আগামী ১৪ মার্চ থেকে শুরু হতে যাওয়া ন্যাশনাল টি-টোয়েন্টি কাপে অংশ নেওয়া খেলোয়াড়দের ম্যাচ ফি ৭৫ শতাংশ কমিয়ে দিয়েছে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি)।
Advertisement
এবারের আসরে প্রতি ম্যাচ ফি হবে মাত্র ১০,০০০ পাকিস্তানি রুপি (প্রায় ৩৫ মার্কিন ডলার)। ২০২৩ সালে এই ম্যাচ ফি ছিল ৪০,০০০ রুপি, ২০২২ সালে ৬০,০০০ রুপি।
এছাড়া এবার স্কোয়াডের রিজার্ভ খেলোয়াড়রা প্রতি ম্যাচে পাবেন মাত্র ৫,০০০ রুপি (প্রায় ১৭.৫০ মার্কিন ডলার)।
সম্প্রতি বড় বড় প্রকল্পের পেছনে বিশাল অংকের অর্থ ব্যয় করছে পিসিবি। মহসিন নকভি চেয়ারম্যান হওয়ার পর স্টেডিয়াম উন্নয়ন, উচ্চ বেতনে বিদেশি কোচ নিয়োগ ও ছাঁটাই, পাঁচজন পরামর্শক (মেন্টর) নিয়োগে প্রতি মাসে ৫০ লাখ রুপি ব্যয় এবং একটি ঘরোয়া ওয়ানডে টুর্নামেন্টের প্রাইজমানি দশগুণ বাড়িয়েছে সংস্থাটি।
Advertisement
এত এত অর্থ ব্যয়ের মাঝে ক্রিকেটারদের ম্যাচ ফি কমানোর সিদ্ধান্তকে সাংঘর্ষিক বলে মনে করছেন কেউ কেউ। যদিও নকভি দায়িত্ব নেওয়ার পর বলেছিলেন, পিসিবির অর্থ সংরক্ষণ করে রাখার জন্য নয় এমন সিদ্ধান্ত নেয়নি। এ অর্থ খেলোয়াড় ও পাকিস্তান ক্রিকেটের উন্নতির জন্য ব্যয় করা হবে।
ম্যাচ ফি কমানোর কারণ নিয়ে পিসিবির এক কর্মকর্তা ক্রিকইনফো-কে জানান, এই সিদ্ধান্ত আর্থিক সংকটের কারণে নেওয়া হয়নি। বরং বোর্ড মনে করেছে, দেশীয় ক্রিকেটে নতুন টুর্নামেন্টের সংখ্যা বাড়ায় খেলোয়াড়দের আয়ের সুযোগও বেড়েছে।
২০২৪ সালের ডিসেম্বরে চ্যাম্পিয়ন্স টি-টোয়েন্টি কাপের (৫টি দলের অংশগ্রহণে) অভিষেক হয়েছিল। একই ফরম্যাটে ৫০ ওভারের এবং প্রথম শ্রেণির টুর্নামেন্টও হচ্ছে। এছাড়া কিছু খেলোয়াড় ডিপার্টমেন্টাল ক্রিকেটের মাধ্যমে মাসিক বেতন পান (যেমন প্রেসিডেন্টস ট্রফিতে অংশগ্রহণ করা খেলোয়াড়রা)। তাই বোর্ড মনে করছে ম্যাচ ফি কমলেও সামগ্রিক আয় কমবে না তাদের।
ন্যাশনাল টি-টোয়েন্টি কাপ শুরু হবে ১৪ মার্চ, যেখানে ৩৯টি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে তিনটি শহরে— ফয়সালাবাদ, লাহোর ও মুলতান। ২৭ মার্চ ফাইনাল অনুষ্ঠিত হবে ফয়সালাবাদে।
Advertisement
পাকিস্তানের শীর্ষস্থানীয় ক্রিকেটারদের অনেকেই এ টুর্নামেন্টে অংশ নিতে পারবেন না। কারণ ৫টি টি টি-টোয়েন্টি এবং ৩টি ওয়ানডে খেলার জন্য জাতীয় দলের সঙ্গে অনেক ক্রিকেটার নিউজিল্যান্ড সফরে যাবেন।
এমএইচ/এমএস