আন্তর্জাতিক

ইইউ নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য ট্রাম্পের, ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপের ঘোষণা

ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) থেকে আমদানি করা পণ্যে ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপের ঘোষণা দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তার দাবি, এই জোট গঠন করা হয়েছিল যুক্তরাষ্ট্রকে ‘ক্ষতিগ্রস্ত’ করার উদ্দেশ্যে।

Advertisement

বুধবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) মন্ত্রিসভার বৈঠকের শুরুতে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় ট্রাম্প বলেন, শুল্ক সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হয়েছে এবং শিগগির তা আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করা হবে।

আরও পড়ুন>>

ট্রাম্পের কঠোর বাণিজ্যনীতি, আমেরিকায় উদ্বেগ বাড়াচ্ছে মূল্যস্ফীতি আমেরিকায় ডিমের দামে সর্বকালের রেকর্ড, বাড়তে পারে আরও ট্রাম্পের শুল্ক এড়াতে যে কৌশল নিতে পারে কোম্পানিগুলো

তিনি বলেন, সাধারণভাবে শুল্কের হার ২৫ শতাংশ হবে। এটি গাড়ি এবং অন্যান্য সব কিছুর ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য হবে।

Advertisement

ট্রাম্প দীর্ঘদিন ধরে অভিযোগ করে আসছেন, আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে যুক্তরাষ্ট্রকে অন্যায় আচরণের শিকার হতে হচ্ছে। তিনি বলেন, ইইউ যুক্তরাষ্ট্রের গাড়ি ও কৃষিপণ্য গ্রহণ করে না, অথচ যুক্তরাষ্ট্র ইউরোপীয় দেশগুলোর সব ধরনের পণ্য আমদানি করে।

বর্তমানে ইইউ যুক্তরাষ্ট্র থেকে আমদানি করা গাড়ির ওপর ১০ শতাংশ শুল্ক বসায়, যা ইউরোপ থেকে আমদানি করা যাত্রীবাহী গাড়ির ওপর যুক্তরাষ্ট্র আরোপিত শুল্কের চারগুণ। তবে যুক্তরাষ্ট্র পিকআপ ট্রাকের ওপর ২৫ শতাংশ শুল্ক ধার্য করে।

ট্রাম্প বলেন, সত্য কথা বলতে গেলে, ইউরোপীয় ইউনিয়ন গঠনের উদ্দেশ্যই ছিল যুক্তরাষ্ট্রকে ধোঁকা দেওয়া। আর তারা সেটি সফলভাবেই করেছে।

ইইউর প্রতিক্রিয়া

ট্রাম্পের এই মন্তব্যের জবাবে ইউরোপীয় কমিশনের এক মুখপাত্র বলেন, ইউরোপীয় ইউনিয়ন যুক্তরাষ্ট্রের জন্য ‘সুবিধাজনক’ বাণিজ্যিক ক্ষেত্র তৈরি করেছে। তিনি বলেন, ইইউ সব সময় ইউরোপীয় ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, শ্রমিক এবং ভোক্তাদের অন্যায্য শুল্ক থেকে রক্ষা করবে।

Advertisement

ইউরোপের অন্যান্য বিশ্লেষকেরাও ট্রাম্পের মন্তব্যের সমালোচনা করেছেন। সাবেক ফরাসি রাষ্ট্রদূত জেরার্দ আরাও বলেন, ট্রাম্প ইইউকে ঘৃণা করেন। তিনি জানেনও না এটি কীভাবে কাজ করে, তবুও তিনি ঘৃণা করেন।

সুইডেনের সাবেক প্রধানমন্ত্রী কার্ল বিল্ডট বলেন, ট্রাম্প ইউরোপীয় ইউনিয়নের ইতিহাস সম্পর্কে ‘অত্যন্ত বিভ্রান্তিকর’ ধারণা পোষণ করেন। ইইউ আসলে ইউরোপে যুদ্ধ প্রতিরোধের জন্য গঠিত হয়েছিল।

ট্রাম্পের এই ঘোষণার ফলে ওয়াশিংটন ও ব্রাসেলসের মধ্যে বাণিজ্যিক উত্তেজনা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

সূত্র: আল-জাজিরাকেএএ/