বায়ান্নোর ভাষা আন্দোলন থেকে একাত্তর হয়ে জুলাই গণঅভ্যুত্থান, বিপ্লবী এ পথপরিক্রমায় যার কবিতা মুক্তিকামী গণমানুষকে পথনির্দেশ করেছে, তিনি কবি আল মাহমুদ। ২০১৯ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি ঢাকায় অমরতার পথে হারিয়ে যান তিনি। দ্রোহ, প্রেম, প্রকৃতি ও প্রার্থনার কবি আল মাহমুদের ৬ষ্ঠ মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে কালের কলসের আয়োজনে ২৭ ফেব্রুয়ারি ঢাকার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে প্রথমবারের মতো আয়োজন করা হয়েছে ‘বিপ্লব বসন্তে আল মাহমুদ’ শীর্ষক স্মরণ ও আবৃত্তি অনুষ্ঠান।
Advertisement
আল মাহমুদ ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক এবং কালের কলস সম্পাদক লেখক ও সাংবাদিক আবিদ আজম জানিয়েছেন, অনুষ্ঠানের উদ্বোধক হিসেবে থাকছেন সংস্কৃতি উপদেষ্টা চলচ্চিত্র নির্মাতা মোস্তফা সরওয়ার ফারুকী। কবি আবদুল হাই শিকদারের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি থাকবেন কবি ও চিন্তক ফরহাদ মজহার। আলোচনা ও স্মৃতিচারণ করবেন ড. মাহবুব হাসান, জাতীয় কবিতা পরিষদের যুগ্ম সম্পাদক কবি শাহীন রেজা, জাকির আবু জাফর, বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক ড. মোহাম্মদ আজমসহ বিশিষ্টজনেরা।
আরও পড়ুন সমধারা কবিতা উৎসবে সাহিত্য পুরস্কার পেলেন ৪ কবি চাঁদপুরে কবিতা উৎসবে পুরস্কৃত ১০ জনকবিতা আবৃত্তি করবেন নাসিম আহমেদ, শায়লা আহমেদ, কামরুল হাসান জুয়েল, মনিরুজ্জামান পলাশ, কবি ও আবৃত্তিশিল্পী শাকিল মাহমুদ, আবৃত্তিশিল্পী ও জুলাই আন্দোলনের সম্মুখ সারির যোদ্ধা জান্নাতুন নাঈম প্রমী, মেজবাহ লগ্ন, এম. তারেক হাসিবসহ অনেকে।
রাষ্ট্রীয়ভাবে কবির প্রয়াণ দিবস পালন না করায় ক্ষোভ জানিয়ে আবিদ আজম গণমাধ্যমকে বলেন, ‘বিগত স্বৈরাচারী সময়ে আল মাহমুদকে তুমুল অবজ্ঞা ও উপেক্ষা করা হয়েছে। জুলাই বিপ্লবে আল মাহমুদের অনেক কবিতা ছাত্র-জনতাকে দারুণভাবে উদ্বুব্ধ করেছে। তিনি বাংলা ভাষার ফসলি জমিনকে জাদুকরী দক্ষতায় উর্বর করে গেছেন। উচিত ছিল রাষ্ট্রীয়ভাবে তাঁকে স্মরণ করা। অবিলম্বে কবির লেখনি পাঠ্যপুস্তকে পুনর্বহালসহ কবির সাহিত্য গবেষণায় কবি আল মাহমুদ ইনিস্টিটিউট প্রতিষ্ঠা করতে হবে।’
Advertisement
এর আগে আল মাহমুদ স্মরণে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ৩ দিনব্যাপী স্মরণোৎসবের আয়োজন করে কবি আল মাহমুদ গবেষণা কেন্দ্র ও স্মৃতি পরিষদ। ১৫, ১৬ ও ১৭ ফেব্রুয়ারি কবির স্মৃতি বিজড়িত নিয়াজ মুহম্মদ উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে অনুষ্ঠিত এ আয়োজনে বরেণ্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
এসইউ/এএসএম