ইসরায়েলে ফের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে হুথি বিদ্রোহীরা। ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, শুক্রবার (২১ মার্চ) রাতে তারা ইয়েমেন থেকে আসা একটি ক্ষেপণাস্ত্র গুলি করে ভূপাতিত করেছে। ইসরায়েলি ভূখণ্ডে আঘাত হানার আগেই ক্ষেপণাস্ত্রটি ভূপাতিত করা সম্ভব হয়েছে বলে জানানো হয়। খবর আল জাজিরার।
Advertisement
ওই হামলার দায় স্বীকার করেছে হুথি বিদ্রোহীরা। শনিবার ভোরে টেলিভিশনে সম্প্রচারিত এক ভাষণে হুথি মুখপাত্র ইয়াহিয়া সারি জানান, ইরান-সমর্থিত এই গোষ্ঠীটি তেল আবিবের কাছে বেন গুরিয়ন বিমানবন্দর লক্ষ্য করে একটি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে।
তিনি জানিয়েছেন, গত ৪৮ ঘণ্টায় এ নিয়ে তৃতীয় বারের মতো হামলা চালানো হলো। সারি আরও বলেন, হুথিরা লোহিত সাগরে মার্কিন বিমানবাহী রণতরী ইউএসএস হ্যারি এস ট্রুম্যানের ওপর একাধিক হামলা চালিয়েছে।
মার্কিন সেনাবাহিনী এখনও এই ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেনি। প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের হুমকির পরেও লোহিত সাগরে একাধিক মার্কিন জাহাজে হামলা চালিয়েছে হুথিরা।
Advertisement
২০২৩ সালে ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের সীমান্তে প্রবেশ করে আকস্মিক হামলা চালায় ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। এরপরেই গাজায় পাল্টা আক্রমণ চালায় ইসরায়েল। সে সময় থেকে এখন পর্যন্ত গাজায় হামলা চালিয়ে হাজার হাজার ফিলিস্তিনি নারী, পুরুষ, শিশুকে হত্যা করা হয়েছে।
এদিকে ফিলিস্তিনিদের প্রতি সমর্থন জানিয়ে ইসরায়েলের ওপর হামলা চালিয়ে যাচ্ছে হুথি বিদ্রোহীরা। ফিলিস্তিনিদের ওপর যতদিন পর্যন্ত আগ্রাসন চলবে ততদিন এই হামলা চলবে বলে জানানো হয়েছে।
গাজার হামাস-নিয়ন্ত্রিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনে কমপক্ষে ৪৯ হাজার ৬১৭ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে এবং আহত হয়েছে আরও ১ লাখ ১২ হাজার ৯৫০ জন। গাজার সরকারি মিডিয়া অফিস মৃতের সংখ্যা আপডেট করে ৬১ হাজার ৭০০ জনেরও বেশি বলে জানিয়েছে। কারণ ধ্বংসস্তূপের নিচে নিখোঁজ হওয়া হাজার হাজার ফিলিস্তিনি এখন আর জীবিত নেই বলে ধরে নেওয়া হচ্ছে।
আরও পড়ুন: ৩ দিনে ২০০ শিশুকে হত্যা করেছে ইসরায়েল যুদ্ধে জন্ম নিয়ে যুদ্ধেই শহীদ শিশুটিচলতি সপ্তাহে গাজায় ইসরায়েলি হামলায় কমপক্ষে ২০০ শিশু এবং ১১০ জনেরও বেশি নারী নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘের মানবাধিকার অফিস। এই ঘটনাকে ভয়াবহ বলে উল্লেখ করা হয়েছে। মঙ্গলবার গাজায় নতুন করে ইসরায়েলি বর্বরতা শুরুর পর প্রায় ৬০০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে।
Advertisement
টিটিএন