বিনোদন

যে কারণে ১০ বছর দাওয়াত পাননি শাহনাজ খুশি

দর্শকপ্রিয় অভিনেত্রী শাহনাজ খুশি লেখালেখিতেও বেশ দক্ষ। তিনি তার চারপাশে ঘটে যাওয়া বিভিন্ন বিষয় নিয়ে লেখালেখি করেন। সেই সঙ্গে হৃদয়ের গভীরতম অনুভূতি ও ফেলে আসা জীবনের গল্পগুলোও তুলে আনেন সুনিপুণ লেখনিতে। কিছু কিছু লেখা তার অনুরাগীদের সঙ্গেও সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করেন।

Advertisement

একটা সময় বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠানে শাহনাজ খুশিকে দাওয়াত করা হতো না। সে কথা এবার তিনি তুলে ধরলেন ফেসবুকের পাতায়। এ প্রসঙ্গে এ অভিনেত্রী লেখেন, ‘আমার তারুণ্যের গুরুত্বপূর্ণ সময়ে, প্রায় ১০ বছর পর্যন্ত, আমাকে পার্টিতে ইনভাইট (অনুষ্ঠানে দাওয়াত) করলে ২ বাচ্চা সাথে করে যাব জন্য বেশির ভাগ বান্ধব ও কলিগ সার্কেল দাওয়াতে আমাকে অ্যাভোয়েড (এড়িয়ে) করে গেছে। পরে তাদের বিস্তর ফটো দেখে জেনেছি তাদের আনন্দের কথা।’

শাহনাজ খুশি আরও লেখেন, ‘পাঁচ তারকা হোটেল লবির দাওয়াতের প্রশ্নই আসে না, কারণ সেখানে মাথাপিছু চড়া মূল্য! আমি কিন্তু এতে রাগ বা দুঃখিত হইনি, বরং হেসেছি। পরের ১০ বছর বাচ্চাদের স্কুল, কোচিং ও কলেজের এ পরীক্ষা, সে পরীক্ষার জন্য কেউ ডাকলেও যেতে পারিনি! তখন ওদের বেসিক এডুকেশন গড়ে দেওয়ার সময়। ইচ্ছে করলেও কঠিনভাবে সে ইচ্ছে দমন করেছি।’

দুই ছেলের সঙ্গে খুশি। ছবি: অভিনেত্রীর ফেসবুক থেকে নেওয়া

Advertisement

অভিনেত্রী শাহনাজ খুশির সময় এখন বদলে গেছে। পাল্টে যাওয়া সময়ের বর্ণানায় তিনি বলেন, ‘এখন বাচ্চাদের তারুণ্য। কোনো ইনভাইটেশন বা কোনো উৎসবে তাদের সাথে গেলে, ঠাট্টার ছলে সেখানকার ইয়ার দোস্ত বলে বসে, ‘ওরা বড় হইছে আপা, ওদের এখনো পাহারা দিতে হবে নাকি! আরে ছাড়েন তো এবার’! আমিও হাসি, কিন্তু চোখের পেছনের নোনা পানিটা বার বার গিলতে হয়! বুকের ভেতরে একটা কষ্ট হাতুড়ি পেটা করতে থাকে।

শাহনাজ খুশি। ছবি: অভিনেত্রীর ফেসবুক থেকে নেওয়া

আরও পড়ুন:যখনই ভাবলাম, নিজেকে একটু ভালোবাসি…আহত অভিনেত্রীর কপালে ১০ সেলাই

স্বামী নাট্যকার, নির্মাতা ও অভিনেতা বৃন্দাবন দাসের সঙ্গে খুশি। ছবি: অভিনেত্রীর ফেসবুক থেকে নেওয়া

একটি প্রশ্নের উত্তর খুশি আজও খুঁজে পান না। সেই কথা বলেছেন তার স্ট্যাটাসে বলেছেন তিনি। অভিনেত্রীর ভাষ্য, ‘একটা প্রশ্ন আমার দিগন্তজুড়ে কেবল ঘুরপাক খায় এখন- “আমার তাহলে কোন কাল/ কোন সময়? আমি তাহলে কোথায় যাবো।” সেদিন আমার তারুণ্যকে ধমকে সরিয়ে দিয়ে, সন্তানের পেছনে পেছনে দৌড়াতে গিয়ে আর পেছন ফেরার সময় যে করতে পারলাম না, সে দোষটা আমি কাকে দেবো?’

Advertisement

এমএমএফ/জেআইএম