিতিতে বিড়ালটি মাটিচাপা দেওয়া হয়।
স্থানীয় বাসিন্দারা এ ঘটনার নিন্দা জানিয়েছেন এবং প্রশাসনের দ্রুত পদক্ষেপের প্রশংসা করেন।
Advertisement
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তিথি মিত্র বলেন, বন্যপ্রাণী হত্যা একটি গুরুতর অপরাধ। এ ধরনের নিষ্ঠুর কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে কঠোর আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
উপজেলা বন কর্মকর্তা মিজানুর রহমান বলেন, বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইনের আওতায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। যারা এখনো পলাতক, তাদের দ্রুত আইনের আওতায় আনার চেষ্টা চলছে।
এ বিষয়ে দর্শনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহম্মদ শহীদ তিতুমীর বলেন, অভিযুক্ত মো. আলমগীর হোসেনকে (৩০) গ্রেফতার করে। তবে বাকি দুই আসামি মিন্টু ও সাইফুল ইসলাম এখনো পলাতক। তাদের গ্রেফতারের জন্য অভিযান অব্যাহত আছে।
উল্লেখ্য, বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা আইন, ২০১২ অনুযায়ী, কোনো বন্যপ্রাণী হত্যা বা ক্ষতি করলে সর্বোচ্চ এক বছর কারাদণ্ড বা এক লাখ টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হওয়ার বিধান রয়েছে।
হুসাইন মালিক/জেডএইচ/এএসএম