রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) এক ছাদের নিচে বসে ইফতার করেছেন ছাত্রদল, ছাত্রশিবির, ক্রিয়াশীল ছাত্রসংগঠনসহ রাজনৈতিক, সামাজিক সাংস্কৃতিক ছাত্র সংগঠনগুলোর নেতাকর্মীরা।
Advertisement
মতাদর্শগত পার্থক্য থাকা সত্ত্বেও ধর্মীয় ও সামাজিক সম্প্রীতির অংশ হিসেবে তারা এই ইফতারে অংশ নেন।
বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সৈয়দ ইসমাইল হোসেন সিরাজী ভবনের সিসিডিসি গ্যালারি রুমে এ ইফতার মাহফিল হয়।
শুরুতে কোরআন তেলাওয়াত করেন রাবি শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক সুলতান আহমেদ রাহী, এসময় ইসলামি সংগীত পরিবেশন করেন শাখা ছাত্র ইউনিয়নের (একাংশ) সভাপতি আব্দুল্লাহ মাসুদ এবং ইফতারের আগে মোনাজাত করেন শাখা ছাত্রশিবিরের প্রচার ও মিডিয়া সম্পাদক নওশাজ্জামান।
Advertisement
রাবি প্রেস ক্লাবের নেতারা জানান, ভিন্ন মতাদর্শের শিক্ষার্থীদের মধ্যে সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক গড়তে তারা প্রতি বছরই এ ধরনের আয়োজন করে থাকেন। ভবিষ্যতেও সম্প্রীতির এমন আয়োজন অব্যাহত থাকবে বলে তারা আশা প্রকাশ করেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. মাঈন উদ্দিন বলেন, রমজান মাসে আল্লাহর ভয়ে আমরা পানাহার থেকে বিরত থাকি। তেমনি সারাজীবন আমরা যদি গুনাহ থেকে বিরত থাকতে পারি তবেই আমরা সফল। এছাড়া মুসলমান হিসেবে সবসময় আমরা অন্য মুসলিম ভাইকে দাওয়াত দিয়ে ইসলামের পথে আনার চেষ্টা করবো।
জনসংযোগ দপ্তরের প্রশাসক আখতার হোসেন মজুমদার বলেন, দৈনন্দিন জীবনে আমাদের হালাল-হারাম মেনে চলার চেষ্টা করা উচিত। শুধু শূকরের মাংসই হারাম না, যদি হারাম উপার্জনের টাকা দিয়ে একটা হালাল ফল কিনি সেটাও হারাম হয়ে যাবে।
নওগাঁ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও রাবি প্রেস ক্লাবের উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. হাছানাত আলী বলেন, জুলাই বিপ্লবে সাংবাদিকদের ভূমিকা অপরিসীম। এই বিপ্লবের কারণে আমরা রাজনৈতিক পরিচয় ভুলে গিয়ে একই ছাদের নিচে বসে ইফতার করতে পারছি।
Advertisement
রাবি প্রেস ক্লাবের সভাপতি জুবায়ের জামিল বলেন, আমরা এই একটা মাস নিজেদের সংযত রেখে বিভিন্ন পাপ থেকে নিজেদের বিরত রাখি। রমজান মাস সাংবাদিকতার ওপরও ব্যাপক প্রভাব ফেলে; শিক্ষা দেয় সততা ও ন্যায়ের পথে অগ্রসর হওয়ার জন্য।
এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের ফোকলোর বিভাগের সভাপতি মো. জাহাঙ্গীর আলম, অধ্যাপক এফ নজরুল, অধ্যাপক ফরিদুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।
মনির হোসেন মাহিন/জেডএইচ/জিকেএস