ওয়ান স্টপ সার্ভিসেস আউটসোর্সিং কোম্পানি এক্সপ্যাট সার্ভিস কুয়ালালামপুরকে (ইএসকেএল) শেখ হাসিনার নিয়ন্ত্রণাধীন দাাবি করে এর সেবা নিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন মালয়েশিয়ায় অবস্থিত প্রবাসী বাংলাদেশি কর্মীরা। তারা বলেন, এই প্রতিষ্ঠান আমাদের পাসপোর্ট সেবার নামে তথ্য পাচার ও জালিয়াতির মাধ্যমে আমাদের গোপনীয়তা এবং নিরাপত্তাকে বিপন্ন করছে।
Advertisement
বৃহস্পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) পল্টনের গণঅধিকার পরিষদের কার্যালয়ে শেখ পরিবারের প্রতিষ্ঠান ইএসকেএলের তথ্য পাচার ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে বাংলাদেশ প্রবাসী অধিকার পরিষদ, মালয়েশিয়া শাখার সংবাদ সম্মেলনে তারা এসব কথা বলেন।
সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ইএসকেএলের তথ্য পাচার ও জালিয়াতির ঘটনায় গভীর ক্ষোভ ও উদ্বেগ প্রকাশ করেন।
তারা বলেন, গণমাধ্যমের এক প্রতিবেদনে উঠে এসেছে যে, লাখ লাখ মালয়েশিয়া প্রবাসীদের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে বর্তমান সরকার গত ডিসেম্বরে কোম্পানিটির সঙ্গে চুক্তি বাতিল করে। কিন্তু তাবিথ আউয়াল প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক হিসেবে যোগ দেওয়ার পর সেই সিদ্ধান্ত স্থগিত করে আবারও তাদের কার্যক্রম চালানোর অনুমতি দেওয়া হয়েছে। প্রতিষ্ঠানটি শেখ পরিবারের জালিয়াতি ব্যবসা রক্ষার নতুন কৌশল হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে।
Advertisement
ইএসকেএলের কার্যক্রম অবিলম্বে সম্পূর্ণ বন্ধের দাবি জানিয়ে বক্তারা বলেন, এর সঙ্গে জড়িত দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা ও ব্যক্তিদের, যার মধ্যে রহস্যময় আমেরিকান নাগরিক তাবিথ আউয়াল এবং উল্লিখিত হাইকমিশনের কর্মকর্তারা রয়েছেন, তাদের প্রত্যাহার ও তদন্তের আওতায় আনা হোক। পাসপোর্ট সেবা একটি অত্যন্ত স্পর্শকাতর বিষয় এবং আমরা চাই অন্য সব দেশের মতো শুধু বাংলাদেশ হাইকমিশনের মাধ্যমে সরাসরি এই সেবা দেওয়া হোক, কোনো তৃতীয় পক্ষের হস্তক্ষেপ ছাড়াই। প্রয়োজনে হাইকমিশনে জনবল বাড়িয়ে সেবার মান উন্নত করতে আমরা অতিরিক্ত সার্ভিস চার্জ দিতে প্রস্তুত, কিন্তু আমাদের তথ্যের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।
বাংলাদেশ প্রবাসী অধিকার পরিষদ এই দুর্নীতি ও অব্যবস্থাপনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে নিম্নের ৪ দফা দাবি জানান-
১. ইএসকেএলের কার্যক্রম অবিলম্বে চিরতরে বন্ধ করা হোক।
২. তাবিথ আউয়াল, খোরশেদ আলম খাস্তগীর, জসীমউদ্দীন ও গিয়াস উদ্দিনসহ জড়িতদের দ্রুত আইনের আওতায় আনতে হবে।
Advertisement
৩. মালয়েশিয়া হাইকমিশনের মাধ্যমে স্বচ্ছ ও নিরাপদ পাসপোর্ট সেবা নিশ্চিত করতে হবে।
৪. মালয়েশিয়া হাইকমিশনে পর্যাপ্ত জনবল নিয়োগ করে সেবার মান বাড়ানো হোক।
বাংলাদেশি প্রবাসীদের অধিকার ও নিরাপত্তা রক্ষায় আমরা ঐক্যবদ্ধ। শেখ পরিবারের এই জালিয়াতি ও তথ্য পাচারের বিরুদ্ধে আমাদের আন্দোলন অব্যাহত থাকবে।
এএএম/এএমএ/এমএস