আজ ২২ মার্চ। বিশ্ব পানি দিবস। প্রতিবছরই বিশ্বের বিভিন্ন দেশে নানা আয়োজনের মধ্যে দিয়ে পালন করা হয় বিশেষ এই দিনটি। তবে আমরা অনেকেই জানি না এ দিবসটি কবে থেকে আর কেন পালন করা হয়। চলুন জেনে নেই পানি দিবস সম্পর্কে নানা জানা-অজানা তথ্য।
Advertisement
পানির অপর নাম জীবন। জন্মের পর থেকে মৃত্যুর আগ পর্যন্ত প্রত্যেকটি প্রাণীই কোন না কোনভাবে পানির ওপর নির্ভরশীল। এমনকি পৃথিবীর তিন-চতুর্থাংশই পানি। তবুও বিশুদ্ধ-নিরাপদ পানির জন্য আমাদের অনেক বেগ পেতে হয়ে। কেননা অধিকাংশ মানুষই সচেতন কিংবা অসচেতনভাবেই পানি অপচয় করে থাকি। যা প্রাণীকুলের জন্য ক্ষতিকর। তাই পানির গুরুত্ব বোঝা এবং এর সংরক্ষণ অত্যন্ত জরুরি।
ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের তথ্যমতে, বিশ্বের প্রায় ৭৭ কোটির বেশি মানুষ নিরাপদ পানির সুবিধা থেকে বঞ্চিত। আর প্রতিবছর অনিরাপদ পানি ও দুর্বল পয়োনিষ্কাশনের জন্য প্রায় ১০ লাখেরও বেশি মানুষ মারা যায়।
১৯৯২ সালে রিও ডি জেনেরিওতে পরিবেশ ও উন্নয়ন বিষয়ক জাতিসংঘের সম্মেলনে পানি দিবসের ধারণাটি প্রস্তাবিত হয়। পরবর্তীতে একই সালের ডিসেম্বরে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ প্রতিবছর ২২ মার্চকে বিশ্ব পানি দিবস হিসেবে ঘোষণা করে একটি প্রস্তাব পাস করে। এরপর প্রথম বিশ্ব পানি দিবস পালিত হয় ১৯৯৩ সালে।
Advertisement
আরও পড়ুন:
কেন, কীভাবে শুরু নারী দিবসের? বিভিন্ন দেশে যেভাবে পালিত হয় নারী দিবসবিশেষ এই দিবসে বিশুদ্ধ পানি, পয়নিষ্কাশন এবং স্বাস্থ্যবিধি সম্পর্কিত বিষয়গুলো নিয়ে পর্যালোচনা করা। টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার (এসডিজি) ৬ নম্বর লক্ষ্য হলো- ‘সকলের জন্য নিরাপদ পানি এবং পয়নিষ্কাশন’ নিশ্চিত করা।
প্রতিবছরই এই দিবস ঘিরে জাতিসংঘের বিশ্ব পানি উন্নয়ন প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। এতে প্রত্যেকের পানি এবং পয়োনিষ্কাশনের অধিকার ও প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেওয়া হয়। এই দিবসটি পালনের মধ্যে দিয়ে নিরাপদ পানির সংকট তুলে ধরা হয় এবং দীর্ঘস্থায়ীভাবে নিরাপদ পানি সংরক্ষণের জন্য মানুষকে উদ্বুদ্ধ করা হয়। বিশুদ্ধ পানির আধার ও চিহ্নিত পয়োনিষ্কাশনের সমস্যা নিরসনের জন্য সচেতনতা বৃদ্ধির চেষ্টা করা হয়।
একই সঙ্গে, প্রতি বছর এ দিনে পানি ও পয়োনিষ্কাশনের সমস্যা মোকাবিলায় সচেতনতা বাড়ানো এবং পদক্ষেপ নেওয়ার জন্যও মানুষকে উদ্বুদ্ধ করা হয়।
Advertisement
জেএস/এমএস