অর্থনীতি

সুপারশপের ভ্যাট রেয়াত সহজ করলো এনবিআর

সুপারশপগুলো এখন থেকে আরও সহজে মূল্য সংযোজন কর (মূসক) বা ভ্যাট রেয়াত নিতে পারবে। শর্তসাপেক্ষে মূল্য সংযোজন কর (মূসক) সংক্রান্ত ঘোষণা দাখিলেরও প্রয়োজন হবে না। সম্প্রতি এ বিষয়ে এক ব্যাখ্যাপত্র জারি করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।

Advertisement

গত ৯ ফেব্রুয়ারি এনবিআরের মূসক আইন ও বিধি শাখার এক নির্দেশনায় এ তথ্য জানানো হয়। এতে বলা হয়, মূল্য সংযোজন কর ও সম্পূরক শুল্ক (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫ অনুসারে ব্যবসায়ী পর্যায়ের ভ্যাটের হার ৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৭ দশমিক ৫ শতাংশ করা হয়েছে। ফলে সুপারশপগুলোর ক্ষেত্রেও এই হার প্রযোজ্য হবে। তবে সুপারশপগুলো যদি ১৫ শতাংশ হারে ভ্যাট পরিশোধ করে, তাহলে তারা অন্যান্য নিয়ম মেনে সহজেই ভ্যাট রেয়াত নিতে পারবে এবং মূসক-৪.৩ ফর্মে ঘোষণা দাখিলের প্রয়োজন হবে না।

অর্থ্যাৎ এনবিআরের নতুন নির্দেশনা অনুসারে, সুপারশপগুলো ১৫ শতাংশ হারে ভ্যাট পরিশোধ করলে তারা মূসক-৪.৩ ফর্ম জমা দেওয়া ছাড়াই রেয়াত সুবিধা পাবে।

আরও পড়ুনআমাদের দেশেও ভ্যাট সিঙ্গেল রেটে আনতে হবেশুধু ভ্যাটের ওপর নির্ভর করলে অর্থনৈতিক বৈষম্য বাড়বে

জানতে চাইলে এনবিআরের সদস্য (মূসক নীতি) ড. মো. আবদুর রউফ বলেন, সুপারশপ অনেক পণ্য বিক্রি করে। প্রত্যেকটি পণ্যের জন্য ঘোষণা দেওয়া কঠিন। তাই তাদের জন্য এই ঘোষণা তুলে দেওয়া হয়েছে।

Advertisement

এনবিআরের ব্যাখ্যায় আরও বলা হয়েছে, সুপারশপগুলো আমদানি করা বা স্থানীয়ভাবে কেনা বিভিন্ন পণ্য সরবরাহ করে। কিন্তু তারা উৎপাদন করে না। তাই উপকরণ-উৎপাদন সহগ (মূসক-৪.৩) ঘোষণার বাধ্যবাধকতা সুপারশপের জন্য কষ্টকর হয়ে যায়।

এনবিআর জানায়, সুপারশপ বলতে এমন দোকান বোঝায়, যেখানে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে স্বাস্থ্যসম্মত পরিবেশে খাদ্যপণ্য, ফলমূল, শাকসবজি, মাছ-মাংস, গৃহস্থালি ও অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য বিক্রি হয়। দোকানটি শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত হোক বা না হোক, এর আয়তন যাই হোক, যদি এটি নির্দিষ্ট মানদণ্ডে পরিচালিত হয়, তাহলে এটি সুপারশপ হিসেবে গণ্য হবে।

এসএম/কেএসআর/জেআইএম

Advertisement