রোজার আগে শেষ কার্যদিবস বৃহস্পতিবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনে অংশ নেওয়া বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বেড়েছে। সেইসঙ্গে বেড়েছে লেনদেনের পরিমাণ। তবে বেশিরভাগ ভালো প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দাম কমেছে। ফলে কমেছে মূল্যসূচক।
Advertisement
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের মতো অন্য শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) দাম বাড়ার তালিকায় নাম লিখিয়েছে বেশিসংখ্যক প্রতিষ্ঠান। এরপরও বাজারটিতেও মূল্যসূচকের পতন হয়েছে। তবে বেড়েছে লেনদেনের পরিমাণ।
এদিন শেয়ারবাজারে লেনদেন শুরু হয় বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বাড়ার মাধ্যমে। ফলে লেনদেনের শুরুতে সূচকের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা দেখা যায়। লেনদেনের প্রথম এক ঘণ্টা সূচকের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা অব্যাহত থাকে।
কিন্তু প্রথম ঘণ্টার লেনদেন শেষ হতেই একের পর এক ভালো কোম্পানির শেয়ার দাম কমতে থাকে। লেনদেনের শেষ পর্যন্ত বেশিরভাগ ভালো প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দাম কমার প্রবণতা অব্যাহত থাকে। যার নেতিবাচক প্রভাব পড়ে মূল্যসূচকে। এতে দাম বাড়ার তালিকায় বেশি প্রতিষ্ঠান থাকার পরও সবকটি মূল্যসূচক কমে দিনের লেনদেন শেষ হয়।
Advertisement
দিনের লেনদেন শেষে ডিএসইতে ১৯৩টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট দাম বাড়ার তালিকায় নাম লিখিয়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ১৩৩টির। এছাড়া ৭৩টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। আর বাছাই করা ৩০টি ভালো কোম্পানির মধ্যে ১৬টির শেয়ার দাম কমেছে এবং দাম বেড়েছে ১১টির দাম বেড়েছে।
এর মধ্যে সূচকে বড় প্রভাব রাখা গ্রামীণফোন, অলিম্পিক ইন্ডাস্ট্রিজ, ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো, ব্র্যাক ব্যাংক, বেক্সিমকো ফার্মা, রবির শেয়ার দাম কমেছে। বেশিরভাগ ভালো কোম্পানির শেয়ার দাম কমায় প্রধান সূচকের থেকে বাছাই করা কোম্পানি নিয়ে গঠিত সূচকের পতন বেশি হয়েছে।
ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের তুলনায় ৬ পয়েন্ট কমে ৫ হাজার ২৪৭ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। অন্য দুই সূচকের মধ্যে ডিএসই শরিয়াহ সূচক আগের দিনের তুলনায় ৬ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ১৬৭ পয়েন্টে অবস্থান করছে। আর বাছাই করা ভালো ৩০ কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই-৩০ সূচক আগের দিনের তুলনায় ২০ পয়েন্ট বেড়ে এক হাজার ৯০৫ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।
সবকটি মূল্যসূচক কমলেও ডিএসইতে লেনদেনের পরিমাণ কিছুটা বেড়েছে। দিনভর বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ৪৮৭ কোটি ৮৫ লাখ টাকা। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয় ৪৬১ কোটি ৫৯ লাখ টাকা। সে হিসাবে আগের কার্যদিবসের তুলনায় লেনদেন বেড়েছে ২৬ কোটি ২৬ লাখ টাকা।
Advertisement
এ লেনদেনে সবচেয়ে বড় ভূমিকা রেখেছে ওরিয়ন ইনফিউশনের শেয়ার। টাকার অঙ্কে কোম্পানিটির ১৯ কোটি ৫৯ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। দ্বিতীয় স্থানে থাকা বসুন্ধরা পেপারের শেয়ার লেনদেন হয়েছে ১১ কোটি ৯০ টাকার। ১১ কোটি ৩২ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে রয়েছে মিডল্যান্ড ব্যাংক।
এছাড়া ডিএসইতে লেনদেনের দিক থেকে শীর্ষ ১০ প্রতিষ্ঠানের তালিকায় রয়েছে- পেপার প্রসেসিং, অগ্নি সিস্টেম, শাইনপুকুর সিরামিক, আইএফআইসি ব্যাংক, ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো, কাট্টলি টেক্সটাইল এবং ফু-ওয়াং ফুড।
অন্য শেয়ারবাজার সিএসইর সার্বিক মূল্যসূচক সিএএসপিআই কমেছে ৫০ পয়েন্ট। বাজারটিতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ২১৯ প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৯৭টির দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ৯১টির এবং ৩১টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। লেনদেন হয়েছে ১০৩ কোটি ৯২ লাখ টাকা। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয় ১০ কোটি ৮৯ লাখ টাকা।
এমএএস/এমএএইচ/