যে পদ্ধতিতেই ইটভাটা পরিচালনা করা হোক না কেন ছাড়পত্র (লাইসেন্স) না থাকলেই সেটা অবৈধ বলে আদেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
Advertisement
এ সংক্রান্ত আবেদনের ওপর শুনানি নিয়ে মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) হাইকোর্টের বিচারপতি ফারাহ মাহবুব এবং বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এই আদেশ দেন।
এদিন আদারতে মানবাধিকার সংগঠন এইচআরপিবি’র পক্ষে শুনানি করেন সিনিয়র আইনজীবী মনজিল মোরসেদ। তাকে সহায়তা করেন অ্যাডভোকেট মো. ছারওয়ার আহাদ চৌধুরী, অ্যাডভোকেট জাহিদুল হক, অ্যাডভোকেট এখলাস উদ্দিন ভূঁইয়া, অ্যাডভোকেট সঞ্জয় মন্ডল ও অ্যাডভোকেট সেলিম রেজা। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডিএজি মো. তামিম, ইটভাটা মালিক সমিতির পক্ষে ছিলেন সিনিয়র অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন এবং পরিবেশ অধিদপ্তরের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট মুনতাসির আহমেদ।
আইনজীবীরা জানান, অবৈধ ইটভাটা বন্ধে হাইকোর্টের আদেশে বর্তমান মেয়াদ পর্যন্ত লাইসেন্স এবং পরিবেশ ছাড়পত্র না থাকলে সেগুলো উচ্ছেদে প্রশাসনের ওপর নির্দেশনা থাকবে বলে জানিয়েছেন হাইকোর্ট।
Advertisement
সারাদেশে লাইসেন্সবিহীন অবৈধ ইটভাটার কার্যক্রম বন্ধে ২০২২ সালে জনস্বার্থে হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশ (এইচআরপিবি) একটি রিট পিটিশন করেন এবং আদালত রুল জারি করে অবৈধ ইটভাটা উচ্ছেদে নির্দেশ দেন। তারই ধারাবাহিকতায় গত ১৬ মার্চ ইটভাটা মালিক সমিতির পক্ষে আদালতের আদেশ সংশোধন চেয়ে একটি আবেদন করা হয়। ওই আবেদনের ওপর শুনানি নিয়ে মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) হাইকোর্ট এই আদেশ দেন।
শুনানি শেষে আদালত পূর্ববর্তী আদেশ সংশোধন করে অবৈধ ইটভাটা শব্দের ব্যাখ্যা দিয়ে আদেশ সংশোধন করেন। আদেশ বলা হয়েছে , ড্রাম চিমনি ও ফিক্সড চিমনি এবং ইটভাটার বর্তমান মেয়াদ পর্যন্ত লাইসেন্স এবং পরিবেশ ছাড়পত্র না থাকলে অবৈধ হিসেবে বিবেচিত হবে।
আদালত আরও উল্লেখ করেন, যে পদ্ধতিতেই ইটভাটা পরিচালনা করা হোক না কেন লাইসেন্স-ছাড়পত্র না থাকলেই সেটা অবৈধ। আদালত পূর্বের আদেশে দেওয়া অপসারণ/ ধ্বংস করার আদেশ বহাল রেখেছেন।
শুনানিতে ইটভাটা মালিক সমিতির পক্ষে সিনিয়র অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন এবং অ্যাডভোকেট কায়সার কামাল বলেন, মালিক সমিতির অনেকের জিগজাগ ইটভাটা রয়েছে, সেগুলোও এই আদেশের পর ভাঙা হচ্ছে যেন জিগজ্যাগ পদ্ধতির ইটভাটা ভাঙা না হয়, তারা সেরকম আদেশের সংশোধন চান।
Advertisement
বাদীপক্ষের সিনিয়র আইনজীবী মনজিল মোরসেদ বলেন, আইন অনুযায়ী লাইসেন্স না থাকলেই ইটভাটাসমূহ অবৈধ, সেটা যে পদ্ধতিতেই পরিচালনা করা হোক না কেন।
তিনি আরও বলেন, আজকের পরে কোনো জিগজ্যাগ ইটভাটার বর্তমান মেয়াদ পর্যন্ত লাইসেন্স না থাকলে সেটিও অবৈধ হিসেবে গণ্য হবে এবং তা আদালতের নির্দেশ অনুসারে ধ্বংস বা উচ্ছেদ করতে হবে।
এফএইচ/ইএ/জেআইএম