নাটোরের সিংড়ায় দুর্ঘটনায় বাম পা কাটা পড়ে মোবাশ্বীর খান (৬) নামের এক শিশুর। মোবাশ্বীরের চিকিৎসায় এখনো প্রয়োজন দুই লাখ টাকা। কিন্তু অর্থাভাবে চিকিৎসা করাতে না পেরে ভেঙে পড়েছে তার পরিবার।
Advertisement
উপজেলার লালোর ইউনিয়নের বড় বেলঘরিয়া গ্রামের মো. আল মাহমুদ ও মোছা. আসমানী খাতুন দম্পতির চার সন্তানের মধ্যে বড় মোবাশ্বীর খান।
মোবাশ্বীরের মা মোছা. আসমানী খাতুন জানান, গত ১৫ ডিসেম্বর বাড়ির পাশে একটি স্কুলের সিঁড়ির ওপর বসা অবস্থায় নষ্ট একটি ট্রাক মেরামতের সময় মোবাশ্বীরের পায়ের ওপর পড়ে। এতে ঘটনাস্থলেই তার পা কেটে পড়ে যায়। প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য নাটোর আধুনিক সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়। এরপর ঢাকার পঙ্গু হাসপাতালে নিয়ে অপারেশন করা হয়। চিকিৎসায় ১ লাখের ওপর খরচ হয়েছে। কিন্তু ট্রাক মালিক ৭০ হাজার টাকা দিয়েছেন।
চিকিৎসক বলেছেন, তিনটি অপারেশন করতে হবে, এতে খরচ হবে ২ লাখ ১০ হাজার টাকা। মোবাশ্বীরের বয়স ২২ বছর হলে কৃত্রিম পা লাগানো যাবে।
Advertisement
আসমানী খাতুন আরও বলেন, আমার স্বামী টাঙ্গাইলে তাঁতের কাজ করে কোনো রকমে সংসার চালায়। ছেলেকে সুস্থ করতে অনেক টাকার প্রয়োজন। কিন্তু এত টাকা কোথায় পাব? যদি চিকিৎসা করানো যায়, তাহলে সে কাটা পা নিয়েও বেঁচে থাকতে পারবে। সরকার ও সমাজের বিত্তবানদের সহযোগিতা কামনা করেন তিনি।
লালোর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান একরামুল হক শুভ বলেন, মোবাশ্বীরের বাবা দরিদ্র মানুষ। তাঁতের কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করে। ছেলের চিকিৎসার জন্য অনেক টাকার প্রয়োজন। এজন্য যার যার জায়গা থেকে এগিয়ে আসতে আহ্বান জানান তিনি।
রেজাউল করিম রেজা/এফএ/জিকেএস
Advertisement