চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে আফগানিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচে পায়ের লিগামেন্টে চোট পেয়েছিলেন ইংল্যান্ড পেসার মার্ক উড। এই চোটের কারণে ডানহাতি গতিতারকাকে শেষ পর্যন্ত অস্ত্রোপচারই করতে হলো। হাঁটুর অস্ত্রোপচারের কারণে চার মাস মাঠের বাইরে থাকতে হবে উডকে।
Advertisement
আগামী গ্রীষ্মে ভারতের বিপক্ষে ৫ ম্যাচের টেস্ট সিরিজ (২০ জুন থেকে ৪ আগস্ট) খেলবে ইংল্যান্ড। এ সিরিজ মিস করবেন উড। তবে শীতে অ্যাশেজ সিরিজে (২১ নভেম্বর ২০২৫ থেকে ৮ জানুয়ারি ২০২৬ পর্যন্ত অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ৫ ম্যাচের টেস্ট) দলে ফেরার আশা করছেন তিনি।
তবে সময় মতো সেরে উঠতে পারলে ভারতের বিপক্ষে শেষ টেস্টেও (৩১ জুলাই থেকে ৪ আগস্ট) খেলার সম্ভাবনা রয়েছে উডের।
৩৫ বছর বয়সী ফাস্ট বোলার গতকাল বুধবার সকালে লন্ডনে অস্ত্রোপচার করান। স্ক্যানের মাধ্যমে বাঁ হাঁটুর মিডিয়াল লিগামেন্টে ক্ষতির বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার পর এ সিদ্ধান্ত নিতে হয় তাকে।
Advertisement
গেল ২৬ ফেব্রুয়ারি আফগানিস্তান ম্যাচে নিজের চতুর্থ ওভারের মাঝপথে হাঁটুর ব্যথায় মাঠ ছাড়তে বাধ্য হন উড। ৩৮ মিনিট পর ফিরে এলেও বোলিং কোটার বাকি ৬ ওভারের মধ্যে মাত্র ৪ ওভার বল করে চূড়ান্তভাবে মাঠ ছাড়েন। ২০২৪ সালের শুরু থেকেই তার বাঁ হাঁটুতে ভারী ব্যান্ডেজ বাঁধা ছিল। সেটি নিয়েই চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে খেলেছেন উড।
উড এক বিবৃতিতে বলেন, ‘গত বছর থেকে সব ফরম্যাটে ইংল্যান্ডের হয়ে খেলার পর এত দীর্ঘ সময় বাইরে থাকতে হবে বলে আমি খুব হতাশ। তবে আমার হাঁটুর সমস্যা এখন সমাধান হয়েছে এবং আমি আত্মবিশ্বাসী যে, আবারও পুরো ফিটনেস ফিরে পাবো। আমার সার্জন, ডাক্তার, ইংল্যান্ড দলের সহকর্মী, কোচ এবং সমর্থকদের ধন্যবাদ জানাই। আমি দলের জন্য ২০২৫ সালের বড় চ্যালেঞ্জগুলোর অংশ হতে মুখিয়ে আছি।’
ইংল্যান্ডের হয়ে ২০১৫ সালে অভিষেকের পর থেকে বারবার চোটে পড়েছেন উড। এটি তার ক্যারিয়ারের অষ্টম অস্ত্রোপচার এবং গত আট মাসে দ্বিতীয়বার। এর আগে গত আগস্টে কনুইয়ের স্ট্রেস ফ্র্যাকচারের কারণে ২০২৪ সালের বাকি সময়ের জন্য মাঠের বাইরে চলে যান উড।
উডের ইনজুরি ইংল্যান্ডের ফাস্ট বোলিং আক্রমণে বড় ধাক্কা। দলের আরেক পেসার ব্রাইডন কার্স চোটের কারণে শীতকালীন সফর শেষ করতে পারেননি।জোফরা আরচারের টেস্ট ক্রিকেটে প্রত্যাবর্তন নিয়ে এখনও সংশয় রয়েছে। কারণ ২০২১ সালের মে মাসের পর কোনো প্রথম শ্রেণির ম্যাচ খেলেননি আরচার।
Advertisement
অ্যাশেজে উডের গুরুত্ব অপরিসীম। গত দুটি অ্যাশেজ সিরিজে ইংল্যান্ডের অন্যতম সেরা পারফরমার ছিলেন তিনি। ২০২১-২২ অ্যাশেজে ২৬.৬৪ গড়ে ১৭টি উইকেট নিয়েছিলেন, যদিও ইংল্যান্ড ৪-০ ব্যবধানে হেরেছিল। ২০২৩ অ্যাশেজে ২০.২১ গড়ে ১৪ উইকেট নেন, যখন ইংল্যান্ড ২-০ পিছিয়ে ছিল।
এছাড়া সাম্প্রতিক চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ইংল্যান্ডের ইতিহাসের সবচেয়ে দ্রুতগতির নতুন বলের স্পেল করেন উড। ব্রেন্ডন ম্যাককালাম (হেড কোচ) ও বেন স্টোকসের (অধিনায়ক) অধীনে অ্যাশেজ পুনরুদ্ধারের প্রচেষ্টায় ইংলিশদের গুরুত্বপূর্ণ অস্ত্র তিনি।
এমএইচ/জিকেএস