চিকিৎসকদের আন্দোলনের মুখে দায়িত্ব পালনে অপারগতা প্রকাশ করে উপদেষ্টা বরাবর চিঠি দিয়েছেন রাজধানীর ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্সেস হাসপাতালের পরিচালক অধ্যাপক ডা. কাজী দীন মোহাম্মদ।
Advertisement
গতকাল বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ উপদেষ্টা বরাবর এ সংক্রান্ত আবেদন দেন তিনি। আবেদনটি উপদেষ্টা গ্রহণ করেছেন বলেও নিশ্চিত হওয়া গেছে।
ওই চিঠিতে অধ্যাপক ডা. কাজী দীন মোহাম্মদ লেখেন, ‘আমি নিম্ন স্বাক্ষরকারী ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্স হাসপাতালে পরিচালক হিসেবে কর্মরত আছি (চুক্তিভিত্তিক)। আমার চুক্তির মেয়াদ ২০২৬ সালের ১২ জানুয়ারি সমাপ্ত হবে। কিন্তু ব্যক্তিগত কারণে আমি এই প্রতিষ্ঠানের পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালনে অপারগতা প্রকাশ করছি। অতএব আমার চুক্তির বাকি অংশটুকু বাতিল করার জন্য অনুরোধ করছি।’
বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় সূত্র নিশ্চিত করেছে যে, আবেদনটি উপদেষ্টা গ্রহণ করেছেন। অর্থাৎ শিগগির ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্স হাসপাতালে নতুন পরিচালক নিয়োগ করা হবে।
Advertisement
এ বিষয়ে জানতে অধ্যাপক ডা. কাজী দীন মোহাম্মদের মুঠোফোনে চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি। তবে বৃহস্পতিবারও তিনি অফিসে করছেন।
বুধবার সকালে নিউরোমেডিসিন বিশেষজ্ঞ সহযোগী অধ্যাপক ডা. গুরুদাস মন্ডলের যোগদান ঘিরে হাসপাতাল পরিচালকের সঙ্গে অন্য চিকিৎসকদের বাগবিতণ্ডা হয়। সেখানে পরিচালকের পক্ষ হয়ে আউটসোর্সিং কর্মীরা চিকিৎসকদের ওপর হামলা করেন। এতে দুজন চিকিৎসক আহত হন। প্রতিবাদে চিকিৎসকরা জরুরি ও বহির্বিভাগের সেবা চালু রেখে হাসপাতালের নিয়মিত অস্ত্রোপচার বন্ধ ঘোষণা করেন।
বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) সকালে কথা বলে জানা গেছে, চিকিৎসকদের নিয়মিত অস্ত্রোপচার বন্ধের কর্মসূচি চলছে। পরিচালক ডা. কাজী দীন মোহাম্মদ ও যুগ্মরিচালক বদরুল আলমকে অপসারণ না করা হলে আরও বড় কর্মসূচিতে যাবেন বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।
হাসপাতাল শাখা ড্যাবের সাধারণ সম্পাদক ডা. জালাল উদ্দিন রুমি জাগো নিউজকে বলেন, পরিচালক অপসারণ হলে যুগ্ম পরিচালক এমনিতেই চলে যাবে। আমরা কর্মসূচি প্রত্যাহার করে নেবো। অন্যথায় আজ বা রোববার সংবাদ সম্মেলন করে নতুন আরও বড় কর্মসূচি ঘোষণা দেবো।
Advertisement
২০১২ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্সেস হাসপাতাল। শুরু থেকেই এই হাসপাতালটির পরিচালক অধ্যাপক ডা. কাজী দীন মোহাম্মদ। নিয়মিত চাকরির মেয়াদ শেষ হলেও দফায় দোহায় তাকে চুক্তিভিত্তিক রাখা হয়।
এসইউজে/বিএ/এএসএম