ডোনাল্ড ট্রাম্প গত বছরের নির্বাচনী প্রচারের সময় যুক্তরাষ্ট্রে এক নতুন সমৃদ্ধির যুগ আনার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। তবে প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার দুই মাস পর তিনি অর্থনীতির বিষয়ে ভিন্ন সুরে কথা বলছেন।
Advertisement
ট্রাম্প সতর্ক করেছেন, মূল্যস্ফীতি কমানো কঠিন হবে এবং দেশের জনগণকে কিছুটা অর্থনৈতিক অস্থিরতার জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে। বিশ্লেষকদের মতে, তার নীতির কারণে যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতি মন্দার ঝুঁকির মুখে পড়তে পারে।
আরও পড়ুন>>
ট্রাম্পের শুল্কের জবাবে কানাডায় মার্কিন পণ্য বয়কটের হিড়িক ট্রাম্পের শুল্ক নিয়ে এশিয়ার সংযত প্রতিক্রিয়া, পাল্টা ব্যবস্থা ইউরোপের যারা ভোট দিয়েছিলেন তাদেরই চাকরিচ্যুত করলেন ট্রাম্পযুক্তরাষ্ট্রে মন্দা বলতে অর্থনৈতিক কার্যক্রমের দীর্ঘমেয়াদি ও বিস্তৃত পতনকে বোঝানো হয়, যা সাধারণত বেকারত্ব বৃদ্ধি ও আয় কমার মাধ্যমে চিহ্নিত হয়।
Advertisement
সম্প্রতি জে পি মর্গানের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, ২০২৫ সালে মন্দার আশঙ্কা ৪০ শতাংশ, যা বছরের শুরুতে ৩০ শতাংশ ছিল। প্রতিষ্ঠানটি সতর্ক করেছে, যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনৈতিক নীতি ‘বৃদ্ধির পথে বাধা সৃষ্টি করছে’।
একইভাবে, মুডিস অ্যানালিটিকসের প্রধান অর্থনীতিবিদ মার্ক জ্যানডি জানিয়েছেন, ট্রাম্পের শুল্কনীতির কারণে মন্দার আশঙ্কা ১৫ শতাংশ থেকে বেড়ে ৩৫ শতাংশ হয়েছে।
এসঅ্যান্ডপি ৫০০ সূচকের ব্যাপক পতনও বাজারের উদ্বেগকে বাড়িয়ে তুলেছে। সেপ্টেম্বরের পর এই সূচক সর্বনিম্ন পর্যায়ে পৌঁছেছে, যা ভবিষ্যৎ অর্থনীতি নিয়ে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে আতঙ্কের ইঙ্গিত দিচ্ছে।
ট্রাম্পের শুল্কনীতি ও অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তাট্রাম্প প্রশাসন যুক্তরাষ্ট্রের প্রধান তিনটি বাণিজ্য অংশীদারের পণ্যের ওপর নতুন শুল্ক আরোপ করেছে এবং আরও কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার হুমকি দিয়েছে। বিশ্লেষকরা বলছেন, এসব পদক্ষেপ আমদানিকৃত পণ্যের দাম বাড়াবে এবং প্রবৃদ্ধিতে নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে।
Advertisement
ট্রাম্প ও তার অর্থনৈতিক উপদেষ্টারা জনগণকে কিছুটা অর্থনৈতিক কষ্ট সহ্য করার পরামর্শ দিয়েছেন। তবে প্রথম দফার শাসনামলে তিনি নিয়মিতভাবে শেয়ারবাজারকে নিজের সাফল্যের প্রতিফলন হিসেবে দেখালেও এবার বাজারের উদ্বেগকে তিনি উপেক্ষা করছেন।
গত সপ্তাহে ট্রাম্প বলেছেন, ‘সবসময় পরিবর্তন ও সমন্বয়ের প্রয়োজন হয়।’ তার এই বক্তব্য ব্যবসায়ীদের জন্য অনিশ্চয়তা আরও বাড়িয়েছে।
গোল্ডম্যান স্যাকসও তাদের মন্দার পূর্বাভাস ১৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ২০ শতাংশ করেছে। তাদের মতে, যদি হোয়াইট হাউজ অর্থনৈতিক ঝুঁকি সত্ত্বেও কঠোর নীতি বজায় রাখে, তাহলে মন্দার ঝুঁকি আরও বাড়বে।
সূত্র: বিবিসিকেএএ/