যুক্তরাষ্ট্র গাজার নিয়ন্ত্রণ নিলে উপত্যকাটির ভবিষ্যৎ কেমন হবে, তা নিয়ে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) নির্মিত ভিডিও প্রকাশ করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ভিডিওতে দেখা গেছে, আকাশ ছোঁয়া উঁচু ভবনে ঘেরা গাজা উপত্যকা রূপ নিয়েছে বিশাল অবকাশযাপন কেন্দ্রে। তবে ভিডিওর কোথাও নেই ফিলিস্তিনিদের অস্তিত্ব।
Advertisement
আনুষ্ঠানিকভাবে শপথ নেওয়ার পরেই গাজা দখলের হুমকি দিয়ে বসেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। উপত্যকাটি দখল করে মধ্যপ্রাচ্যের রিভেরা বানানোর স্বপ্ন দেখছেন ট্রাম্প।
প্রকাশিত ভিডিওটিতে সমৃদ্ধ গাজাকে দেখানো হয়েছে, যেখানে রয়েছে স্বর্ণ মোড়ানো ট্রাম্পের মূর্তি আর বিশাল অট্টালিকায় লেখা তার নাম। বিলিয়নিয়ার ইলন মাস্ক সেখানকার সমুদ্র সৈকতে নৃত্য করছেন। একপর্যায়ে তাকে খাবার খেতে এবং দর্শনার্থী ও শিশুদের মধ্যে নগদ অর্থ ছুড়ে মারতে দেখা যাচ্ছে।
অন্যদিকে, ট্রাম্প একজন স্বল্প পোশাক পরা নারীর সঙ্গে নাচছেন ও নেতানিয়াহুর সঙ্গে সমুদ্র সৈকতে রোদ স্নান করছেন। তাদের হাতে পানীয়। চারপাশে আকাশচুম্বী অট্টালিকা, বিলাসবহুল ইয়ট ও ঝলমলে শহরের দৃশ্য দেখানো হয়েছে।
Advertisement
মূলত ট্রাম্পের অভিলাষী স্বপ্নের প্রতিফলনই এই ভিডিও। গাজা নিয়ে ট্রাম্পের পরিকল্পনা ফিলিস্তিনিদের সংস্কৃতি ও স্বার্থ পরিপন্থি বলে মত স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের। অসন্তুষ্ট ফিলিস্তিনিরাও জানাচ্ছেন ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া। পৈতৃক ভিটা-মাটি ছাড়তে নারাজ তারা।
হামাসের রাজনৈতিক ব্যুরোর সদস্য ও মুখপাত্র বাসেম নাঈম এই ভিডিওর প্রতিক্রিয়ায় বলেন, গাজা নিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট যে পরিকল্পনার কথা বলছেন, তা ফিলিস্তিনিদের সংস্কৃতি ও স্বার্থের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। মার্কিন সংবাদমাধ্যম নিউজউইককে তিনি বলেন, দুঃখজনকভাবে, ট্রাম্প আবারও এমন ধারণা দিচ্ছেন, যা এখানকার জনগণের সংস্কৃতি ও স্বার্থকে বিবেচনায় নেয় না। বাসেম নাঈম আরও বলেন, গাজার জনগণ এমন একদিনের প্রত্যাশায় আছে, যখন তারা একটি পুনর্গঠিত ও অর্থনৈতিকভাবে সমৃদ্ধ গাজা দেখবে, যেখানে তাদের সন্তানদের জন্য উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ গড়ে উঠবে। কিন্তু এটি বড় একটি কারাগারের ভেতরে থেকে সম্ভব নয়। আমরা কারাগারের অবস্থা ভালো করার জন্য সংগ্রাম করছি না, বরং কারাগার ও কারারক্ষীর হাত থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য লড়াই করছি।
সূত্র: সিএনএন, রয়টার্স
এসএএইচ
Advertisement