দেশে গৃহঋণের বিশেষায়িত সরকারি প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ হাউজ বিল্ডিং ফাইন্যান্স করপোরেশনের (বিএইচবিএফসি) ঋণের সুদহার বাড়ছে। সংস্থাটির সব ধনের সুদহার এক শতাংশ বাড়ানোর অনুমোন দিয়েছে সরকার। আগামী সপ্তাহেই নতুন সুদহারের নির্দেশনা জারি করা হতে পারে। সরকারি ঋণে বাড়ি নির্মাণ করতে চাওয়া সব শ্রেণির মানুষের চাপ এতে বাড়বে।
Advertisement
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, কোন ঋণের সুদহার কত হবে তা নির্ধারণ করে সম্প্রতি অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ থেকে বিএইচবিএফসিকে একটি চিঠি দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে ঢাকা ও চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন এলাকার সব ধরনের ঋণ/বিনিয়োগ এবং দেশের অন্য এলাকার ফ্ল্যাট/বিনিয়োগের সুদের হার নির্ধারিত রয়েছে ৯ শতাংশ। এটা বাড়িয়ে ১০ শতাংশ করা হবে। একই সঙ্গে ঢাকা ও চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন এলাকা বাদে দেশের অন্য এলাকার ফ্ল্যাট ঋণ বাদে সব ধরনের ঋণ/বিনিয়োগের সুদহার নির্ধারিত করা হচ্ছে ৯ শতাংশ। বর্তমানে এই ঋণের সুদহার ৮ শতাংশ। এছাড়া পেরি আরবান (শহরের চারপাশে), উপজেলা সদর এবং তৎসংলগ্ন গ্রোথ সেন্টার এলাকার ঋণের সুদহার ৭ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৮ শতাংশ করা হচ্ছে। এই ঋণ কৃষকের আবাসন ঋণ হিসেবে পরিচিত। বাংলাদেশ হাউজ বিল্ডিং ফাইন্যান্স করপোরেশনের দায়িত্বশীলরা জানান, অর্থ সংস্থানের ব্যয় বেড়ে যাওয়ার কারণে ঋণের সুদের হার বাড়ানো হচ্ছে। সুদহার এক শতাংশ বাড়ানোর ফলে হাউজ বিল্ডিং ফাইন্যান্স করপোরেশন মার্জিন লেভেলে থাকবে। প্রতিষ্ঠানটির লোকসান হবে না। তারা বলছেন, বাংলাদেশ হাউজ বিল্ডিং ফাইন্যান্স করপোরেশনের উদ্দেশ্য মুনাফা করা নয়। এ কারণে ব্যাংকের তুলনায় বেশ কম সুদহারে সংস্থাটি ঋণ দেয়। ঋণের সুদহার এক শতাংশ বাড়ানোর বিষয়ে এরই মধ্যে মন্ত্রণালয় থেকে অনুমোদন দিয়েছে এবং বোর্ডও অনুমোদন দিয়েছে। এখন প্রজ্ঞাপন জারি করে নতুন সুদহার কার্যকর করা হবে। আগামী সপ্তাহেই নতুন সুদহারের নির্দেশনা জারি করা হবে। বাংলাদেশ হাউজ বিল্ডিং ফাইন্যান্স করপোরেশনের প্রধান কাজ গৃহঋণ দেওয়া। কম সুদহারে দীর্ঘ মেয়াদে ঋণ দেয় সংস্থাটি। আর এ ঋণ দেওয়া হয় সরল সুদহারে। অর্থাৎ, সুদের ওপর সুদ নেই। সর্বোচ্চ ২৫ বছর মেয়াদের জন্য ঋণ দেয় সরকারি এ প্রতিষ্ঠানটি। গৃহনির্মাণের সঙ্গে সম্পৃক্ত ১১ ধরনের ঋণ দেয় বাংলাদেশ হাউজ বিল্ডিং ফাইন্যান্স। এর মধ্যে রয়েছে- পল্লীমা, নগরবন্ধু, আবাসন উন্নয়ন, আবাসন মেরামত, প্রবাসবন্ধু, হাউজিং ইক্যুইপমেন্ট ঋণ, কৃষক আবাসন ঋণ, সরকারি কর্মচারী ঋণ, ফ্ল্যাট ঋণ, ফ্ল্যাট রেজিস্ট্রেশন ঋণ এবং স্বপ্ননীড় ঋণ। এই প্রতিষ্ঠান থেকে ঋণ নিয়ে বাড়ি নির্মাণ করতে চাইলে ১০ থেকে ৩০ শতাংশ টাকা নিজের থাকতে হয়। অর্থাৎ, এক কোটি টাকার ঋণ প্রকল্পের জন্য ২০ থেকে ৩০ লাখ টাকা নিজের থাকতে হয়। বাকি ৭০ থেকে ৯০ লাখ টাকা পর্যন্ত ঋণ দেয় প্রতিষ্ঠানটি। ঢাকা ও চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের অভিজাত এলাকায় বাড়ি নির্মাণে প্রতিষ্ঠানটি একক ব্যক্তিকে দুই কোটি টাকা পর্যন্ত ঋণ দেয়। যোগাযোগ করা হলে সোমবার (৩ মার্চ) বাংলাদেশ হাউজ বিল্ডিং ফাইন্যান্স করপোরেশনের মহাব্যবস্থাপক মো. তোফায়েল আহমেদ জাগো নিউজকে বলেন, ‘ঋণের সুদহার এক শতাংশ বাড়ানোর বিষয়ে আমাদের বোর্ড অনুমোদন দিয়েছে, মন্ত্রণালয় থেকেও অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। তবে আমরা এখনো সার্কুলার জারি করিনি। আগামী সপ্তাহের মধ্যে সার্কুলার জারি করে নতুন সুদহার কার্যকর করবো।’ আরও পড়ুন
সর্বজনীন পেনশনে চাঁদা ১৬১ কোটি টাকা, বিনিয়োগ ১৬৪ কোটি ঋণের সুদহার আর খুব বেশি বাড়বে না: গভর্নর ব্যাংকঋণের সুদহার ১৩ শতাংশ ছাড়ালো সঞ্চয়পত্রের মুনাফা বাড়লে কারা কত পাবেন?ঋণের সুদহার বাড়ানোর কারণ কী? এমন প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘মুনাফা করা বাংলাদেশ হাউজ বিল্ডিং ফাইন্যান্স করপোরেশন উদ্দেশ্যে নয়। যে কারণে অন্য প্রতিষ্ঠানের চেয়ে অনেক কম সুদহারে আমরা ঋণ দেই। কিন্তু এখন ফান্ডের কস্ট (অর্থ সংগ্রহের খরচ) বেড়ে গেছে। এ কারণে সুদহার বাড়াতে হচ্ছে।’ সুদের হার বাড়ানোর ফলে বাংলাদেশ হাউজ বিল্ডিং ফাইন্যান্স করপোরেশন মুনাফায় থাকবে, নাকি মার্জিন লেভেলে থাকবে? এমন প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘সুদহার বাড়ানোয় আমরা মার্জিন লেভেলে থাকবো। লোকসান হবে না।’
পল্লীমাঢাকা ও চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন এলাকা বাদে দেশের সব বিভাগীয় ও জেলা সদর এলাকা এবং উপ-শহর (পেরি আরবান), উপজেলা সদর ও গ্রোথ সেন্টার এলাকার নাগরিকরা বাড়ি নির্মাণ ও ফ্ল্যাটের জন্য এই ঋণ নিতে পারবেন। এ ঋণের বর্তমান সুদহার ৮ শতাংশ। নতুন করে এক শতাংশ বাড়ানো হলে তখন সুদের হার হবে ৯ শতাংশ। সর্বোচ্চ ২০ বছর মেয়াদে দুই কোটি টাকা পর্যন্ত ঋণ নেওয়া যাবে। এ প্রকল্পের জন্য নিজস্ব অর্থ থাকতে হবে ২০ শতাংশ বাকি ৮০ শতাংশ ঋণ হিসেবে পাওয়া যাবে।
Advertisement
মুনাফা করা বাংলাদেশ হাউজ বিল্ডিং ফাইন্যান্স করপোরেশনের উদ্দেশ্যে না। যে কারণে অন্য প্রতিষ্ঠানের চেয়ে অনেক কম সুদহারে আমরা ঋণ দেই। কিন্তু এখন ফান্ডের কস্ট (অর্থ সংগ্রহের খরচ) বেড়ে গেছে। এ কারণে সুদহার বাড়াতে হচ্ছে।- বাংলাদেশ হাউজ বিল্ডিং ফাইন্যান্স করপোরেশনের মহাব্যবস্থাপক মো. তোফায়েল আহমেদ
নগরবন্ধুঢাকা ও চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন এলাকার নাগরিক, যাদের বাড়ি নির্মাণ উপযোগী জমির মালিকানা রয়েছে এবং উপযুক্ত কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে নির্মেয় বাড়ির অনুমোদিত নকশা রয়েছে তারা এই ঋণ নিতে পারবেন। এ ঋণের বর্তমান সুদহার ৯ শতাংশ। নতুন করে এক শতাংশ বাড়ানো হলে তখন সুদের হার হবে ১০ শতাংশ। সর্বোচ্চ ২০ বছর মেয়াদে দুই কোটি টাকা পর্যন্ত ঋণ নেওয়া যাবে। এ প্রকল্পের জন্য নিজস্ব অর্থ থাকতে হবে ২০ শতাংশ বাকি ৮০ শতাংশ ঋণ হিসেবে পাওয়া যাবে।
আবাসন উন্নয়ননকশার অনুমোদন ২৫ বছর অতিক্রম করলে আবাসন উন্নয়ন ঋণ প্রযোজ্য হবে। বহুতল বাড়ি নির্মাণের নকশা অনুমোদন করে নিজস্ব অর্থায়নে এক বা একাধিক তলা নির্মাণের পর এবং অসম্পূর্ণ নির্মাণ কাজ সমাপ্ত করার জন্য এই ঋণ দেওয়া হয়। সর্বোচ্চ ২০ বছর মেয়াদে দুই কোটি টাকা পর্যন্ত ঋণ নেওয়া যাবে। এ প্রকল্পের জন্য নিজস্ব অর্থ থাকতে হবে ২০ শতাংশ বাকি ৮০ শতাংশ ঋণ হিসেবে পাওয়া যাবে।
ঢাকা ও চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ, সিটি করপোরেশনের আওতাধীন এলাকা এবং ঢাকা ও চট্টগ্রাম জেলা সদর এলাকার জন্য এ ঋণের বর্তমান সুদহার ৯ শতাংশ। নতুন করে এক শতাংশ বাড়ানো হলে তখন সুদের হার হবে ১০ শতাংশ।
Advertisement
ঢাকা ও চট্টগ্রাম বাদে দেশের সব সিটি করপোরেশন এলাকা, কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের আওতাধীন এলাকা, সাভার উপজেলার রাজউকের আওতাধীন এলাকা, সাভার ক্যান্টনমেন্ট বোর্ডের আওতাধীন এলাকা, দেশের সব জেলা সদর এলাকা (সিটি করপোরেশন এলাকা বাদে) এবং পেরি আরবান ও উপজেলা সদর, গ্রোথ সেন্টার এলাকার জন্য এই ঋণের বর্তমান সুদের হার ৮ শতাংশ। নতুন করে এক শতাংশ বাড়ানো হলে তখন সুদের হার হবে ৯ শতাংশ।
আবাসন মেরামতঢাকা ও চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন এলাকা, দেশের সব বিভাগীয় ও জেলা সদর এলাকায় যাদের নির্মিত ও সংস্কার বা মেরামতযোগ্য বাড়ি আছে তারা এই ঋণ নিতে পারবেন। এ ঋণের বর্তমান সুদহার ঢাকা ও চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন এলাকার জন্য ৯ শতাংশ এবং ঢাকা ও চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন এলাকার বাইরে ৮ শতাংশ। নতুন করে এক শতাংশ বাড়ানো হলে তখন সুদের হার হবে ১০ শতাংশ ও ৯ শতাংশ। সর্বোচ্চ ১৫ বছর মেয়াদে ২৫ লাখ টাকা পর্যন্ত ঋণ নেওয়া যাবে। এজন্য নিজস্ব তহবিল থাকতে হবে না, সম্পূর্ণ অর্থ ঋণ হিসেবে পাওয়া যাবে।
প্রবাস বন্ধুঢাকা ও চট্টগ্রাম মহানগরীর ভিতরে বাড়ি নির্মাণের জন্য প্রবাসী বাংলাদেশিরা দুই কোটি টাকা পর্যন্ত ঋণ নিতে পারবেন। ঢাকা ও চট্টগ্রামের বাইরে অন্য সিটি করপোরেশন ও বিভাগী শহর এলাকায় এক কোটি টাকা পর্যন্ত ঋণ পাওয়া যাবে। এছাড়া সব জেলা সদরে ৮০ লাখ এবং পেরি আরবান, উপজেলা সদর ও গ্রোথ সেন্টার এলাকার জন্য ৫০ লাখ টাকা পর্যন্ত ঋণ পাওয়া যাবে। ঢাকা ও চট্টগ্রাম মহানগরীর জন্য বর্তমান সুদের হার ৯ শতাংশ এবং অন্য এলাকার জন্য ৮ শতাংশ। নতুন করে এক শতাংশ বাড়ানো হলে তখন সুদের হার হবে ১০ ও ৯ শতাংশ। সর্বোচ্চ ২৫ বছর মেয়াদে এই ঋণ পাওয়া যাবে। এই ঋণের জন্য নিজস্ব তহবিল ৩০ শতাংশ থাকতে হবে এবং বাকি ৭০ শতাংশ ঋণ হিসেবে পাওয়া যাবে।
হাউজিং ইক্যুইপমেন্ট ঋণদেশের সব বিভাগীয় সদর, সিটি করপোরেশন ও জেলা সদরের আওতাধীন এলাকার নাগরিক, যাদের বাড়ি নির্মাণের উপযোগী জমি আছে এবং উপযুক্ত কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে চারতলা বা তার বেশি তলা বিশিষ্ট নির্মেয় বাড়ির অনুমোদিত নকশা রয়েছে তারা এই ঋণ পাবেন।
এ ঋণের বর্তমান সুদহার ঢাকা ও চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটনের আওতাধীন এলাকার জন্য ৯ শতাংশ এবং ঢাকা ও চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন এলাকা বাদে দেশের সব বিভাগীয় সদর, সিটি করপোরেশন ও জেলা সদর এলকার জন্য ৮ শতাংশ। নতুন করে এক শতাংশ বাড়ানো হলে তখন সুদের হার হবে ১০ ও ৯ শতাংশ। সর্বোচ্চ ২০ বছর মেয়াদে ৩৫ লাখ টাকা পর্যন্ত ঋণ নেওয়া যাবে। এ প্রকল্পের জন্য নিজস্ব অর্থ থাকতে হবে না, সম্পূর্ণ অর্থ ঋণ হিসেবে পাওয়া যাবে।
কৃষক আবাসন ঋণপেরি আরবান, উপজেলা সদর এবং গ্রোথ সেন্টার এলাকার স্থায়ী বাসিন্দা ও সচ্ছল কৃষকরা এই ঋণ পাবেন। এ ঋণের বর্তমান সুদহার ৭ শতাংশ। নতুন করে এক শতাংশ বাড়ানো হলে তখন সুদের হার হবে ৮ শতাংশ। সর্বোচ্চ ২৫ বছর মেয়াদে ৩০ লাখ টাকা পর্যন্ত ঋণ নেওয়া যাবে। এ প্রকল্পের জন্য নিজস্ব অর্থ থাকতে হবে ২০ শতাংশ, বাকি ৮০ শতাংশ ঋণ হিসেবে পাওয়া যাবে।
সরকারি কর্মচারী ঋণমন্ত্রণালয়/বিভাগ, অধিদপ্তর/পরিদপ্তর/কার্যলয়ের শুধু স্থায়ী পদের বিপরীতে নিয়োগ পাওয়া কর্মচারী (বেসামরিক/সামরিক), প্রধান বিচারপতি, সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি, জুডিসিয়াল সার্ভিসে স্থায়ীভাবে নিয়োগপ্রাপ্ত সদস্য, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী পদে নিয়োগ পাওয়া পূর্ণকালীন শিক্ষক ও কর্মচারী এবং বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনে স্থায়ী পদে নিয়োগ পাওয়া কর্মচারীরা এই ঋণ নিতে পারবেন।
এ ঋণের বর্তমান সুদহার ৯ শতাংশ। নতুন করে এক শতাংশ বাড়ানো হলে তখন সুদের হার হবে ১০ শতাংশ। সর্বোচ্চ ২০ বছর মেয়াদে ৭৫ লাখ টাকা পর্যন্ত ঋণ নেওয়া যাবে। এ প্রকল্পের জন্য নিজস্ব অর্থ থাকতে হবে ১০ শতাংশ, বাকি ৯০ শতাংশ ঋণ হিসেবে পাওয়া যাবে।
ফ্ল্যাট ঋণঢাকা ও চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন এলাকা, দেশের সব বিভাগীয় ও জেলা সদর এলাকা এবং উপজেলা, পেরি আরবান ও গ্রোথ সেন্টার এলাকার জন্য এ ঋণ। এ ঋণের বর্তমান সুদহার ৯ শতাংশ। নতুন করে এক শতাংশ বাড়ানো হলে তখন সুদের হার হবে ১০ শতাংশ। সর্বোচ্চ ২০ বছর মেয়াদে এক কোটি ৫০ লাখ টাকা পর্যন্ত ঋণ নেওয়া যাবে। এ প্রকল্পের জন্য নিজস্ব অর্থ থাকতে হবে ২৫ শতাংশ, বাকি ৭৫ শতাংশ ঋণ হিসেবে পাওয়া যাবে।
ফ্ল্যাট রেজিস্ট্রেশন ঋণঢাকা ও চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন এলাকাসহ দেশের সব বিভাগীয় ও জেলা সদর এলাকায় (যেখানে ফ্ল্যাট ঋণ চালু রয়েছে) এই ঋণ পাওয়া যাবে। এ ঋণের বর্তমান সুদ হার ৯ শতাংশ। নতুন করে এক শতাংশ বাড়ানো হলে তখন সুদের হার হবে ১০ শতাংশ। সর্বোচ্চ ৫ বছর মেয়াদে ১৫ লাখ টাকা পর্যন্ত ঋণ নেওয়া যাবে। এ প্রকল্পের জন্য নিজস্ব অর্থ থাকতে হবে না, সম্পূর্ণ অর্থ ঋণ হিসেবে পাওয়া যাবে।
স্বপ্ননীড়সরকারি ও বেসরকারি (এমপিওভুক্ত) স্কুল, কলেজ ও মাদরাসার শিক্ষক ও কর্মচারী, নিবন্ধিত স্বাস্থ্যকর্মী (চিকিৎসক, নার্স, ল্যাব অ্যাসিস্ট্যান্টসহ অন্য কর্মচারী) এবং বিভিন্ন দফতরে কর্মরত নিম্ন আয়ের সরকারি, আধা-সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের কর্মচারীরা এই ঋণ নিতে পারবেন। এ ঋণের বর্তমান সুদহার ৮ শতাংশ। নতুন করে এক শতাংশ বাড়ানো হলে তখন সুদের হার হবে ৯ শতাংশ। সর্বোচ্চ ২৫ বছর মেয়াদে ২৭ লাখ টাকা পর্যন্ত ঋণ নেওয়া যাবে। এ প্রকল্পের জন্য নিজস্ব অর্থ থাকতে হবে ১০ শতাংশ, বাকি ৯০ শতাংশ ঋণ হিসেবে পাওয়া যাবে।
এমএএস/এএসএ/এমএস