‘রমজান এলে বিক্রি বাড়ে। দোকানে গ্রাহকের এত চাপ থাকে এক মিনিটের জন্য বের হওয়া যায় না। পরিবারের সঙ্গে ইফতারের সুযোগ হয় না। মালিক-কর্মচারী একসঙ্গে ইফতার করি।’ কথাগুলো বলছিলেন রাজধানীর নিউমার্কেটের ব্যবসায়ী আব্দুল আরকাম পাটোয়ারী।
Advertisement
মঙ্গলবার (৪ মার্চ) সন্ধ্যায় ইফতারের আগমুহূর্তে মার্কেটের আশপাশের এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, প্রায় প্রতিটি দোকানে মালিক-কর্মচারী মিলে একসঙ্গে ইফতার করছেন। তবে এদিন এসব মার্কেটের দোকানপাট সাপ্তাহিক বন্ধ থাকায় তুলনামূলক কম খোলা ছিল।
দোকানদার আর কর্মচারীরা বলছেন, রমজানে এসব মার্কেটে বাড়তি কেনাবেচা হওয়ায় দোকান রেখে কোথাও তেমন একটা যাওয়া হয় না। তাই দোকানেই ইফতার করতে হয় তাদের। দোকানের মালিক-কর্মচারী মিলে পরিবারের মতোই একসঙ্গে ইফতার করেন তারা।
আরও পড়ুন
Advertisement
ঢাকা কলেজের সামনের নূরজাহান মার্কেটের ব্যবসায়ী নূরুল কাদের বলেন, ব্যবসা শুরুর পর পরিবারের সঙ্গে ইফতার করা হয় না। দোকানে কর্মচারীদের সঙ্গে ইফতার করি। এই সময় বিক্রি বেশি হয়। আমরা সবাই পরিবারের মতো ইফতার করি।
দোকানের কর্মচারী ইমরুল বলেন, দোকানে চাকরি নেওয়ার পর এখানেই ইফতার করি। পরিবারের অন্যরা বাসায় ইফতার করলেও আমার যাওয়া হয় না।
নিউমার্কেটের এসব মার্কেট ঘুরে দোকানিদের ইফতারের আইটেমে ছোলা-মুড়ি, পিঁয়াজু, বিভিন্ন রকমের ফল, জুস দেখা গেছে। এছাড়া বিভিন্ন কাজে থাকায় অনেকে বাসায় ইফতার করতে পারেন না, তাদের সড়কেই ইফতার করতে দেখা গেছে।
এনএস/বিএ/এমএস
Advertisement