সিরিয়ার নতুন সরকারের বাহিনীর সঙ্গে ক্ষমতাচ্যুত বাশার আল আসাদ অনুগতদের তুমুল সংঘর্ষ হয়েছে। দেশটির উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে রাশিয়া-নিয়ন্ত্রিত বিমানঘাঁটির কাছে লাতাকিয়া প্রদেশের এ সংঘর্ষে ৭০ জনেরও বেশি নিহত হয়েছেন।
Advertisement
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এক প্রতিবেদনে শুক্রবার (৭ মার্চ) এসব তথ্য জানিয়েছে। প্রতিবেদন বলছে, ওই এলাকায় কারফিউ ঘোষণা করা হয়েছে।
গত ডিসেম্বরে আসাদের পতনের পর থেকে সিরিয়ার ইসলামপন্থি সরকারের সঙ্গে যুক্ত বাহিনীর ওপর এটি সবচেয়ে সহিংস হামলার কয়েকটি। এর বাইরে আলাউইত সম্প্রদায়ের প্রাণকেন্দ্র ও আসাদ পরিবারের শক্ত ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত উপকূলীয় অঞ্চলে সংঘর্ষ অব্যাহত রয়েছে।
রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা সানা জানিয়েছে, বিশাল সামরিক শক্তি জাবলেহ শহরের দিকে যাচ্ছে।
Advertisement
বৃহস্পতিবার রাতে সিরিয়ার বার্তা সংস্থা জানিয়েছে, সরকার-সমর্থিত বাহিনী জাবলেহ ও এর আশেপাশের এলাকায় আসাদের প্রায় ৭০ যোদ্ধাকে হত্যা করেছে। তাছাড়া ২৫ জনেরও বেশি আসাদ সমর্থককে আটক করা হয়েছে।
হোমস ও আলেপ্পো শহরেও সংঘর্ষের খবর পাওয়া গেছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় যাচাই না করা ভিডিওতে হোমসের আবাসিক রাস্তায় প্রচণ্ড গুলির শব্দ শোনা যাচ্ছে।
সিরিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র কর্নেল হাসান আব্দুল গনি রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমের মাধ্যমে লাতাকিয়ায় লড়াইরত আসাদের অনুগতদের প্রতি একটি সতর্কবার্তা জারি করেছেন।
তিনি বলেন, হাজার হাজার মানুষ তাদের অস্ত্র সমর্পণ করে তাদের পরিবারের কাছে ফিরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, আবার কেউ কেউ খুনি এবং অপরাধীদের রক্ষায় পালিয়ে যাওয়ার ও মৃত্যুর জন্য জোর দিচ্ছে। পছন্দটি স্পষ্ট; আপনার অস্ত্র জমা দিন অথবা অনিবার্য পরিণতির মুখোমুখি হোন।
Advertisement
এ অবস্থায় অন্তর্বর্তীকালীন প্রেসিডেন্ট আহমেদ আল-শারার জন্য এই অঞ্চলটি একটি বড় নিরাপত্তা চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
আলাউইত সম্প্রদায়ের কর্মীরা জানিয়েছেন, আসাদের পতনের পর থেকে তাদের সম্প্রদায় সহিংসতা ও আক্রমণের শিকার হয়েছে। বিশেষ করে, হোমস ও লাতাকিয়ার গ্রামীণ এলাকাগুলো।
এই সপ্তাহের শুরুতে সিরিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী বিশ্বব্যাপী রাসায়নিক অস্ত্র পর্যবেক্ষণ সংস্থাকে বলেছিলেন, নতুন সরকার আসাদের অধীনে উৎপাদিত অবশিষ্ট যেকোনো মজুত ধ্বংস করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
সূত্র: গার্ডিয়ান
এসএএইচ